গনেশ দাস, বগুড়া
পূবালী ব্যাংক বগুড়া নিউমার্কেট শাখা থেকে ২০১৩ সালে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নেন ফিরোজ উদ্দিন। ঋণ নেওয়ার সময় ব্যাংকে একটি বাড়ি বন্ধক রাখেন। ২০১৬ সালের পর থেকে ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করা বন্ধ করে দেন। এর মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, বন্ধক রাখা সম্পত্তি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। একাধিক চেষ্টা করার পরও ব্যাংকঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের ২৫ মে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেন। এদিকে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঋণগ্রহীতা ফিরোজ উদ্দিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজার বলছেন, ঋণগ্রহীতা মারা গেলেও কোনো সমস্যা নেই। তাঁর ওয়ারিশ ঋণ পরিশোধ করছেন। এ ছাড়া বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবগত আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ জুন পূবালী ব্যাংক নিউমার্কেট শাখা থেকে বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর চামড়া গুদাম লেন এলাকার ফিরোজ উদ্দিন ১৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ গ্রহণের সময় শহরের ফতেহ আলী বাজারে মেসার্স ফিরোজ স্টোর নামের তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। ঋণ গ্রহণের সময় বন্ধক হিসেবে সুত্রাপুর মৌজায় ৮১৫ দাগে (জেএল নং-৮২) ১ দশমিক ২৫ শতাংশ জায়গায় নির্মিত একটি বাড়ি বন্ধক রাখা হয়। ঋণের জামিনদার ছিলেন ফিরোজ উদ্দিনের স্ত্রী সাত্বনা বেগম। ২০১৬ সালের পর থেকে গ্রহীতা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা বন্ধ করে দেন।
ইতিমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, বন্ধক রাখা সম্পত্তি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। ফলে বিপাকে পড়ে যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা ঋণ আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে ফিরোজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়। গত বছরের ১১ আগস্ট পর্যন্ত ফিরোজ উদ্দিনের কাছে ব্যাংকের পাওনা ছিল ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৬ টাকা।
ঋণ পরিশোধ না করায় গত বছরের ১৬ আগস্ট ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ঋণ পরিশোধের জন্য ফিরোজ উদ্দিনকে তাগাদা দেন। এতেও তিনি ঋণ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ না নিলে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক ফিরোজ উদ্দিনকে সর্বশেষ চিঠি দিয়েও ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়।
শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ২৫ মে ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থঋণ আদালতে ফিরোজ উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী সাত্বনা বেগমের নামে মামলা করা হয়। এদিকে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ফিরোজ উদ্দিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বগুড়া সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে রক্ষিত সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় জেএল নং-৮২, দাগ নং-৮১৫ সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ২০১২ সালে তফসিলভুক্ত করা হয়। যার মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক বগুড়া।
বগুড়া অর্থঋণ আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপক গত ২২ মে মামলা দাখিল করেন। ব্যাংকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করার জন্য সিনিয়র অফিসার আজিজুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক নিউমার্কেট শাখার ম্যানেজার শাহাদত হোসেন বলেন, ‘অনেক আগের ঋণ। আমি বিস্তারিত বলতে পারব না।’
তৎকালীন ম্যানেজার তহুরা খাতুন (বর্তমানে পূবালী ব্যাংক বগুড়া শাখায় কর্মরত) বলেন, ‘বিষয়টি অনেক দিন আগের ঘটনা। এত দিন পর কেন খোঁজ নিচ্ছেন?’
তহুরা খাতুন বলেন, ‘ঋণ প্রদানের সময় ফিরোজ উদ্দিন জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, যা দেখে আমরা ঋণ প্রদান করি। এ ছাড়া সরেজমিনেও বাড়িটি তাঁদের দখলে ছিল। পরে জানতে পারি, বাড়িটি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ঋণগ্রহীতা মারা গেলেও তাঁর স্ত্রী ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঋণের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করছেন। বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবহিত আছে।’
পূবালী ব্যাংক বগুড়া অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, সরকারি সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ প্রদানের বিষয়ে জানতে হলে প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পূবালী ব্যাংক বগুড়া নিউমার্কেট শাখা থেকে ২০১৩ সালে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নেন ফিরোজ উদ্দিন। ঋণ নেওয়ার সময় ব্যাংকে একটি বাড়ি বন্ধক রাখেন। ২০১৬ সালের পর থেকে ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করা বন্ধ করে দেন। এর মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, বন্ধক রাখা সম্পত্তি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। একাধিক চেষ্টা করার পরও ব্যাংকঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের ২৫ মে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেন। এদিকে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঋণগ্রহীতা ফিরোজ উদ্দিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজার বলছেন, ঋণগ্রহীতা মারা গেলেও কোনো সমস্যা নেই। তাঁর ওয়ারিশ ঋণ পরিশোধ করছেন। এ ছাড়া বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবগত আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ জুন পূবালী ব্যাংক নিউমার্কেট শাখা থেকে বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর চামড়া গুদাম লেন এলাকার ফিরোজ উদ্দিন ১৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ গ্রহণের সময় শহরের ফতেহ আলী বাজারে মেসার্স ফিরোজ স্টোর নামের তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। ঋণ গ্রহণের সময় বন্ধক হিসেবে সুত্রাপুর মৌজায় ৮১৫ দাগে (জেএল নং-৮২) ১ দশমিক ২৫ শতাংশ জায়গায় নির্মিত একটি বাড়ি বন্ধক রাখা হয়। ঋণের জামিনদার ছিলেন ফিরোজ উদ্দিনের স্ত্রী সাত্বনা বেগম। ২০১৬ সালের পর থেকে গ্রহীতা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা বন্ধ করে দেন।
ইতিমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, বন্ধক রাখা সম্পত্তি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। ফলে বিপাকে পড়ে যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা ঋণ আদায়ের জন্য বিভিন্নভাবে ফিরোজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়। গত বছরের ১১ আগস্ট পর্যন্ত ফিরোজ উদ্দিনের কাছে ব্যাংকের পাওনা ছিল ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৬ টাকা।
ঋণ পরিশোধ না করায় গত বছরের ১৬ আগস্ট ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ঋণ পরিশোধের জন্য ফিরোজ উদ্দিনকে তাগাদা দেন। এতেও তিনি ঋণ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ না নিলে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক ফিরোজ উদ্দিনকে সর্বশেষ চিঠি দিয়েও ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়।
শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ২৫ মে ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থঋণ আদালতে ফিরোজ উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী সাত্বনা বেগমের নামে মামলা করা হয়। এদিকে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ফিরোজ উদ্দিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বগুড়া সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে রক্ষিত সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় জেএল নং-৮২, দাগ নং-৮১৫ সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ২০১২ সালে তফসিলভুক্ত করা হয়। যার মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক বগুড়া।
বগুড়া অর্থঋণ আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপক গত ২২ মে মামলা দাখিল করেন। ব্যাংকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করার জন্য সিনিয়র অফিসার আজিজুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক নিউমার্কেট শাখার ম্যানেজার শাহাদত হোসেন বলেন, ‘অনেক আগের ঋণ। আমি বিস্তারিত বলতে পারব না।’
তৎকালীন ম্যানেজার তহুরা খাতুন (বর্তমানে পূবালী ব্যাংক বগুড়া শাখায় কর্মরত) বলেন, ‘বিষয়টি অনেক দিন আগের ঘটনা। এত দিন পর কেন খোঁজ নিচ্ছেন?’
তহুরা খাতুন বলেন, ‘ঋণ প্রদানের সময় ফিরোজ উদ্দিন জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, যা দেখে আমরা ঋণ প্রদান করি। এ ছাড়া সরেজমিনেও বাড়িটি তাঁদের দখলে ছিল। পরে জানতে পারি, বাড়িটি সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ঋণগ্রহীতা মারা গেলেও তাঁর স্ত্রী ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঋণের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করছেন। বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবহিত আছে।’
পূবালী ব্যাংক বগুড়া অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, সরকারি সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ প্রদানের বিষয়ে জানতে হলে প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে