রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
এক মাসের ব্যবধানে আবারও মেহেরপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বাড়ানো হয়েছে নার্সের সংখ্যা। দেওয়া হয়েছে একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। জানা গেছে, আক্রান্তদের বেশির ভাগই পৌর এলাকার বাসিন্দা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জনের পাওয়া গেছে ই-কলাই নামের কলেরার জীবাণু, যা পানির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। হাসপাতালের তথ্য বলছে, ১৮ মে থেকে হাসপাতালে বাড়তে থাকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদিন ভর্তি হয় ২২ জন। এরপর থেকেই প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগী। গত সোমবার হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১০৮ জন ভর্তি হয়। গতকাল বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ জন, আর ভর্তি আছে ১১২ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত আট দিনে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৩৭ জন। গতকাল সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯২ জন।
এদিকে, এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ওয়ার্ডে বাড়ানো হয়েছে নার্সের সংখ্যা। সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। পুরো তিনতলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। এককথায়, গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
শহরের দিঘীরপাড়ার বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে স্যালাইন এবং ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেছি। সুস্থ হতে না পেরে সকালে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। শয্যা না থাকায় কোনোরকমে বারান্দায় থেকে গাদাগাদি চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে আমার সঙ্গে থাকা মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’
বেড়পাড়ার বাসিন্দা নছর আলী বলেন, ‘মঙ্গলবার ভর্তি হয়েছি। ভর্তি হওয়ার দুই দিন আগেও আমিসহ বাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হই। অন্যরা বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও আমাকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ হাসপাতাল থেকেই বেশির ভাগ ওষুধ মিলছে বলে জানান নছর।
বোসপাড়ার বাসিন্দা জলিল হোসেন বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। কেউ কেউ হাসপাতালে আসছে। আবার অনেকেই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।’
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ নার্স নিপু আক্তার বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এমন রোগীর চাপ আগে কখনোই দেখিনি। প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আগে এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী কমতে শুরু করত, এখন উল্টো। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বাড়ছে রোগী। এখন পর্যন্ত রোগী কমার কোনো লক্ষণ নেই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে। নার্সের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কলেরার স্যালাইন থেকে শুরু করে বেশির ভাগই ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শহরের মানুষ।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘সাধারণত গরমের এ সময়ে ডায়রিয়া রোগী কিছুটা বাড়তে থাকে। কিন্তু এত ব্যাপক হারে নয়। কিছুদিন আগেও মেহেরপুরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ে। সাধারণত ডায়রিয়ার এমন পরিস্থিতি একটি গেলে আরও একটি আসতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারও ডায়রিয়া ফিরে আসায় উদ্বিগ্ন আমরা। কয়েক দিন আগে ৪ হাজার কলেরার স্যালাইন আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এনেছি। তা দিয়ে এখন চিকিৎসা দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে অন্য ওষুধ কিনতে পারব না। তখন অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগের রোগীদের ওপর চাপ বাড়বে ওষুধের। তবে আইসিডিডিআরবি রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করেছে। এতে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে, যা পানির মাধ্যমে ছড়ায়। কোন এলাকার পানিতে এ জীবাণু রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।’ রোগীদের বেশির ভাগই শহরের বাসিন্দা, জানান হাসিবুস সাত্তার।
এক মাসের ব্যবধানে আবারও মেহেরপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বাড়ানো হয়েছে নার্সের সংখ্যা। দেওয়া হয়েছে একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। জানা গেছে, আক্রান্তদের বেশির ভাগই পৌর এলাকার বাসিন্দা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জনের পাওয়া গেছে ই-কলাই নামের কলেরার জীবাণু, যা পানির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। হাসপাতালের তথ্য বলছে, ১৮ মে থেকে হাসপাতালে বাড়তে থাকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদিন ভর্তি হয় ২২ জন। এরপর থেকেই প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগী। গত সোমবার হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১০৮ জন ভর্তি হয়। গতকাল বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ জন, আর ভর্তি আছে ১১২ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত আট দিনে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৩৭ জন। গতকাল সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯২ জন।
এদিকে, এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ওয়ার্ডে বাড়ানো হয়েছে নার্সের সংখ্যা। সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। পুরো তিনতলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। এককথায়, গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
শহরের দিঘীরপাড়ার বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে স্যালাইন এবং ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেছি। সুস্থ হতে না পেরে সকালে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। শয্যা না থাকায় কোনোরকমে বারান্দায় থেকে গাদাগাদি চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে আমার সঙ্গে থাকা মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’
বেড়পাড়ার বাসিন্দা নছর আলী বলেন, ‘মঙ্গলবার ভর্তি হয়েছি। ভর্তি হওয়ার দুই দিন আগেও আমিসহ বাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হই। অন্যরা বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও আমাকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ হাসপাতাল থেকেই বেশির ভাগ ওষুধ মিলছে বলে জানান নছর।
বোসপাড়ার বাসিন্দা জলিল হোসেন বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। কেউ কেউ হাসপাতালে আসছে। আবার অনেকেই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।’
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ নার্স নিপু আক্তার বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এমন রোগীর চাপ আগে কখনোই দেখিনি। প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আগে এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী কমতে শুরু করত, এখন উল্টো। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বাড়ছে রোগী। এখন পর্যন্ত রোগী কমার কোনো লক্ষণ নেই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে। নার্সের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কলেরার স্যালাইন থেকে শুরু করে বেশির ভাগই ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শহরের মানুষ।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘সাধারণত গরমের এ সময়ে ডায়রিয়া রোগী কিছুটা বাড়তে থাকে। কিন্তু এত ব্যাপক হারে নয়। কিছুদিন আগেও মেহেরপুরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ে। সাধারণত ডায়রিয়ার এমন পরিস্থিতি একটি গেলে আরও একটি আসতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারও ডায়রিয়া ফিরে আসায় উদ্বিগ্ন আমরা। কয়েক দিন আগে ৪ হাজার কলেরার স্যালাইন আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এনেছি। তা দিয়ে এখন চিকিৎসা দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে অন্য ওষুধ কিনতে পারব না। তখন অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগের রোগীদের ওপর চাপ বাড়বে ওষুধের। তবে আইসিডিডিআরবি রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করেছে। এতে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে, যা পানির মাধ্যমে ছড়ায়। কোন এলাকার পানিতে এ জীবাণু রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।’ রোগীদের বেশির ভাগই শহরের বাসিন্দা, জানান হাসিবুস সাত্তার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে