সৌগত বসু, ঢাকা
এই দেশেরই মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধরদের হাতে বুনন শুরু। কমপক্ষে আড়াই শ বছরের ঐতিহ্য। সেই টাঙ্গাইল শাড়িকেই নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিল ভারত। ভারতের এমন দাবি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশিরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভারত জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পর টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে কী করবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয় পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। তবে এ জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে আবেদন করতে হয়। টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ভোরে (শনিবার) বিষয়টি জেনেছি। এর আগে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে তাঁদের অঞ্চলের ঐতিহ্যগত পণ্যগুলোর তালিকা চেয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের ডিসিকেও এ নিয়ে চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে কোনো আবেদন আসেনি।’
এখন কী করণীয় জানতে চাইলে মুনিম হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। পরবর্তী সময়ে টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের জিআই করার জন্য দ্রুত কাজ করবেন তাঁরা।
মূলত কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে বিশ্বব্যাপী এর ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়।
জানা যায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তৎকালীন বঙ্গের টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পের প্রসার ঘটে। টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিরা ঐতিহ্যবাহী মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধর। তাঁদের আদি নিবাস ছিল ঢাকা জেলার ধামরাই ও চৌহাট্টায়। তাঁরা দেলদুয়ার, সন্তোষ ও ঘ্রিন্দা এলাকার জমিদারদের আমন্ত্রণে টাঙ্গাইলে যান এবং পরবর্তী সময়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন।
২০১৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার তাঁতিদের নিয়ে একটি গবেষণা করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক সুব্রত ব্যানার্জি, মো. মনিরুজ্জামান মুজিব ও সুমনা শারমিন।
সুব্রত ব্যানার্জি আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা তিনজন গবেষক ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল জেলায় এই শাড়ি নিয়ে গবেষণা করেন। এই এলাকায় ৩ হাজার ২০০ পরিবার মূলত এই তাঁত পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে বসতি গড়েন। ২০১৪ সালে একটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখেন সেখানে মাত্র ২২টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।
ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য একটা কষ্টের বিষয়। এই শিল্পের শুরু হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। তাই তাদের বঞ্চিত করে বা সামনে না এনে যখন অন্য দেশ থেকে হয়, সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। টাঙ্গাইল শাড়ি মূলত বাংলাদেশের পণ্য। এটা সত্য যে একটা বিপুলসংখ্যক তাঁতি পশ্চিমবঙ্গে চলে যাওয়ার পর সেখানে তাঁরা তাঁদের এই কর্মযজ্ঞ ধরে রেখেছেন।
ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁতশিল্প নিয়ে গবেষণা করেন নিলয় কুমার বসাক। তিনি টাঙ্গাইলের তন্তুবায় সম্প্রদায়ের উত্তর প্রজন্ম। তাঁর পরিবার ভারতে যাওয়ার আগে টাঙ্গাইলেই শাড়ি বুনেছেন। নিলয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশেই। যে বসাক পরিবার এটির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। তারা টাঙ্গাইল নামেই শাড়ি তৈরি করেছেন ও এখনো করছেন। সেটা যদি স্বীকৃতি পায় তবে তা তাঁদের জন্য গর্বের।
ভারতে যেভাবে জিআই স্বীকৃতি
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস বিভাগ। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হস্তশিল্প বিভাগ জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিল। সেখানে টাঙ্গাইল শাড়িকে নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানের পণ্য হিসেবে ধরা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভারত সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎপন্ন, এটি একটি ঐতিহ্যগত হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর সূক্ষ্ম গঠনবিন্যাস, প্রাণবন্ত রং এবং জামদানি কাজের জন্য বিখ্যাত, এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়িই দক্ষ কারুকার্য, ঐতিহ্যকে একত্র করে।
বাংলাদেশে ক্ষোভ
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের দাবি করে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইলসহ সারা দেশের সচেতন মানুষ। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গে জড়িতরা জানান, প্রায় ২০০ বছর যাবৎ ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি। টাঙ্গাইলের একটি স্লোগান আছে—‘নদী চর খাল বিল গজারির বন, টাঙ্গাইল শাড়ি তার গর্বের ধন’। টাঙ্গাইল শাড়ি সদর উপজেলার বাজিতপুর, কৃষ্ণপুর, দেলদুয়ারের পাথরাইল, কালিহাতীর বল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদন হয়। তবে দেলদুয়ারের পাথরাইল টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী হিসেবে খ্যাত।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, মধুপুরের আনারস ও জামুর্কির সন্দেশ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আমরা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটা যে এখানকার অর্জন, সেটার ৫০ বছরের সুদীর্ঘ ধারাবাহিকতা দিতে হয়। অথচ টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি আড়াই শ বছরের পুরোনো। অবশ্যই আমরা আশাবাদী, এই পণ্যের জিআই স্বীকৃতি আমরা পাব।’
[এই প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছে আজকের পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি আনোয়ার সাদাৎ ইমরান ]
এই দেশেরই মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধরদের হাতে বুনন শুরু। কমপক্ষে আড়াই শ বছরের ঐতিহ্য। সেই টাঙ্গাইল শাড়িকেই নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিল ভারত। ভারতের এমন দাবি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশিরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভারত জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পর টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে কী করবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয় পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। তবে এ জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে আবেদন করতে হয়। টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ভোরে (শনিবার) বিষয়টি জেনেছি। এর আগে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে তাঁদের অঞ্চলের ঐতিহ্যগত পণ্যগুলোর তালিকা চেয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের ডিসিকেও এ নিয়ে চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে কোনো আবেদন আসেনি।’
এখন কী করণীয় জানতে চাইলে মুনিম হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। পরবর্তী সময়ে টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের জিআই করার জন্য দ্রুত কাজ করবেন তাঁরা।
মূলত কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে বিশ্বব্যাপী এর ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়।
জানা যায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তৎকালীন বঙ্গের টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পের প্রসার ঘটে। টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিরা ঐতিহ্যবাহী মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধর। তাঁদের আদি নিবাস ছিল ঢাকা জেলার ধামরাই ও চৌহাট্টায়। তাঁরা দেলদুয়ার, সন্তোষ ও ঘ্রিন্দা এলাকার জমিদারদের আমন্ত্রণে টাঙ্গাইলে যান এবং পরবর্তী সময়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন।
২০১৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার তাঁতিদের নিয়ে একটি গবেষণা করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক সুব্রত ব্যানার্জি, মো. মনিরুজ্জামান মুজিব ও সুমনা শারমিন।
সুব্রত ব্যানার্জি আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা তিনজন গবেষক ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল জেলায় এই শাড়ি নিয়ে গবেষণা করেন। এই এলাকায় ৩ হাজার ২০০ পরিবার মূলত এই তাঁত পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে বসতি গড়েন। ২০১৪ সালে একটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখেন সেখানে মাত্র ২২টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।
ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য একটা কষ্টের বিষয়। এই শিল্পের শুরু হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। তাই তাদের বঞ্চিত করে বা সামনে না এনে যখন অন্য দেশ থেকে হয়, সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। টাঙ্গাইল শাড়ি মূলত বাংলাদেশের পণ্য। এটা সত্য যে একটা বিপুলসংখ্যক তাঁতি পশ্চিমবঙ্গে চলে যাওয়ার পর সেখানে তাঁরা তাঁদের এই কর্মযজ্ঞ ধরে রেখেছেন।
ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁতশিল্প নিয়ে গবেষণা করেন নিলয় কুমার বসাক। তিনি টাঙ্গাইলের তন্তুবায় সম্প্রদায়ের উত্তর প্রজন্ম। তাঁর পরিবার ভারতে যাওয়ার আগে টাঙ্গাইলেই শাড়ি বুনেছেন। নিলয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশেই। যে বসাক পরিবার এটির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। তারা টাঙ্গাইল নামেই শাড়ি তৈরি করেছেন ও এখনো করছেন। সেটা যদি স্বীকৃতি পায় তবে তা তাঁদের জন্য গর্বের।
ভারতে যেভাবে জিআই স্বীকৃতি
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস বিভাগ। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হস্তশিল্প বিভাগ জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিল। সেখানে টাঙ্গাইল শাড়িকে নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানের পণ্য হিসেবে ধরা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভারত সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎপন্ন, এটি একটি ঐতিহ্যগত হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর সূক্ষ্ম গঠনবিন্যাস, প্রাণবন্ত রং এবং জামদানি কাজের জন্য বিখ্যাত, এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়িই দক্ষ কারুকার্য, ঐতিহ্যকে একত্র করে।
বাংলাদেশে ক্ষোভ
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের দাবি করে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইলসহ সারা দেশের সচেতন মানুষ। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গে জড়িতরা জানান, প্রায় ২০০ বছর যাবৎ ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি। টাঙ্গাইলের একটি স্লোগান আছে—‘নদী চর খাল বিল গজারির বন, টাঙ্গাইল শাড়ি তার গর্বের ধন’। টাঙ্গাইল শাড়ি সদর উপজেলার বাজিতপুর, কৃষ্ণপুর, দেলদুয়ারের পাথরাইল, কালিহাতীর বল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদন হয়। তবে দেলদুয়ারের পাথরাইল টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী হিসেবে খ্যাত।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, মধুপুরের আনারস ও জামুর্কির সন্দেশ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আমরা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটা যে এখানকার অর্জন, সেটার ৫০ বছরের সুদীর্ঘ ধারাবাহিকতা দিতে হয়। অথচ টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ি আড়াই শ বছরের পুরোনো। অবশ্যই আমরা আশাবাদী, এই পণ্যের জিআই স্বীকৃতি আমরা পাব।’
[এই প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছে আজকের পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি আনোয়ার সাদাৎ ইমরান ]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে