সম্পাদকীয়
বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর সুবিধামতো সময়ে বিভিন্ন পণ্যসহ চালের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লুটে নেয়। এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলগেটের দাম, উৎপাদনের তারিখ, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও ওজনের তথ্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলার নামও উল্লেখ করতে হবে। ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালের বস্তায় এসব তথ্য লিখতে গড়িমসি করছেন চালকলের মালিকেরা। আবার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মিলাররা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মূলত বাজারের অস্থিরতা এবং ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাপর্যায়ে চাল বিক্রি নিশ্চিত করতে সরকার একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মিলমালিকেরা সেই নির্দেশনা কার্যকর করছেন না। তাঁরা যুক্তি দেখাচ্ছেন, চালের বস্তায় এসব তথ্য ছাপানোর ডাইস বানাতে অনেক অর্থ ও সময় দরকার। আবার ধানের জাত নিশ্চিত করারও বিষয় আছে। তাই তাঁরা এসব কাজ সম্পন্ন করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের আবেদনে একটি ফাঁকির ব্যাপারও স্পষ্ট হয়েছে। তাঁরা কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি। এ থেকে বোঝা যায়, মূলত সময়ক্ষেপণের উদ্দেশ্যেই তাঁরা এসব যুক্তি দেখাচ্ছেন।
দেশে ধান-চালের বাজারে কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছাতে কয়েকবার হাতবদল হয়। প্রতিবার হাতবদলের সময় যোগ হয় খরচ ও মুনাফা। এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মুনাফা করে থাকেন চালকলের মালিকেরা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে মজুত করেন, এ ঘটনা নতুন নয়।
চালের বাজারের সিন্ডিকেট নির্মূলের জন্য সরকার ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ করেছিল। এই আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুতসংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সেই আইনে আরও বলা হয়েছে, মিনিকেট নামের কোনো চাল বাজারজাত করা যাবে না।
সরকারের এত সব উদ্যোগের কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। মিনিকেট নামের চাল বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়ার পরেও কেন চালকলের মালিকেরা তা মানতে গড়িমসি করছেন, সেটা দেখার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সেই দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে পালন করছে না কেন? কোনো বিশেষ বিষয়ে আইন ও নীতি কি শুধু লোকদেখানোর জন্য করা হয়?
বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর সুবিধামতো সময়ে বিভিন্ন পণ্যসহ চালের দাম বাড়িয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লুটে নেয়। এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলগেটের দাম, উৎপাদনের তারিখ, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও ওজনের তথ্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলার নামও উল্লেখ করতে হবে। ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালের বস্তায় এসব তথ্য লিখতে গড়িমসি করছেন চালকলের মালিকেরা। আবার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মিলাররা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মূলত বাজারের অস্থিরতা এবং ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাপর্যায়ে চাল বিক্রি নিশ্চিত করতে সরকার একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মিলমালিকেরা সেই নির্দেশনা কার্যকর করছেন না। তাঁরা যুক্তি দেখাচ্ছেন, চালের বস্তায় এসব তথ্য ছাপানোর ডাইস বানাতে অনেক অর্থ ও সময় দরকার। আবার ধানের জাত নিশ্চিত করারও বিষয় আছে। তাই তাঁরা এসব কাজ সম্পন্ন করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের আবেদনে একটি ফাঁকির ব্যাপারও স্পষ্ট হয়েছে। তাঁরা কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি। এ থেকে বোঝা যায়, মূলত সময়ক্ষেপণের উদ্দেশ্যেই তাঁরা এসব যুক্তি দেখাচ্ছেন।
দেশে ধান-চালের বাজারে কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছাতে কয়েকবার হাতবদল হয়। প্রতিবার হাতবদলের সময় যোগ হয় খরচ ও মুনাফা। এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মুনাফা করে থাকেন চালকলের মালিকেরা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে মজুত করেন, এ ঘটনা নতুন নয়।
চালের বাজারের সিন্ডিকেট নির্মূলের জন্য সরকার ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ করেছিল। এই আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুতসংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সেই আইনে আরও বলা হয়েছে, মিনিকেট নামের কোনো চাল বাজারজাত করা যাবে না।
সরকারের এত সব উদ্যোগের কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। মিনিকেট নামের চাল বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়ার পরেও কেন চালকলের মালিকেরা তা মানতে গড়িমসি করছেন, সেটা দেখার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সেই দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে পালন করছে না কেন? কোনো বিশেষ বিষয়ে আইন ও নীতি কি শুধু লোকদেখানোর জন্য করা হয়?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে