মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
গোখাদ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের গরু খামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণে ৪২ হাজার ৮২৫টি গরু, ১৭ হাজার ৩১৫টি ছাগল ও ২২০টি ভেড়া রয়েছে। বর্তমানে অনেক এলাকায় এই গোখাদ্যের অধিক মূল্যের কারণে অসংখ্য পরিবার পশু পালন ছেড়ে দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার এমন কোনো বাড়ি নেই, যে বাড়িতে একটা-দুটা অথবা তার অধিক গরু এবং ছাগল নেই। কিন্তু এই গরু-ছাগল পালনে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যের দাম। খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পশু পালনকারীরা। এক সময় গরু-ছাগল পালন লাভজনক ছিল। এখন গরু-ছাগল পালনে আর আগের মতো লাভ হচ্ছে না। গরুর প্রধান প্রধান খাদ্য হচ্ছে খড় আর ঘাস।
এক সময় এ অঞ্চলে এক ফসলি চাষ হতো। এ ছাড়ও প্রচুর পতিত জমি ছিলো। সেখানে প্রচুর ঘাস হতো। বর্তমানে তেমন কোনো পতিত জমি নেই। তা ছাড়া দুই থেকে তিন ফসলি চাষ হচ্ছে। অনেক কৃষি জমি কেটে চর বানিয়ে মাছ চাষ করায় ঘাস এবং খড় দুটিরই সংকট। বিকল্প ঘাস চাষ পদ্ধতি থাকলেও কৃষি এবং প্রাণিসম্পদ অফিসের তেমন ভূমিকা না থাকায় কৃষক/চাষিরা সেদিকে যাচ্ছে না বা সে বিষয়ে কিছুই জানে না। দিন দিন কৃষি জমি কমে যাওয়াতে খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই তার দামও আকাশচুম্বী। এই দুই সংকটের কারণে এখন আর পারিবারিকভাবে পশু পালন তেমন একটা দেখা যায় না।
পারিবারিকভাবে পশু পালন কমে গেলেও বেশ কিছু শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত যুবক গরু-ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে। আবার সরকারিভাবে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে উৎসাহ দিলেও পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই পশু পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি গমের ভুসির দাম ৪৫ টাকা, ছোলার ভুসির দাম ৬০-৬৫ টাকা হওয়ায় উপজেলায় তার তেমন একটা চাহিদা নেই। অ্যাংকর ভুসি ৪৭ টাকা, মসুর ভুসি ৪০ টাকা, খুদ ৩৫ টাকা, ধানের কুড়া ১৫ টাকা, খৈল ৪৫ টাকা, ফিড ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক বছর আগেও এক কেজি গমের ভুসির দাম ২৮ টাকা, অ্যাংকর ভুসি ৩০ টাকা, মসুর ভুসি ২৫ টাকা, খুদ ১৮ টাকা, ধানের কুড়া ৫ টাকা, খৈল ৩০ টাকা, ফিড ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
প্রায় প্রতিটি খাবারের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো বেড়েছে। খাবারের এই বাড়তি খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন গরু-ছাগল পালনকারীরা।
বর্তমানে বাজারে গম আর মোটরের চেয়ে দাম বেশি গরুর খাদ্য ভুসির। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে এসব গো-খাদ্যের দাম। উপজেলার নায়েরগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফ তিনটি গরু পালন করেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘গরু পালন করে বেশ লাভ হচ্ছিল। কিন্তু গত এক-দুই বছর কোনো রকম টিকে আছি। বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় তা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। গরু পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পারিশ্রমিক বাদ দিলে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, লোকসানের ভাগ বেশি। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে গরু বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের খামারি মানিক বলেন, ‘আমার খামারে ১৪টি গরু আছে।’ কিন্তু তিনি গরুর খাবারের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘গরুর প্রধান খাদ্যসহ প্রায় সব খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে গরু পালন করে লোকসানে পড়তে হবে।
খামারিরা মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে মনোযোগী হলে পশুখাদ্যের দাম স্বাভাবিক হতে পারত। সরকার যদি সহজ শর্তে গরু খামারিদের ও গরু পালনকারীদের ঋণ দেয় ও পশুখাদ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে অনেকেই গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হবে।
গোখাদ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের গরু খামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণে ৪২ হাজার ৮২৫টি গরু, ১৭ হাজার ৩১৫টি ছাগল ও ২২০টি ভেড়া রয়েছে। বর্তমানে অনেক এলাকায় এই গোখাদ্যের অধিক মূল্যের কারণে অসংখ্য পরিবার পশু পালন ছেড়ে দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার এমন কোনো বাড়ি নেই, যে বাড়িতে একটা-দুটা অথবা তার অধিক গরু এবং ছাগল নেই। কিন্তু এই গরু-ছাগল পালনে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যের দাম। খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পশু পালনকারীরা। এক সময় গরু-ছাগল পালন লাভজনক ছিল। এখন গরু-ছাগল পালনে আর আগের মতো লাভ হচ্ছে না। গরুর প্রধান প্রধান খাদ্য হচ্ছে খড় আর ঘাস।
এক সময় এ অঞ্চলে এক ফসলি চাষ হতো। এ ছাড়ও প্রচুর পতিত জমি ছিলো। সেখানে প্রচুর ঘাস হতো। বর্তমানে তেমন কোনো পতিত জমি নেই। তা ছাড়া দুই থেকে তিন ফসলি চাষ হচ্ছে। অনেক কৃষি জমি কেটে চর বানিয়ে মাছ চাষ করায় ঘাস এবং খড় দুটিরই সংকট। বিকল্প ঘাস চাষ পদ্ধতি থাকলেও কৃষি এবং প্রাণিসম্পদ অফিসের তেমন ভূমিকা না থাকায় কৃষক/চাষিরা সেদিকে যাচ্ছে না বা সে বিষয়ে কিছুই জানে না। দিন দিন কৃষি জমি কমে যাওয়াতে খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই তার দামও আকাশচুম্বী। এই দুই সংকটের কারণে এখন আর পারিবারিকভাবে পশু পালন তেমন একটা দেখা যায় না।
পারিবারিকভাবে পশু পালন কমে গেলেও বেশ কিছু শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত যুবক গরু-ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে। আবার সরকারিভাবে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে উৎসাহ দিলেও পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই পশু পালনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি গমের ভুসির দাম ৪৫ টাকা, ছোলার ভুসির দাম ৬০-৬৫ টাকা হওয়ায় উপজেলায় তার তেমন একটা চাহিদা নেই। অ্যাংকর ভুসি ৪৭ টাকা, মসুর ভুসি ৪০ টাকা, খুদ ৩৫ টাকা, ধানের কুড়া ১৫ টাকা, খৈল ৪৫ টাকা, ফিড ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক বছর আগেও এক কেজি গমের ভুসির দাম ২৮ টাকা, অ্যাংকর ভুসি ৩০ টাকা, মসুর ভুসি ২৫ টাকা, খুদ ১৮ টাকা, ধানের কুড়া ৫ টাকা, খৈল ৩০ টাকা, ফিড ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
প্রায় প্রতিটি খাবারের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো বেড়েছে। খাবারের এই বাড়তি খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন গরু-ছাগল পালনকারীরা।
বর্তমানে বাজারে গম আর মোটরের চেয়ে দাম বেশি গরুর খাদ্য ভুসির। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে এসব গো-খাদ্যের দাম। উপজেলার নায়েরগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফ তিনটি গরু পালন করেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘গরু পালন করে বেশ লাভ হচ্ছিল। কিন্তু গত এক-দুই বছর কোনো রকম টিকে আছি। বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় তা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। গরু পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পারিশ্রমিক বাদ দিলে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, লোকসানের ভাগ বেশি। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে গরু বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের খামারি মানিক বলেন, ‘আমার খামারে ১৪টি গরু আছে।’ কিন্তু তিনি গরুর খাবারের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘গরুর প্রধান খাদ্যসহ প্রায় সব খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে গরু পালন করে লোকসানে পড়তে হবে।
খামারিরা মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে মনোযোগী হলে পশুখাদ্যের দাম স্বাভাবিক হতে পারত। সরকার যদি সহজ শর্তে গরু খামারিদের ও গরু পালনকারীদের ঋণ দেয় ও পশুখাদ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে অনেকেই গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে