আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
খামারি ও গোখাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে বস্তাপ্রতি ফিড ৪০০ থেকে ৫০০ এবং গমের ভুসি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। আর ছোলার ভুসি ৭০০ থেকে ৮০০, চালের খুদ ৭০০ থেকে ৮০০ ও লবণ ৩০০ টাকা বস্তা পাওয়া যেত।
গতকাল বুধবার স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বস্তা ফিড ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ এবং গমের ভুসি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া ছোলার ভুসি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০, চালের খুদ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ ও লবণ ৭২০ টাকা বস্তা বিক্রি হচ্ছে।
আমরুলবাড়ি আসমতপাড়া গ্রামের খামারি ইলিয়াছ আহম্মেদের ছয়টি গাভি দৈনিক দুধ দিচ্ছে ৬০ লিটার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। পাঁচ বছর আগেও এই দামে দুধ বিক্রি করেছি। এখন দুধ বিক্রির টাকায় গরুর খাবারও হচ্ছে না। আর গরু লালনপালন করা যাবে না।’
মৌলভীপাড়া গ্রামের খামারি মশিউর রহমান জানান, ফিড ও ভুসি গরুর প্রধান খাদ্য। এসব খাওয়াতে না পারলে কখনো গরুর স্বাস্থ্য কিংবা দুধ বৃদ্ধি হবে না। কিন্তু এসব খাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে গরু লালনপালন করে কোনো লাভ নেই।
আয়-ব্যয়ের এমন বৈষম্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর গ্রামের খামারি মামুনুর রশিদ বলেন, পাঁচ বছরে গরুর খাদ্যের দাম বাড়তে বাড়তে এখন দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু এই পাঁচ বছরে দুধের দাম এক টাকাও বাড়েনি।
গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা আজ যে দামে খুচরা বিক্রি করছেন, কালকে আবার সেই দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই গরুর খাদ্য কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কিনছেন চাহিদার অর্ধেক।
পৌর শহরের কথাকলি রোডের ব্যবসায়ী শওকত হোসেন বলেন, ‘ভুসি ও ফিড কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলছে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি এবং রাশিয়া থেকে গম, ভুট্টা না আসা। এই কারণ দেখিয়ে কোম্পানিগুলো গত পাঁচ মাসে চার দফায় ফিড ও ভুসির দাম বাড়িয়েছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এখানে নিবন্ধিত গাভির খামারের সংখ্যা ৪৯টি ও অনিবন্ধিত ১৩৫টি। আর ছাগলের নিবন্ধিত দুটি ও অনিবন্ধিত ৩৩টি এবং ভেড়ার অনিবন্ধিত ১৯টি খামার রয়েছে।
কার্যালয় থেকে আরও জানা গেছে, বদরগঞ্জে দুধ ও গরুর মাংস চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক চাহিদা ৭২ মেট্রিক টনের জায়গায় দুধ উৎপাদন হচ্ছে ৭৪ মেট্রিক টন ৩৮০ কেজি। এ উপজেলায় তিনটি কোম্পানি দৈনিক দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে মাত্র ৮ মেট্রিক টন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজমল হুদা তপন বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়ে চলছে। সত্যিই খামারিরা হিমশিমে পড়েছেন। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হলেও বাড়েনি দুধের দাম। এ কারণে লোকসানে পড়ছেন গরু খামারিরা। কৃষি অধিদপ্তর যেমন সার ও বীজ কৃষককে ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে, তেমনি গো-খাদ্যের জন্য খামারিকে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র পাঠিয়েছি।’
খামারি ও গোখাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে বস্তাপ্রতি ফিড ৪০০ থেকে ৫০০ এবং গমের ভুসি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। আর ছোলার ভুসি ৭০০ থেকে ৮০০, চালের খুদ ৭০০ থেকে ৮০০ ও লবণ ৩০০ টাকা বস্তা পাওয়া যেত।
গতকাল বুধবার স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বস্তা ফিড ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ এবং গমের ভুসি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া ছোলার ভুসি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০, চালের খুদ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ ও লবণ ৭২০ টাকা বস্তা বিক্রি হচ্ছে।
আমরুলবাড়ি আসমতপাড়া গ্রামের খামারি ইলিয়াছ আহম্মেদের ছয়টি গাভি দৈনিক দুধ দিচ্ছে ৬০ লিটার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। পাঁচ বছর আগেও এই দামে দুধ বিক্রি করেছি। এখন দুধ বিক্রির টাকায় গরুর খাবারও হচ্ছে না। আর গরু লালনপালন করা যাবে না।’
মৌলভীপাড়া গ্রামের খামারি মশিউর রহমান জানান, ফিড ও ভুসি গরুর প্রধান খাদ্য। এসব খাওয়াতে না পারলে কখনো গরুর স্বাস্থ্য কিংবা দুধ বৃদ্ধি হবে না। কিন্তু এসব খাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে গরু লালনপালন করে কোনো লাভ নেই।
আয়-ব্যয়ের এমন বৈষম্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর গ্রামের খামারি মামুনুর রশিদ বলেন, পাঁচ বছরে গরুর খাদ্যের দাম বাড়তে বাড়তে এখন দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু এই পাঁচ বছরে দুধের দাম এক টাকাও বাড়েনি।
গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা আজ যে দামে খুচরা বিক্রি করছেন, কালকে আবার সেই দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই গরুর খাদ্য কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কিনছেন চাহিদার অর্ধেক।
পৌর শহরের কথাকলি রোডের ব্যবসায়ী শওকত হোসেন বলেন, ‘ভুসি ও ফিড কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলছে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি এবং রাশিয়া থেকে গম, ভুট্টা না আসা। এই কারণ দেখিয়ে কোম্পানিগুলো গত পাঁচ মাসে চার দফায় ফিড ও ভুসির দাম বাড়িয়েছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এখানে নিবন্ধিত গাভির খামারের সংখ্যা ৪৯টি ও অনিবন্ধিত ১৩৫টি। আর ছাগলের নিবন্ধিত দুটি ও অনিবন্ধিত ৩৩টি এবং ভেড়ার অনিবন্ধিত ১৯টি খামার রয়েছে।
কার্যালয় থেকে আরও জানা গেছে, বদরগঞ্জে দুধ ও গরুর মাংস চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক চাহিদা ৭২ মেট্রিক টনের জায়গায় দুধ উৎপাদন হচ্ছে ৭৪ মেট্রিক টন ৩৮০ কেজি। এ উপজেলায় তিনটি কোম্পানি দৈনিক দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে মাত্র ৮ মেট্রিক টন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজমল হুদা তপন বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়ে চলছে। সত্যিই খামারিরা হিমশিমে পড়েছেন। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হলেও বাড়েনি দুধের দাম। এ কারণে লোকসানে পড়ছেন গরু খামারিরা। কৃষি অধিদপ্তর যেমন সার ও বীজ কৃষককে ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে, তেমনি গো-খাদ্যের জন্য খামারিকে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র পাঠিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে