কামাল হোসেন, ঘাটাইল
ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেও ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়ম ঠেকানো যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের আত্মীয় ও কর্মীরা টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মো. লাল মিয়া নামে এক গ্রাম পুলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে লাল মিয়া নিজেই সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
লাল মিয়া বলেন, অধিকাংশ টাকা নানা কৌশলে চেয়ারম্যান হাতিয়ে নিয়েছেন। যাঁরা টাকা পেয়েছেন, তাঁরা হয় চেয়ারম্যানের আত্মীয়, না হয় কর্মী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাগরদীঘি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। শ্রমিকদের হাতে মজুরির টাকা সরাসরি পৌঁছে দিতে সরকার এবারই প্রথম ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করে। বলা হয়, নিবন্ধন করা সিমকার্ডের মাধ্যমে ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ শেষে শ্রমিকেরা টাকা পাবেন। চারটি প্রকল্পে ৮২ জন শ্রমিকের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১৩ লাখ ১২ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ প্রকল্পে দুইভাবে অনিয়ম করা হয়েছে। প্রথমত, শ্রমিক হিসেবে যাঁদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই শ্রমিক নন। তাঁরা সমাজের ধনী মানুষ এবং চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ বা বেনামি ব্যক্তি। দ্বিতীয়ত, শ্রমিক হিসেবে যাঁদের দেখানো হচ্ছে, তাঁদের টাকা পরবর্তীকালে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকা মামুন হোসাইন স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। ফুলমালিরচালা গ্রামের মজনু মিয়া একটি কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করেন। সাগরদীঘি, জোরদীঘি বাজার ও সখীপুরের বড়চওনা বাজারে তাঁর ইলেকট্রনিকসের দোকান রয়েছে। কামাল হোসেন একজন পল্লিচিকিৎসক। জোরদীঘি বাজারে কামাল ফার্মেসি নামে তাঁর ওষুধের দোকান রয়েছে। নাজমুল ইসলাম চাকরিজীবী। মাসুদ রানা সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর।
শ্রমিকের তালিকায় আছে উপজেলার ফুলমালিরচালা কারিগরি বি এম এ কৃষি কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. হাসান আলীর (৩৪) নাম। এ বিষয়ে হাসান আলী বলেন, করিমগঞ্জ গ্রামের মেহের আলী চেয়ারম্যানের কথা বলে তাঁর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি নিয়ে যান। তিনি সরল বিশ্বাসে তাঁকে এসব কাগজপত্র দেন। এরপর ঈদের আগে তাঁর বিকাশ নম্বরে ৭ হাজার ২৫০ টাকা আসে। পরে মেহের আলী এসে তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে যান।
মেহের আলী সাগরদীঘি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তাঁর নিজের নামও আছে শ্রমিকের তালিকায়তালিকায় নাম থাকা কামালপুর গ্রামের নারগিছ, আনরা ও খাদিজা আক্তার জানান, টাকা জমা দিতে হবে বলে চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার তাঁদের সিমকার্ডগুলো জমা দিতে বলেছেন। কথামতো চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে তাঁরা সিমকার্ড জমা দিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত সেসব সিমকার্ড তাঁরা ফেরত পাননি।
এ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কথায় আমি আমার এলাকা থেকে ৯ জন শ্রমিকের মোবাইল সিমকার্ড সংগ্রহ করে দিয়েছি। চেয়ারম্যান ছয়টি সিমকার্ড রেখে তিনটি আমাকে ফেরত দেন। সেই তিনটি সিমে ৭ হাজার ২৫০ টাকা করে মোট ২১ হাজার ৭৫০ টাকা জমা হয়। সেখান থেকেও চেয়ারম্যান ১০ হাজার টাকা চেয়েছেন।’
৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরহাদ আলী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুরুজ মিয়া বলেন, তাঁদের ওয়ার্ডের শ্রমিকেরা এখনো মজুরির টাকা পাননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে বিকাশের মাধ্যমে শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরি পেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই।’ শ্রমিকের তালিকায় ধনী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্তি এবং শ্রমিকদের সিমকার্ড নিজের কাছে জমা নেওয়ার ব্যাপারটি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, শ্রমিকের তালিকা তৈরি করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। শ্রমিকের টাকা যাচ্ছে ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি যোগদানের আগেই কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেও ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়ম ঠেকানো যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের আত্মীয় ও কর্মীরা টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মো. লাল মিয়া নামে এক গ্রাম পুলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে লাল মিয়া নিজেই সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
লাল মিয়া বলেন, অধিকাংশ টাকা নানা কৌশলে চেয়ারম্যান হাতিয়ে নিয়েছেন। যাঁরা টাকা পেয়েছেন, তাঁরা হয় চেয়ারম্যানের আত্মীয়, না হয় কর্মী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাগরদীঘি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। শ্রমিকদের হাতে মজুরির টাকা সরাসরি পৌঁছে দিতে সরকার এবারই প্রথম ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করে। বলা হয়, নিবন্ধন করা সিমকার্ডের মাধ্যমে ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ শেষে শ্রমিকেরা টাকা পাবেন। চারটি প্রকল্পে ৮২ জন শ্রমিকের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১৩ লাখ ১২ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ প্রকল্পে দুইভাবে অনিয়ম করা হয়েছে। প্রথমত, শ্রমিক হিসেবে যাঁদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই শ্রমিক নন। তাঁরা সমাজের ধনী মানুষ এবং চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ বা বেনামি ব্যক্তি। দ্বিতীয়ত, শ্রমিক হিসেবে যাঁদের দেখানো হচ্ছে, তাঁদের টাকা পরবর্তীকালে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকা মামুন হোসাইন স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। ফুলমালিরচালা গ্রামের মজনু মিয়া একটি কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করেন। সাগরদীঘি, জোরদীঘি বাজার ও সখীপুরের বড়চওনা বাজারে তাঁর ইলেকট্রনিকসের দোকান রয়েছে। কামাল হোসেন একজন পল্লিচিকিৎসক। জোরদীঘি বাজারে কামাল ফার্মেসি নামে তাঁর ওষুধের দোকান রয়েছে। নাজমুল ইসলাম চাকরিজীবী। মাসুদ রানা সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর।
শ্রমিকের তালিকায় আছে উপজেলার ফুলমালিরচালা কারিগরি বি এম এ কৃষি কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. হাসান আলীর (৩৪) নাম। এ বিষয়ে হাসান আলী বলেন, করিমগঞ্জ গ্রামের মেহের আলী চেয়ারম্যানের কথা বলে তাঁর কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি নিয়ে যান। তিনি সরল বিশ্বাসে তাঁকে এসব কাগজপত্র দেন। এরপর ঈদের আগে তাঁর বিকাশ নম্বরে ৭ হাজার ২৫০ টাকা আসে। পরে মেহের আলী এসে তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে যান।
মেহের আলী সাগরদীঘি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তাঁর নিজের নামও আছে শ্রমিকের তালিকায়তালিকায় নাম থাকা কামালপুর গ্রামের নারগিছ, আনরা ও খাদিজা আক্তার জানান, টাকা জমা দিতে হবে বলে চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার তাঁদের সিমকার্ডগুলো জমা দিতে বলেছেন। কথামতো চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে তাঁরা সিমকার্ড জমা দিয়ে এসেছেন। এখন পর্যন্ত সেসব সিমকার্ড তাঁরা ফেরত পাননি।
এ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কথায় আমি আমার এলাকা থেকে ৯ জন শ্রমিকের মোবাইল সিমকার্ড সংগ্রহ করে দিয়েছি। চেয়ারম্যান ছয়টি সিমকার্ড রেখে তিনটি আমাকে ফেরত দেন। সেই তিনটি সিমে ৭ হাজার ২৫০ টাকা করে মোট ২১ হাজার ৭৫০ টাকা জমা হয়। সেখান থেকেও চেয়ারম্যান ১০ হাজার টাকা চেয়েছেন।’
৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরহাদ আলী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুরুজ মিয়া বলেন, তাঁদের ওয়ার্ডের শ্রমিকেরা এখনো মজুরির টাকা পাননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে বিকাশের মাধ্যমে শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরি পেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই।’ শ্রমিকের তালিকায় ধনী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্তি এবং শ্রমিকদের সিমকার্ড নিজের কাছে জমা নেওয়ার ব্যাপারটি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, শ্রমিকের তালিকা তৈরি করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। শ্রমিকের টাকা যাচ্ছে ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি যোগদানের আগেই কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে