মাদারীপুর প্রতিনিধি
দুই মাস খাবার বন্ধের পর সরকারি বরাদ্দের খাবার দেওয়া শুরু হলেও খাবারে চোখ নেই বানরের। বরং শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খাবারের জন্য মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা করছে। খাবার দেওয়া শুরু হলেও ফিরছে না মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়ায়।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা এই বানরগুলো খাদ্যের অভাবে দিন দিন বিলুপ্তির দিকে। তবে এ বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে আগামী এক বছরের জন্য সরকারিভাবে বানরের খাবার দেওয়ার জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে খাবার দেওয়া শুরু হয়।
জানা গেছে, বানরগুলো চরমুগরিয়া এলাকার কালীবাড়ি, জেটিসি থানা বা ফাঁড়ি, জেমস একাডেমি, নদীর পাড় ও জমাদ্দার মিল এলাকায় কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে থাকত।
খাবার না পাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেক বানর মাদারীপুর শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এরা প্রতিনিয়ত মানুষজনের হাত থেকে খাবার ছিনিয়ে নেয়। এমনকি শহরের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে খাবার নিয়ে পালিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে সরকারিভাবে মাদারীপুর বন বিভাগ থেকে বানরের খাবারের জন্য ১ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন বানরকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে খাদ্য বিতরণ এবং বানরদের থাকার জন্য স্থায়ী শেড নির্মাণ ও বিভিন্ন ধরনের ফলফলারির গাছ লাগানোর ব্যবস্থা ছিল। পরে ২০০৮ সালে বানরদের জন্য ৫ লাখ টাকার একটি শেড নির্মাণকাজ হয়। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু গাছ লাগানো হলেও গাছগুলো সংরক্ষণের অভাবে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে দুবার বানরদের জন্য কিছু বরাদ্দ এলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে এই খাদ্য বিতরণ। এতে না খেয়ে অনেক বানর মারা যায়। আবার অনেক বানর জেলার বাইরে চলে যায়।
অন্যদিকে মাদারীপুর বন বিভাগ জানায়, বানরের জন্য নিয়মিতভাবে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ না থাকায় মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের মতো বিতরণ বন্ধ ছিল।
এরপর এ বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে আবার খাদ্য বিতরণ শুরু হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে শামীম ইন্টারন্যাশনাল বানরের খাবার বিতরণের কাজ পায়। এক বছরের জন্য ২৯ লাখ টাকার খাবারের বরাদ্দ আসে। খাবার বিতরণের দেখাশোনার দায়িত্ব পায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের সবুজ বাংলাদেশ।
স্বপ্নের সবুজ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মুন্সি বলেন, ‘সপ্তাহে তিন দিন খাবার দেওয়া হয়। প্রতিবার ৭০ কেজি কলা, ৪০ কেজি রুটি, ৪০ কেজি শসা ও ২৫ কেজি বাদাম দেওয়া হয়। তবে বানরগুলো চরমুগরিয়া থেকে শহরের দিক চলে যাওয়ায় বানর খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারীপুর বন বিভাগ চরমুগরিয়া এলাকার নয়াচরে একটি ইকোপার্ক তৈরি করেছে। সেই ইকোপার্কে বানরগুলোর জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হবে; কিন্তু প্রথম পর্যায়ে ইকোপার্কের কাজ হলেও জায়গা জটিলতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করা হয়নি। ফলে বানরগুলোকে সেখানে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে কোনো কাজে না এসেই ১০.৩৬ একরের ওপর গড়ে ওঠা ইকোপার্কটি নষ্ট হতে চলছে।
মাদারীপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বর্তমানে বানরদের খাবারের জন্য সরকারিভাবে এক বছরের জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। ২৭ অক্টোবর থেকে নিয়মিতভাবে খাবার দেওয়া হচ্ছে। পার্কের ব্যাপারে তিনি বলেন, জায়গার নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন মামলা দিয়েছেন। তাই এ জটিলতায় দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।
দুই মাস খাবার বন্ধের পর সরকারি বরাদ্দের খাবার দেওয়া শুরু হলেও খাবারে চোখ নেই বানরের। বরং শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খাবারের জন্য মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা করছে। খাবার দেওয়া শুরু হলেও ফিরছে না মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়ায়।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা এই বানরগুলো খাদ্যের অভাবে দিন দিন বিলুপ্তির দিকে। তবে এ বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে আগামী এক বছরের জন্য সরকারিভাবে বানরের খাবার দেওয়ার জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে খাবার দেওয়া শুরু হয়।
জানা গেছে, বানরগুলো চরমুগরিয়া এলাকার কালীবাড়ি, জেটিসি থানা বা ফাঁড়ি, জেমস একাডেমি, নদীর পাড় ও জমাদ্দার মিল এলাকায় কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে থাকত।
খাবার না পাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেক বানর মাদারীপুর শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এরা প্রতিনিয়ত মানুষজনের হাত থেকে খাবার ছিনিয়ে নেয়। এমনকি শহরের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে খাবার নিয়ে পালিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে সরকারিভাবে মাদারীপুর বন বিভাগ থেকে বানরের খাবারের জন্য ১ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন বানরকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে খাদ্য বিতরণ এবং বানরদের থাকার জন্য স্থায়ী শেড নির্মাণ ও বিভিন্ন ধরনের ফলফলারির গাছ লাগানোর ব্যবস্থা ছিল। পরে ২০০৮ সালে বানরদের জন্য ৫ লাখ টাকার একটি শেড নির্মাণকাজ হয়। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু গাছ লাগানো হলেও গাছগুলো সংরক্ষণের অভাবে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে দুবার বানরদের জন্য কিছু বরাদ্দ এলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে এই খাদ্য বিতরণ। এতে না খেয়ে অনেক বানর মারা যায়। আবার অনেক বানর জেলার বাইরে চলে যায়।
অন্যদিকে মাদারীপুর বন বিভাগ জানায়, বানরের জন্য নিয়মিতভাবে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ না থাকায় মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের মতো বিতরণ বন্ধ ছিল।
এরপর এ বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে আবার খাদ্য বিতরণ শুরু হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে শামীম ইন্টারন্যাশনাল বানরের খাবার বিতরণের কাজ পায়। এক বছরের জন্য ২৯ লাখ টাকার খাবারের বরাদ্দ আসে। খাবার বিতরণের দেখাশোনার দায়িত্ব পায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের সবুজ বাংলাদেশ।
স্বপ্নের সবুজ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মুন্সি বলেন, ‘সপ্তাহে তিন দিন খাবার দেওয়া হয়। প্রতিবার ৭০ কেজি কলা, ৪০ কেজি রুটি, ৪০ কেজি শসা ও ২৫ কেজি বাদাম দেওয়া হয়। তবে বানরগুলো চরমুগরিয়া থেকে শহরের দিক চলে যাওয়ায় বানর খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারীপুর বন বিভাগ চরমুগরিয়া এলাকার নয়াচরে একটি ইকোপার্ক তৈরি করেছে। সেই ইকোপার্কে বানরগুলোর জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হবে; কিন্তু প্রথম পর্যায়ে ইকোপার্কের কাজ হলেও জায়গা জটিলতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করা হয়নি। ফলে বানরগুলোকে সেখানে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে কোনো কাজে না এসেই ১০.৩৬ একরের ওপর গড়ে ওঠা ইকোপার্কটি নষ্ট হতে চলছে।
মাদারীপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বর্তমানে বানরদের খাবারের জন্য সরকারিভাবে এক বছরের জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। ২৭ অক্টোবর থেকে নিয়মিতভাবে খাবার দেওয়া হচ্ছে। পার্কের ব্যাপারে তিনি বলেন, জায়গার নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন মামলা দিয়েছেন। তাই এ জটিলতায় দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে