আয়নাল হোসেন, ঢাকা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) একসময় নানা ধরনের ভ্যাকসিন (টিকা), স্যালাইন, ব্লাড ব্যাগ, রিএজেন্ট ইত্যাদি উৎপাদন করা হতো। ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে একে একে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা। কিছু শাখার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। কয়েকটি বিভাগ বা শাখার এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। অথচ এসব বিভাগ বা শাখায় কর্মরত আছেন ৩০ জনের মতো চিকিৎসক। তাঁরা একরকম বসে বসে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে কিছু শাখা রয়েছে, যেগুলোর কোনো কাজ নেই। কাজ নেই এমন শাখার তিনজনকে তিনি আন্তশাখা বদলি করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইপিএইচে টিটেনাস-ডিপথেরিয়া পারটুসিস ল্যাব, ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরি (ভিএল), এন্টিসিরা (সাপের বিষের ওষুধ) শাখা, পাস্তুর কাম ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (পিসিভিআই) ইউনিট, আইভি ফ্লুইড (আইভিএফ) উৎপাদন ইউনিট, টিটেনাস-ডিপথেরিয়া টক্সয়েড ও ডিপিটি উৎপাদন শাখা, ডায়াগনস্টিক ভাইরোলজি ল্যাব (ডিভিএল) শাখা, ব্লাড ব্যাগ উৎপাদন ইউনিটসহ বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম বন্ধ আছে ৩ থেকে ৩০ বছর ধরে। এ ছাড়া রিএজেন্ট শাখার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই প্রতিষ্ঠানে মূলত কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন পদে লোকবল দরকার হলেও অনেক চিকিৎসক ঢাকায় থাকার অজুহাতে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ববিহীন বিভিন্ন শাখায় পদ নিয়ে আছেন। তাঁদের পেছনে সরকারের প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা খরচ হলেও তা জনগণের কোনো উপকারে আসছে না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. সামিউল ইসলাম সাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোর্স কারিকুলাম পরিচালনায় মেডিকেল অফিসারদের কাজে লাগানো হয়। তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মসূচি বন্ধ হয়ে থাকলেও তা জানানো হয়নি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। তেমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জীবাণুবিদ ডা. নাসিমা পারভীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের টিটেনাস-ডিপথেরিয়া পারটুসিস ল্যাব শাখায় কর্মরত ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। অথচ ২০০৪ সালের আগেই এই শাখায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডা. নাসিমা পারভীন বলেন, ‘আমি এখন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রেষণে আছি।’ তিনি জানান, একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় তিনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে (এনসিএল) কাজ করছেন। তবে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন আইপিএইচ থেকে।
জীবাণুবিদ ডা. রাসেল আহমেদ ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরি (ভিএল) শাখায় কর্মরত ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর থেকে। এই শাখা ১৯৯৫-১৯৯৬ সালের দিকে বন্ধ হয়। ডা. মোহাম্মদ আহসান উদ্দিন ডিপিটি শাখার তত্ত্বাবধায়ক হলেও শাখাটি ৩০ বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আইপিএইচের যেসব শাখা বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানখার চিকিৎসকেরা চালু থাকা অন্য শাখায় কাজ করছেন। তবে চালু কিছু শাখা এখনো অর্গানোগ্রামে নেই। তিনি জানান, অর্গানোগ্রাম সংশোধনের কাজ চলছে।
জীবাণুবিদ ডা. রেজাউল হায়াত ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট থেকে এন্টিসিরা শাখায় কর্মরত। শাখাটি প্রায় ৩০ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ডা. রেজাউল হায়াতের সঙ্গে আইপিএইচের তিনতলায় একাডেমিক শাখায় কথা হয় গত মঙ্গলবার দুপুরে। তিনি জানান, এন্টিসিরা শাখার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তিনি এখন একাডেমিক উইংয়ে কাজ করছেন। একাডেমিক উইংয়ে ২৭ জন চিকিৎসক কর্মরত। ডা. আছিয়াত পারভীনও ২০১৬ সালের ২ জুন থেকে এন্টিসিরা শাখায় কর্মরত।
প্রতিষ্ঠানটির পিসিভিআই ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মরত আছেন ডা. মোহাম্মদ জাফর মিয়া। শাখাটি ২০০৮ সাল থেকে বন্ধ আছে। ডা. জাফর মিয়া বলেন, শাখার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষ যখন যে দায়িত্ব দিচ্ছেন, তা তিনি পালন করছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্যালাইন শাখায় ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ডা. সুরাইয়া বেগম। শাখাটি ২০২০ সালের জুনে বন্ধ হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আইপিএইচের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জলাতঙ্ক, সাপে কামড়ের ভ্যাকসিনসহ বিশ্বমানের টিকা তৈরি করত। অনেক শাখা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। সেখানে বাড়তি জনবল থাকলে সরকারের উচিত হবে একটি কমিটির মাধ্যমে সক্ষমতা যাচাই করা। সেখানে অপ্রয়োজনীয় জনবল থাকলে তাঁদের অন্যত্র বদলি করা উচিত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) একসময় নানা ধরনের ভ্যাকসিন (টিকা), স্যালাইন, ব্লাড ব্যাগ, রিএজেন্ট ইত্যাদি উৎপাদন করা হতো। ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে একে একে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা। কিছু শাখার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। কয়েকটি বিভাগ বা শাখার এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। অথচ এসব বিভাগ বা শাখায় কর্মরত আছেন ৩০ জনের মতো চিকিৎসক। তাঁরা একরকম বসে বসে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে কিছু শাখা রয়েছে, যেগুলোর কোনো কাজ নেই। কাজ নেই এমন শাখার তিনজনকে তিনি আন্তশাখা বদলি করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইপিএইচে টিটেনাস-ডিপথেরিয়া পারটুসিস ল্যাব, ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরি (ভিএল), এন্টিসিরা (সাপের বিষের ওষুধ) শাখা, পাস্তুর কাম ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (পিসিভিআই) ইউনিট, আইভি ফ্লুইড (আইভিএফ) উৎপাদন ইউনিট, টিটেনাস-ডিপথেরিয়া টক্সয়েড ও ডিপিটি উৎপাদন শাখা, ডায়াগনস্টিক ভাইরোলজি ল্যাব (ডিভিএল) শাখা, ব্লাড ব্যাগ উৎপাদন ইউনিটসহ বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম বন্ধ আছে ৩ থেকে ৩০ বছর ধরে। এ ছাড়া রিএজেন্ট শাখার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই প্রতিষ্ঠানে মূলত কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন পদে লোকবল দরকার হলেও অনেক চিকিৎসক ঢাকায় থাকার অজুহাতে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ববিহীন বিভিন্ন শাখায় পদ নিয়ে আছেন। তাঁদের পেছনে সরকারের প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা খরচ হলেও তা জনগণের কোনো উপকারে আসছে না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. সামিউল ইসলাম সাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোর্স কারিকুলাম পরিচালনায় মেডিকেল অফিসারদের কাজে লাগানো হয়। তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কোনো কর্মসূচি বন্ধ হয়ে থাকলেও তা জানানো হয়নি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। তেমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জীবাণুবিদ ডা. নাসিমা পারভীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের টিটেনাস-ডিপথেরিয়া পারটুসিস ল্যাব শাখায় কর্মরত ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। অথচ ২০০৪ সালের আগেই এই শাখায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডা. নাসিমা পারভীন বলেন, ‘আমি এখন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রেষণে আছি।’ তিনি জানান, একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় তিনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে (এনসিএল) কাজ করছেন। তবে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন আইপিএইচ থেকে।
জীবাণুবিদ ডা. রাসেল আহমেদ ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরি (ভিএল) শাখায় কর্মরত ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর থেকে। এই শাখা ১৯৯৫-১৯৯৬ সালের দিকে বন্ধ হয়। ডা. মোহাম্মদ আহসান উদ্দিন ডিপিটি শাখার তত্ত্বাবধায়ক হলেও শাখাটি ৩০ বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আইপিএইচের যেসব শাখা বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানখার চিকিৎসকেরা চালু থাকা অন্য শাখায় কাজ করছেন। তবে চালু কিছু শাখা এখনো অর্গানোগ্রামে নেই। তিনি জানান, অর্গানোগ্রাম সংশোধনের কাজ চলছে।
জীবাণুবিদ ডা. রেজাউল হায়াত ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট থেকে এন্টিসিরা শাখায় কর্মরত। শাখাটি প্রায় ৩০ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ডা. রেজাউল হায়াতের সঙ্গে আইপিএইচের তিনতলায় একাডেমিক শাখায় কথা হয় গত মঙ্গলবার দুপুরে। তিনি জানান, এন্টিসিরা শাখার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তিনি এখন একাডেমিক উইংয়ে কাজ করছেন। একাডেমিক উইংয়ে ২৭ জন চিকিৎসক কর্মরত। ডা. আছিয়াত পারভীনও ২০১৬ সালের ২ জুন থেকে এন্টিসিরা শাখায় কর্মরত।
প্রতিষ্ঠানটির পিসিভিআই ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মরত আছেন ডা. মোহাম্মদ জাফর মিয়া। শাখাটি ২০০৮ সাল থেকে বন্ধ আছে। ডা. জাফর মিয়া বলেন, শাখার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষ যখন যে দায়িত্ব দিচ্ছেন, তা তিনি পালন করছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্যালাইন শাখায় ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ডা. সুরাইয়া বেগম। শাখাটি ২০২০ সালের জুনে বন্ধ হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আইপিএইচের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জলাতঙ্ক, সাপে কামড়ের ভ্যাকসিনসহ বিশ্বমানের টিকা তৈরি করত। অনেক শাখা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। সেখানে বাড়তি জনবল থাকলে সরকারের উচিত হবে একটি কমিটির মাধ্যমে সক্ষমতা যাচাই করা। সেখানে অপ্রয়োজনীয় জনবল থাকলে তাঁদের অন্যত্র বদলি করা উচিত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে