এসআই ফিরোজ আলম গ্রেপ্তার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮: ৩৫
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ২২

ফেনীতে সোনা ডাকাতির মামলায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসআই ফিরোজ চট্টগ্রাম কোতোয়ালি ডিবিতে উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, গত ৮ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় গোপাল কান্তি নামের চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি সোনার বার লুটের অভিযোগে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই ওই ব্যবসায়ী ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ডিবির সাবেক ওসি সাইফুল ইসলামসহ ৩ উপপরিদর্শক ও ২ সহকারী উপপরিদর্শককে গ্রেপ্তার হয়। এ সময় ডিবির ওসির বাসভবন থেকে লুট করা ১৫টি বার উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, এসআই ফিরোজ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি কর্মস্থলে ছিলেন না। অসুস্থতার কারণে গ্রামের বাড়ি ছিলেন।

পিবিআই আরও জানায়, ঘটনার দিন এসআই ফিরোজ চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর ডিবির ওসিকে তথ্য দেন এবং মোট সোনা থেকে একটি ভাগ এসআই ফিরোজ পাবেন বলে মধ্যস্থতা হয়। এমন অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় উল্লিখিত বাকি পাঁচটি সোনার বারের তথ্য আজও পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার বিকেলে এসআই ফিরোজ আলমকে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।

তবে কারাগারে পাঠানোর সময় এসআই ফিরোজ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার দিন তিনি খবর পেয়ে ডিবির ওসিকে শুধু সোনা পাচারের তথ্য জানিয়েছিলেন।

সোনার বার ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া ও এএসআই মাসুদ রানা। ইতিমধ্যে দুই দফা ছয় দিনের রিমান্ড শেষ তাঁরা কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বাদী গোপালের সাবেক ব্যবসায়ী অংশীদার সমিদুল আলম ভুট্টো ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে রয়েছেন। তা ছাড়া এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের রিকুইজিশন করা দুটি গাড়ির চালকও ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বাক্ষ্যমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশ গত ১০ আগস্ট রাতে বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ী গোপাল গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে ২০টি সোনার বার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তাঁর গাড়ি থামায়। গাড়ি তল্লাশির একপর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে সোনার বারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় তিনি পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগকারী চার পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেন। এ সময় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা আরও দুজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম বলেন। তাঁরা ২০টি সোনার বার ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাসা থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ট্রাইব্যুনালে কাঁদলেন ওসি মাজহার, নির্দোষ দাবি এনটিএমসির জিয়াউলের

বাংলাদেশকে কঠোর বার্তা দেবেন ট্রাম্প: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মার্কিন নেতা

জুলাই–আগস্ট গণহত্যা: ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে সময় এক মাস

বগুড়ায় নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করা শিশুর লাশ মিলল পুকুরে

মার্কিন উপকূলে আবারও ‘কেয়ামতের মাছ’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত