বাগেরহাট প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বাগেরহাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল জেলার বেশির ভাগ এলাকা। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কোনো বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলায় ২ হাজার ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৭৫০টি ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে প্রায় ৮৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর রোপা আমনের জমি, ৩৭৫ হেক্টর শীতকালীন সবজি, ১৭ হেক্টর পানের বরজ, ১১০ হেক্টর কলা, ২০ হেক্টর মরিচ, ৭ হেক্টর পেঁপে ও ৬ হেক্টর বিভিন্ন শীতকালীন সবজির বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিম্নাঞ্চলে জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ না হলে কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
অন্যদিকে বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া, পঞ্চকরণ, বারুইখালী, বাগেরহাট সদরের মাঝিডাঙ্গা, কার্তিকদিয়া, যাত্রাপুর, কচুয়ার নরেন্দ্রপুর, পদ্মনগর, গোপালপুর, ভান্ডারখোলা, শরণখোলার সাউথখালী, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, ধানসাগরসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসব গ্রামের ২ হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঝড়ের ফলে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তত ৩৫টি খুঁটি এবং বেশ কিছু সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে জেলার বেশির ভাগ এলাকা এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার শামীম হাসান বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে রাতে পানি ঢুকে আমাদের বাড়িঘর সব ডুবে গেছে। মাছের ঘের, সবজি ও ধানখেত এখন পানির নিচে। আমাদের গ্রামের অন্তত ৪০০ পরিবার পানিবন্দী।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার ৭৫০টি মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এসে মাছচাষিদের প্রায় ৮৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের দ্রুত মৎস্য ঘের সংস্কার করে আবার মাছ চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, জেলায় বেশ কিছু আমন ধানখেত, মৌসুমি সবজি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নেমে না গেলে কৃষকদের আরও বেশি ক্ষতি হবে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, ‘বিদ্যুতের অনেক খুঁটি ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কারের চেষ্টা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক করার।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বাগেরহাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল জেলার বেশির ভাগ এলাকা। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কোনো বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলায় ২ হাজার ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ৭৫০টি ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে প্রায় ৮৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর রোপা আমনের জমি, ৩৭৫ হেক্টর শীতকালীন সবজি, ১৭ হেক্টর পানের বরজ, ১১০ হেক্টর কলা, ২০ হেক্টর মরিচ, ৭ হেক্টর পেঁপে ও ৬ হেক্টর বিভিন্ন শীতকালীন সবজির বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিম্নাঞ্চলে জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ না হলে কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
অন্যদিকে বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া, পঞ্চকরণ, বারুইখালী, বাগেরহাট সদরের মাঝিডাঙ্গা, কার্তিকদিয়া, যাত্রাপুর, কচুয়ার নরেন্দ্রপুর, পদ্মনগর, গোপালপুর, ভান্ডারখোলা, শরণখোলার সাউথখালী, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, ধানসাগরসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসব গ্রামের ২ হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঝড়ের ফলে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তত ৩৫টি খুঁটি এবং বেশ কিছু সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে জেলার বেশির ভাগ এলাকা এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার শামীম হাসান বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে রাতে পানি ঢুকে আমাদের বাড়িঘর সব ডুবে গেছে। মাছের ঘের, সবজি ও ধানখেত এখন পানির নিচে। আমাদের গ্রামের অন্তত ৪০০ পরিবার পানিবন্দী।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার ৭৫০টি মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এসে মাছচাষিদের প্রায় ৮৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের দ্রুত মৎস্য ঘের সংস্কার করে আবার মাছ চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, জেলায় বেশ কিছু আমন ধানখেত, মৌসুমি সবজি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নেমে না গেলে কৃষকদের আরও বেশি ক্ষতি হবে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, ‘বিদ্যুতের অনেক খুঁটি ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কারের চেষ্টা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক করার।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে