বান্দরবান ও আলীকদম প্রতিনিধি
বান্দরবানের আলীকদমে সমন্বয়হীনতা ও যথাসময়ে কাজ না করায় উন্নয়ন বরাদ্দের প্রায় ২৮ লাখ টাকা ফেরত গেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ঠিকাদার এবং উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে তিনটি প্রকল্পে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আলীকদম উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিডিপি) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) প্রকল্পের আওতায় তিনটি অংশে (গ্রুপ) ৫১টি প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রিংওয়েল স্থাপন, ব্রিক সলিন রাস্তা, গাইডওয়াল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামগ্রী বিতরণ। এলজিইডির আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এ জন্য মোট ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রকল্পের নির্দেশ অনুযায়ী, গত ২৮ জুনের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু প্রকল্প গ্রহণ নিয়ে এলজিইডি, ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় ঠিক সময়ে এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তড়িঘড়ি কাজ সম্পন্ন করতে তৎপরতা শুরু করে এলজিইডি।
ঠিকাদারদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে টেন্ডার আহ্বান করে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার সময় বেঁধে দেন এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু অনেক প্রকল্প এই সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। এতে অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প শুরু না করেই ‘কাজ সম্পন্ন’ দেখিয়ে বিল উত্তোলনের জন্য এলজিইডি প্রকৌশলী এই কৌশল নিয়েছেন।
এদিকে ২৮ জুনের মধ্যে দুটি কাজ শুরুই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ। এ ছাড়া অনেক কাজই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জন্য অবশিষ্ট কাজ না হওয়ায় মোট ২৮ লাখ টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বানে বিলম্ব ও বর্ষা মৌসুম দায়ী!
ঠিকাদার, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কয়েকটি প্রকল্পে প্রায় কোটি টাকার কাজই হয়নি। তারপরও ‘কাজ সম্পন্ন’ দেখিয়ে পছন্দের ঠিকাদারের সঙ্গে ভাগাভাগি হয়েছে। এ অভিযোগ কুরুকপাতা ইউনিয়নের রূপন তঞ্চঙ্গ্যা, গরামনি ও য়ুইকক ম্রো এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত দেন। তাঁদের অভিযোগ মতে, তিনটি প্রকল্পে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই এলজিইডি (প্রকৌশলী) ও ঠিকাদার হাতিয়ে নিয়েছেন।
জানা গেছে, পিডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নের রাইতুমনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার কাজের জন্য ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শুরু করতে না পারলেও ঠিকাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর আস্থাভাজন হওয়ায় কাজ শুরু না করেই ১৬ লাখ টাকা (বরাদ্দ ৩০ শতাংশ) উত্তোলন করে নেন। গতকাল সোমবার ঠিকাদার ভুট্টো এই টাকা উত্তোলনের কথা আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন।
উপজেলা বিএনপি ও ঠিকাদার সমিতির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন করেন, ‘প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়ার জন্য এলজিইডি, হিসাবরক্ষণ কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ সবাই কমবেশি দায়ী। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে প্রকল্পের অনেক কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয় এটা যেমন সত্য, তেমনি অনেক কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও ঠিকাদারেরা তাও শেষ করেননি।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়স্বল্পতা হলে অন্য বছরগুলোতে আমরা প্রকল্পের টাকাগুলো পে-অর্ডার করে রাখতাম। এ বছর ইউএনও এবং উপজেলা প্রকৌশলী অব্যবহৃত অর্থ “পে-অর্ডার” করে রাখতে একমত না হওয়ায় প্রকল্পের টাকাগুলো ফেরত গেছে। আমার অফিসে যেসব ফাইল পাঠানো হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদন দিয়েছি। হিসাবরক্ষণ অফিস কেন এসব বিল পাস করেনি, তা আমার বোধগম্য নয়।’
বান্দরবানের আলীকদমে সমন্বয়হীনতা ও যথাসময়ে কাজ না করায় উন্নয়ন বরাদ্দের প্রায় ২৮ লাখ টাকা ফেরত গেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ঠিকাদার এবং উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে তিনটি প্রকল্পে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আলীকদম উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিডিপি) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) প্রকল্পের আওতায় তিনটি অংশে (গ্রুপ) ৫১টি প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রিংওয়েল স্থাপন, ব্রিক সলিন রাস্তা, গাইডওয়াল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামগ্রী বিতরণ। এলজিইডির আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এ জন্য মোট ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রকল্পের নির্দেশ অনুযায়ী, গত ২৮ জুনের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু প্রকল্প গ্রহণ নিয়ে এলজিইডি, ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় ঠিক সময়ে এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তড়িঘড়ি কাজ সম্পন্ন করতে তৎপরতা শুরু করে এলজিইডি।
ঠিকাদারদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে টেন্ডার আহ্বান করে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার সময় বেঁধে দেন এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু অনেক প্রকল্প এই সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। এতে অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প শুরু না করেই ‘কাজ সম্পন্ন’ দেখিয়ে বিল উত্তোলনের জন্য এলজিইডি প্রকৌশলী এই কৌশল নিয়েছেন।
এদিকে ২৮ জুনের মধ্যে দুটি কাজ শুরুই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ। এ ছাড়া অনেক কাজই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জন্য অবশিষ্ট কাজ না হওয়ায় মোট ২৮ লাখ টাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বানে বিলম্ব ও বর্ষা মৌসুম দায়ী!
ঠিকাদার, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কয়েকটি প্রকল্পে প্রায় কোটি টাকার কাজই হয়নি। তারপরও ‘কাজ সম্পন্ন’ দেখিয়ে পছন্দের ঠিকাদারের সঙ্গে ভাগাভাগি হয়েছে। এ অভিযোগ কুরুকপাতা ইউনিয়নের রূপন তঞ্চঙ্গ্যা, গরামনি ও য়ুইকক ম্রো এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত দেন। তাঁদের অভিযোগ মতে, তিনটি প্রকল্পে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই এলজিইডি (প্রকৌশলী) ও ঠিকাদার হাতিয়ে নিয়েছেন।
জানা গেছে, পিডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নের রাইতুমনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার কাজের জন্য ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শুরু করতে না পারলেও ঠিকাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর আস্থাভাজন হওয়ায় কাজ শুরু না করেই ১৬ লাখ টাকা (বরাদ্দ ৩০ শতাংশ) উত্তোলন করে নেন। গতকাল সোমবার ঠিকাদার ভুট্টো এই টাকা উত্তোলনের কথা আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন।
উপজেলা বিএনপি ও ঠিকাদার সমিতির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন করেন, ‘প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়ার জন্য এলজিইডি, হিসাবরক্ষণ কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ সবাই কমবেশি দায়ী। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে প্রকল্পের অনেক কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয় এটা যেমন সত্য, তেমনি অনেক কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও ঠিকাদারেরা তাও শেষ করেননি।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়স্বল্পতা হলে অন্য বছরগুলোতে আমরা প্রকল্পের টাকাগুলো পে-অর্ডার করে রাখতাম। এ বছর ইউএনও এবং উপজেলা প্রকৌশলী অব্যবহৃত অর্থ “পে-অর্ডার” করে রাখতে একমত না হওয়ায় প্রকল্পের টাকাগুলো ফেরত গেছে। আমার অফিসে যেসব ফাইল পাঠানো হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদন দিয়েছি। হিসাবরক্ষণ অফিস কেন এসব বিল পাস করেনি, তা আমার বোধগম্য নয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে