স্বপ্নীল আবদুল্লাহ
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যতগুলো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা। কারণ মেডিকেলে আসনসংখ্যা কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সরাসরি সরকারের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। এসব মেডিকেল কলেজে মোট আসনসংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০। বুঝতেই পারছ, সরকারি মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
প্রস্তুতি শুরু এখনই
তোমরা যারা মেডিকেলে পড়তে চাও, তাদের এখনই উচিত তিন-চার মাসের একটা পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলা। পরীক্ষার আগের এই কয় মাস গুরুত্বসহকারে খুব ভালোমতো কাজে লাগাও। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো একদমই বাদ দিয়ে দাও। মনে রাখবে, এই অল্প সময় নষ্ট করলে আর কখনোই ফিরে পাবে না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শর্ট সিলেবাসে দিলেও, মেডিকেলে পুরো বই থেকেই প্রশ্ন করা হবে। তাই এখনই নিজের বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে ফেলো। এরপর এগুলোয় বেশি জোর দাও, তাহলে পড়া গোছাতে সুবিধা হবে। কেউ যদি চাও তাহলে রুটিন করে পড়তে পারো, এটা জরুরি নয়। সব সময় একই বিষয় পড়তে ভালোও লাগবে না। একঘেয়েমি চলে আসবে, পড়ায় বিরক্তি চলে আসবে। তখন অন্য একটা বিষয় নাও। এতে করে পড়ার ধারাবাহিকতা থাকবে। অনেক বিষয় আছে, যেগুলো কো-রিলেট করে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়লে মনে রাখতে সুবিধা হয়। এ কাজটা করবে।
দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত?
তুমি যেন প্রতিদিনই পড়াশোনার মধ্যে থাকো। অনেক সময় দেখা যায় যে এক-দুই দিন ভালো পড়াশোনা করলে একটা অতৃপ্তি চলে আসে। এই অতৃপ্তির জন্য আবার তিন-চার দিন পড়া হয় না। এটা যাতে না হয়, ধারাবাহিকভাবে পড়বে। দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত, এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। একজনের যে পড়া দুই ঘণ্টায় হয়, আরেকজনের সেটা পড়তে পাঁচ ঘণ্টা লাগে। তাই কতক্ষণ ধরে পড়া হচ্ছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কতটুকু পড়া হচ্ছে। যতটুকু সময় পড়ছ, ততটুক সময় যেন পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই পড়াটা শেষ করা হয়। আর একটানা পড়ে যখন দেখবে ভালো লাগছে না, তখন জোর করে পড়ার দরকার নেই। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়তে বসো। বিশ্রাম নিতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট কোরো না।
পড়ার কৌশল
একেকজনের পড়ার কৌশল একেক রকম। তাই তোমার পড়ার ধরনের সঙ্গে মেলে, এমনভাবেই কোনো পরিকল্পনা করা উচিত। কখনো অমুক ২০ ঘণ্টা পড়েছে, আমাকেও ২০ ঘণ্টা পড়তে হবে, এমনটা ভাবা যাবে না। কারও একবার পড়লেই মনে থাকে, কারও একই জিনিস বারবার অনুশীলন করতে হয়। সে জন্য তুমি যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করো, সেভাবেই একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে নাও। যত বেশি সম্ভব মডেল টেস্ট দাও। যত বেশি পরীক্ষা দেবে, তত নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবে।
বইয়ের তালিকা
প্রথমেই একটা মূল বই টার্গেট করে সেটা ভালোমতো পড়ে শেষ করো। মূল বই হচ্ছে সেই বই, যেখান থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন এসে থাকে এবং বারবার রিপিট হয়। এরপর অন্যান্য লেখকের বই থেকে বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পড়ো। তারপর কোচিংয়ের লেকচারশিট ও নোটে চোখ বুলিয়ে যাও। এগুলো সহায়িকা হিসেবে কাজ করবে। বোটানির জন্য আবুল হাসান এবং জুওলজির জন্য গাজী আজমল স্যারের বই পড়বে। এগুলো পড়া শেষে আব্দুল আলীম স্যারের বইটাও দেখবে। এমন অনেক তথ্য আছে, যা একটা বইয়ে আছে কিন্তু আরেকটায় নেই। সেগুলো খুঁজে লিখে রাখবে। রসায়ন ১ম ও ২য় পত্রের জন্য হাজারী নাগ স্যারের বই পড়ে আহসানুল কবির স্যারের বই পড়বে। পদার্থবিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্রের জন্য আমির-ইসহাক স্যারের বইয়ের পাশাপাশি শাহজাহান তপন স্যারের বই থেকে বাড়তি তথ্য পড়বে। ইংরেজির জন্য এপেক্স, যেখানে মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেওয়া আছে। রুলস দেখলে বেসিক ক্লিয়ার হয়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য এমপিথ্রি সমাধান করলে বিগত সালের প্রশ্ন থেকে কমন পাওয়া যায়। এরপর কোচিংয়ের শিট যদি কেউ পড়তে চাও, তাহলে পড়তে পারো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ(জাতীয় মেধায় ২য় (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যতগুলো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা। কারণ মেডিকেলে আসনসংখ্যা কম হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সরাসরি সরকারের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। এসব মেডিকেল কলেজে মোট আসনসংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০। বুঝতেই পারছ, সরকারি মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
প্রস্তুতি শুরু এখনই
তোমরা যারা মেডিকেলে পড়তে চাও, তাদের এখনই উচিত তিন-চার মাসের একটা পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলা। পরীক্ষার আগের এই কয় মাস গুরুত্বসহকারে খুব ভালোমতো কাজে লাগাও। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো একদমই বাদ দিয়ে দাও। মনে রাখবে, এই অল্প সময় নষ্ট করলে আর কখনোই ফিরে পাবে না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শর্ট সিলেবাসে দিলেও, মেডিকেলে পুরো বই থেকেই প্রশ্ন করা হবে। তাই এখনই নিজের বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে ফেলো। এরপর এগুলোয় বেশি জোর দাও, তাহলে পড়া গোছাতে সুবিধা হবে। কেউ যদি চাও তাহলে রুটিন করে পড়তে পারো, এটা জরুরি নয়। সব সময় একই বিষয় পড়তে ভালোও লাগবে না। একঘেয়েমি চলে আসবে, পড়ায় বিরক্তি চলে আসবে। তখন অন্য একটা বিষয় নাও। এতে করে পড়ার ধারাবাহিকতা থাকবে। অনেক বিষয় আছে, যেগুলো কো-রিলেট করে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়লে মনে রাখতে সুবিধা হয়। এ কাজটা করবে।
দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত?
তুমি যেন প্রতিদিনই পড়াশোনার মধ্যে থাকো। অনেক সময় দেখা যায় যে এক-দুই দিন ভালো পড়াশোনা করলে একটা অতৃপ্তি চলে আসে। এই অতৃপ্তির জন্য আবার তিন-চার দিন পড়া হয় না। এটা যাতে না হয়, ধারাবাহিকভাবে পড়বে। দৈনিক কত ঘণ্টা পড়া উচিত, এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। একজনের যে পড়া দুই ঘণ্টায় হয়, আরেকজনের সেটা পড়তে পাঁচ ঘণ্টা লাগে। তাই কতক্ষণ ধরে পড়া হচ্ছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কতটুকু পড়া হচ্ছে। যতটুকু সময় পড়ছ, ততটুক সময় যেন পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই পড়াটা শেষ করা হয়। আর একটানা পড়ে যখন দেখবে ভালো লাগছে না, তখন জোর করে পড়ার দরকার নেই। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়তে বসো। বিশ্রাম নিতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট কোরো না।
পড়ার কৌশল
একেকজনের পড়ার কৌশল একেক রকম। তাই তোমার পড়ার ধরনের সঙ্গে মেলে, এমনভাবেই কোনো পরিকল্পনা করা উচিত। কখনো অমুক ২০ ঘণ্টা পড়েছে, আমাকেও ২০ ঘণ্টা পড়তে হবে, এমনটা ভাবা যাবে না। কারও একবার পড়লেই মনে থাকে, কারও একই জিনিস বারবার অনুশীলন করতে হয়। সে জন্য তুমি যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করো, সেভাবেই একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে নাও। যত বেশি সম্ভব মডেল টেস্ট দাও। যত বেশি পরীক্ষা দেবে, তত নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবে।
বইয়ের তালিকা
প্রথমেই একটা মূল বই টার্গেট করে সেটা ভালোমতো পড়ে শেষ করো। মূল বই হচ্ছে সেই বই, যেখান থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন এসে থাকে এবং বারবার রিপিট হয়। এরপর অন্যান্য লেখকের বই থেকে বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পড়ো। তারপর কোচিংয়ের লেকচারশিট ও নোটে চোখ বুলিয়ে যাও। এগুলো সহায়িকা হিসেবে কাজ করবে। বোটানির জন্য আবুল হাসান এবং জুওলজির জন্য গাজী আজমল স্যারের বই পড়বে। এগুলো পড়া শেষে আব্দুল আলীম স্যারের বইটাও দেখবে। এমন অনেক তথ্য আছে, যা একটা বইয়ে আছে কিন্তু আরেকটায় নেই। সেগুলো খুঁজে লিখে রাখবে। রসায়ন ১ম ও ২য় পত্রের জন্য হাজারী নাগ স্যারের বই পড়ে আহসানুল কবির স্যারের বই পড়বে। পদার্থবিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্রের জন্য আমির-ইসহাক স্যারের বইয়ের পাশাপাশি শাহজাহান তপন স্যারের বই থেকে বাড়তি তথ্য পড়বে। ইংরেজির জন্য এপেক্স, যেখানে মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেওয়া আছে। রুলস দেখলে বেসিক ক্লিয়ার হয়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য এমপিথ্রি সমাধান করলে বিগত সালের প্রশ্ন থেকে কমন পাওয়া যায়। এরপর কোচিংয়ের শিট যদি কেউ পড়তে চাও, তাহলে পড়তে পারো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ(জাতীয় মেধায় ২য় (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে