ক্রিকেট আর রন্ধনশিল্পের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি কাজ করছেন আইসিসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। সেটির অংশ হিসেবে ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) ফ্যান জোনে তাঁকে পাওয়া গেল কিশোয়ারস কিচেনে। ফাইনালের আগের দিন তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক তারকা রন্ধনশিল্পী ‘আজকের পত্রিকা’কে জানালেন কীভাবে ক্রিকেট আর ফুডের সমন্বয়টা ঘটেছে। এমসিজিতে কিশোয়ারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
কিশোয়ার চৌধুরী: ক্রিকেট ও খাবারকে এক জায়গায় করতে পেরে আমি গর্বিত। বাঙালি হিসেবে আমরা খাবার ও ক্রিকেট খুবই ভালোবাসি। এই প্ল্যাটফর্মে, বিশেষ করে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) ফাইনালে দুটোরই প্রতিনিধিত্ব করতে পারা অনেক বড় বিষয় এবং এটা সত্যিই গর্বের ব্যাপার।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ভাবনাটা কীভাবে এল?
কিশোয়ার: আইসিসি প্রস্তাব দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার এত বড় একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। অসাধারণ এক যাত্রা ছিল এটি।
প্রশ্ন: অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আপনার। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আপনার কাছে বিশেষ কোনো খাবার খেতে চেয়েছিলেন বা আপনি তাঁদের বিশেষ কোনো খাবার রেঁধে খাওয়াতে চেয়েছিলেন কি না?
কিশোয়ার: না। কারণ, আমিও সফরের মধ্যে ছিলাম। তাঁদের সঙ্গে অ্যাডিলেডে দেখা হয়েছিল। ওখানে রান্নার কোনো জায়গা ছিল না। টুর্নামেন্ট চলার সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা। তবে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এভাবেই আমি খাবার ও ক্রিকেটের সংযোগ ঘটিয়েছি। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দেখা করাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। সবার মতো তাঁরাও অনেক খাদ্যরসিক।
প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশ, বাঙালির খাবারকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছেন। এই দর্শনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণ কী? আরও অন্য খাবারও তো তুলে ধরার সুযোগ ছিল, যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা?
কিশোয়ার: এটাই আমার পরিচয়। ফুড ইজ আ কালিনারি আর্ট। এটা জানা খুব জরুরি, আপনি কে? যদি নিজেদের মধ্যে দেখি, আমি কে, কী রাঁধতে চাই, কী বলতে চাই—আমি এটা খাবারের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি। আমার প্রশিক্ষণ শুরু এক জাপানি শেপের কাছে। কিন্তু আমি তো জাপানি নই। তিনি খাবারে জাপানি ঐতিহ্য আমাকে দেখিয়েছিলেন। একইভাবে যদি নিজের ভেতর দেখি, আমি একজন বাঙালি। বিশ্ব প্ল্যাটফর্মে যদি কিছু তুলে ধরতে চাই, বলতে চাই, দেখাতে চাই, শেয়ার করতে চাই—সেটি হবে বাঙালি খাবারের মাধ্যমে।
ক্রিকেট আর রন্ধনশিল্পের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি কাজ করছেন আইসিসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। সেটির অংশ হিসেবে ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) ফ্যান জোনে তাঁকে পাওয়া গেল কিশোয়ারস কিচেনে। ফাইনালের আগের দিন তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক তারকা রন্ধনশিল্পী ‘আজকের পত্রিকা’কে জানালেন কীভাবে ক্রিকেট আর ফুডের সমন্বয়টা ঘটেছে। এমসিজিতে কিশোয়ারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: পুরোনো একটা প্রশ্ন, ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে আলোচিত পান্তাভাতের আইডিয়াটা কীভাবে এল?
কিশোয়ার: (হেসে) একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে এসেছিল। চ্যালেঞ্জটা ছিল আপনাকে স্মোক ব্যবহার করে কিছু একটা রাঁধতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিযোগিতা শেষ দিকে চলে এসেছিল। এটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা ছিল। তখন মনে হয় যে নিজের ভেতরে যদি তাকাই, কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারি? মনে হলো, পান্তাভাতের মতো এমন একটা অনেস্ট এবং সিম্পল ডিশ গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রকাশ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারকেরা বুঝছিলেন, আমি কী করতে চেয়েছি।
প্রশ্ন: যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার এই খ্যাতি, বিশ্বজুড়ে খাঁটি বাঙালি খাবারের বিশেষ ব্র্যান্ডিং, কখনো কি ভেবেছিলেন এমনটা হতে পারে?
কিশোয়ার: ২০২০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অবশ্যই আমি ভাবতে পারিনি এ পর্যায়ে আসতে পারব। কখনো কখনো আসলে এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে অনুমান করতে পারিনি, এখানে থাকব। আমার এই যাত্রায় অনেক মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। অনেক সময় হয়তো মানুষ ভেবেছে, তাদের মতো কেউ ছিল না যে এখন এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে। সেটা রান্নায় হোক কিংবা অন্য কোনো শিল্পে হোক। এমন গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে আমরা নিজেদের কাউকে দেখতে পাই না। এ যাত্রায় আমার মনে হয়েছে, আমি অনেকের প্রতিনিধিত্ব করছি।
প্রশ্ন: প্রতিযোগিতাজুড়ে যেভাবে বাঙালি খাবার নিয়ে কাজ করেছেন, এটা কি কিছুটা ঝুঁকিরও ছিল না? বিচারকেরা এ ধরনের খাবারের সঙ্গে যেহেতু অভ্যস্ত নন?
কিশোয়ার: এখানে বাঙালি ডিশগুলোই বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ, এটা আগে কখনো দেখা যায়নি। আমি ইতালি, জাপানি, আধুনিক অস্ট্রেলিয়ান খাবারও তৈরি করেছি। তবে আমার সুনাম হয়েছে বাঙালি খাবারে।
প্রশ্ন: রন্ধনশিল্প নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
কিশোয়ার: নিজের মতো করেই এগোচ্ছি। এটা আমার হৃদয়ের চাওয়া। যখন আমার হাতে কোনো প্রকল্প আসে, যেমন এই এমসিজিতে কিছু করা। এখানে অনেক খাবারের দোকান আছে। আমি নিজের মতো কিছু করতে গর্ব বোধ করি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফাইন ডাইনিং নিয়ে কোনো ভাবনা বা কিছু করার পরিকল্পনা আছে?
কিশোয়ার: হ্যাঁ, আমি এরই মধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ফুড নিয়ে বাংলাদেশে আমার কাজ করার ইচ্ছে আছে।
প্রশ্ন: আপনার সন্তানেরাও কি আপনার মতো বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী হতে চায়?
কিশোয়ার: দুই বছর আগে আমি রন্ধনশিল্পী ছিলাম না। হ্যাঁ, আমার সন্তানেরা রাঁধতে পছন্দ করে। আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও এই শিল্পের ভালো যোগ আছে। আসলে আমাদের বাসার সবার হৃদয়ে খাবারের জন্য বড় একটা জায়গা রয়েছে। তবে রন্ধনশিল্প একটা পেশা। এখানে ভালো করতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমার সন্তানদের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। তারা বড় হোক, তখন নিজেদের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রশ্ন: খুব কঠিন প্রশ্ন, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ডিশ কোনটি?
কিশোয়ার: আমার কোনো প্রিয় ডিশ নেই, যেভাবে আমার কোনো প্রিয় ক্রিকেট খেলোয়াড় নেই (হাসি)। আমার কিছু ডিশ আছে খুব জনপ্রিয়, কিছু আছে খুব আইকনিক। সে কারণেই আমার প্রিয় কোনো ডিশ নেই।
ক্রিকেট আর রন্ধনশিল্পের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি কাজ করছেন আইসিসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। সেটির অংশ হিসেবে ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) ফ্যান জোনে তাঁকে পাওয়া গেল কিশোয়ারস কিচেনে। ফাইনালের আগের দিন তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক তারকা রন্ধনশিল্পী ‘আজকের পত্রিকা’কে জানালেন কীভাবে ক্রিকেট আর ফুডের সমন্বয়টা ঘটেছে। এমসিজিতে কিশোয়ারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
কিশোয়ার চৌধুরী: ক্রিকেট ও খাবারকে এক জায়গায় করতে পেরে আমি গর্বিত। বাঙালি হিসেবে আমরা খাবার ও ক্রিকেট খুবই ভালোবাসি। এই প্ল্যাটফর্মে, বিশেষ করে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) ফাইনালে দুটোরই প্রতিনিধিত্ব করতে পারা অনেক বড় বিষয় এবং এটা সত্যিই গর্বের ব্যাপার।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ভাবনাটা কীভাবে এল?
কিশোয়ার: আইসিসি প্রস্তাব দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার এত বড় একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। অসাধারণ এক যাত্রা ছিল এটি।
প্রশ্ন: অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আপনার। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আপনার কাছে বিশেষ কোনো খাবার খেতে চেয়েছিলেন বা আপনি তাঁদের বিশেষ কোনো খাবার রেঁধে খাওয়াতে চেয়েছিলেন কি না?
কিশোয়ার: না। কারণ, আমিও সফরের মধ্যে ছিলাম। তাঁদের সঙ্গে অ্যাডিলেডে দেখা হয়েছিল। ওখানে রান্নার কোনো জায়গা ছিল না। টুর্নামেন্ট চলার সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা। তবে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এভাবেই আমি খাবার ও ক্রিকেটের সংযোগ ঘটিয়েছি। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দেখা করাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। সবার মতো তাঁরাও অনেক খাদ্যরসিক।
প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশ, বাঙালির খাবারকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছেন। এই দর্শনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণ কী? আরও অন্য খাবারও তো তুলে ধরার সুযোগ ছিল, যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা?
কিশোয়ার: এটাই আমার পরিচয়। ফুড ইজ আ কালিনারি আর্ট। এটা জানা খুব জরুরি, আপনি কে? যদি নিজেদের মধ্যে দেখি, আমি কে, কী রাঁধতে চাই, কী বলতে চাই—আমি এটা খাবারের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি। আমার প্রশিক্ষণ শুরু এক জাপানি শেপের কাছে। কিন্তু আমি তো জাপানি নই। তিনি খাবারে জাপানি ঐতিহ্য আমাকে দেখিয়েছিলেন। একইভাবে যদি নিজের ভেতর দেখি, আমি একজন বাঙালি। বিশ্ব প্ল্যাটফর্মে যদি কিছু তুলে ধরতে চাই, বলতে চাই, দেখাতে চাই, শেয়ার করতে চাই—সেটি হবে বাঙালি খাবারের মাধ্যমে।
ক্রিকেট আর রন্ধনশিল্পের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি কাজ করছেন আইসিসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। সেটির অংশ হিসেবে ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) ফ্যান জোনে তাঁকে পাওয়া গেল কিশোয়ারস কিচেনে। ফাইনালের আগের দিন তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক তারকা রন্ধনশিল্পী ‘আজকের পত্রিকা’কে জানালেন কীভাবে ক্রিকেট আর ফুডের সমন্বয়টা ঘটেছে। এমসিজিতে কিশোয়ারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
প্রশ্ন: পুরোনো একটা প্রশ্ন, ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে আলোচিত পান্তাভাতের আইডিয়াটা কীভাবে এল?
কিশোয়ার: (হেসে) একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে এসেছিল। চ্যালেঞ্জটা ছিল আপনাকে স্মোক ব্যবহার করে কিছু একটা রাঁধতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিযোগিতা শেষ দিকে চলে এসেছিল। এটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা ছিল। তখন মনে হয় যে নিজের ভেতরে যদি তাকাই, কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারি? মনে হলো, পান্তাভাতের মতো এমন একটা অনেস্ট এবং সিম্পল ডিশ গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রকাশ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারকেরা বুঝছিলেন, আমি কী করতে চেয়েছি।
প্রশ্ন: যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার এই খ্যাতি, বিশ্বজুড়ে খাঁটি বাঙালি খাবারের বিশেষ ব্র্যান্ডিং, কখনো কি ভেবেছিলেন এমনটা হতে পারে?
কিশোয়ার: ২০২০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অবশ্যই আমি ভাবতে পারিনি এ পর্যায়ে আসতে পারব। কখনো কখনো আসলে এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে অনুমান করতে পারিনি, এখানে থাকব। আমার এই যাত্রায় অনেক মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। অনেক সময় হয়তো মানুষ ভেবেছে, তাদের মতো কেউ ছিল না যে এখন এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে। সেটা রান্নায় হোক কিংবা অন্য কোনো শিল্পে হোক। এমন গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে আমরা নিজেদের কাউকে দেখতে পাই না। এ যাত্রায় আমার মনে হয়েছে, আমি অনেকের প্রতিনিধিত্ব করছি।
প্রশ্ন: প্রতিযোগিতাজুড়ে যেভাবে বাঙালি খাবার নিয়ে কাজ করেছেন, এটা কি কিছুটা ঝুঁকিরও ছিল না? বিচারকেরা এ ধরনের খাবারের সঙ্গে যেহেতু অভ্যস্ত নন?
কিশোয়ার: এখানে বাঙালি ডিশগুলোই বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ, এটা আগে কখনো দেখা যায়নি। আমি ইতালি, জাপানি, আধুনিক অস্ট্রেলিয়ান খাবারও তৈরি করেছি। তবে আমার সুনাম হয়েছে বাঙালি খাবারে।
প্রশ্ন: রন্ধনশিল্প নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
কিশোয়ার: নিজের মতো করেই এগোচ্ছি। এটা আমার হৃদয়ের চাওয়া। যখন আমার হাতে কোনো প্রকল্প আসে, যেমন এই এমসিজিতে কিছু করা। এখানে অনেক খাবারের দোকান আছে। আমি নিজের মতো কিছু করতে গর্ব বোধ করি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফাইন ডাইনিং নিয়ে কোনো ভাবনা বা কিছু করার পরিকল্পনা আছে?
কিশোয়ার: হ্যাঁ, আমি এরই মধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ফুড নিয়ে বাংলাদেশে আমার কাজ করার ইচ্ছে আছে।
প্রশ্ন: আপনার সন্তানেরাও কি আপনার মতো বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী হতে চায়?
কিশোয়ার: দুই বছর আগে আমি রন্ধনশিল্পী ছিলাম না। হ্যাঁ, আমার সন্তানেরা রাঁধতে পছন্দ করে। আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও এই শিল্পের ভালো যোগ আছে। আসলে আমাদের বাসার সবার হৃদয়ে খাবারের জন্য বড় একটা জায়গা রয়েছে। তবে রন্ধনশিল্প একটা পেশা। এখানে ভালো করতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমার সন্তানদের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। তারা বড় হোক, তখন নিজেদের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রশ্ন: খুব কঠিন প্রশ্ন, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ডিশ কোনটি?
কিশোয়ার: আমার কোনো প্রিয় ডিশ নেই, যেভাবে আমার কোনো প্রিয় ক্রিকেট খেলোয়াড় নেই (হাসি)। আমার কিছু ডিশ আছে খুব জনপ্রিয়, কিছু আছে খুব আইকনিক। সে কারণেই আমার প্রিয় কোনো ডিশ নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে