নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ডিজেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ডিজেলচালিত যন্ত্রে সেচ দিয়ে বোরো চাষ করা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার কৃষক। অনেকে বোরো চাষের জমির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। উপজেলায় এবার ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৬১ হেক্টর জমির সেচ দেওয়া হবে বিদ্যুৎ নির্ভর সেচযন্ত্রে। আর ১১ হাজার ৪৯৯ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হবে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রে।
উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপজেলায় বিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থার আওতায় গভীর নলকূপের সংখ্যা ১১৯ টি, অগভীর নলকূপের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯০ টি। উভয় সেচের সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮০ জন। অপরদিকে, ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র রয়েছে ৬ হাজার ১০ টি। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৮২ জন।
কৃষকদের দেওয়া তথ্য মতে, সাধারণ দোআশ মাটিতে বোরো চাষে সেচ দিতে হয় গড়ে ৩০ টি। এতে হেক্টর প্রতি ডিজেল লাগে ২২৫ লিটার। অপরদিকে চরাঞ্চলের জমিতে মৌসুমে গড়ে ৫০টি সেচ দিতে হয়। এতে হেক্টর প্রতি ডিজেল লাগে ৩৭৫ লিটার।
বর্তমান বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার আগে প্রতি লিটার বিক্রি হতো ৬৫ টাকায়। লিটারে ১৫ টাকা বেড়েছে। এতে বোরো চাষে খরচ বাড়বে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকদের গুনতে হবে প্রায় দ্বিগুণ টাকা।
কৃষকেরা জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ জমিতে হেক্টর প্রতি প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টাকা ও চরাঞ্চলে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ টাকা বাড়তি সেচ খরচ পড়বে। এ ছাড়া হাল চাষেরও দাম বেড়েছে। ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে হাল চাষে আগের চেয়ে হেক্টর প্রতি ক্ষেত্র বিশেষে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে হেক্টর প্রতি ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৬০০ টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে এবার। বাড়তি ব্যয়ের ফলে অনেকে বোরো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। অনেকে চাষের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছেন।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, প্রতি বছর ৮ বিঘা জমিতে ডিজেলচালিত সেচ যন্ত্র দিয়ে বোরো চাষ করেন। কিন্তু এবার ডিজেলের দাম বাড়ায় পাঁচ বিঘায় করেছেন।
কেদার ইউনিয়নের চরবিষ্ণুপুর এলাকার কৃষক হারেজ আলী বলেন, ‘চর এলাকার এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে কমপক্ষে ৫০ লিটার ডিজেল লাগে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষ নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। চরে এবার অর্ধেক জমিতে বোরো চাষ হবে, বাতি জমিতে পাট চাষ হবে।’
নারায়ণপুর ইউনিয়নের বালারহাট চরাঞ্চলের কৃষক মজিবর রহমান জানান, চরাঞ্চলের তাঁদের জমিতে প্রতিদিন সেচ দিতে হয়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে অনেকে বোরো চাষ নিয়ে সংশয়ে আছেন।
কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের পাওয়ার টিলার মালিক আব্দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে বিঘা প্রতি হালচাষে ৬০০ টাকা নিতাম। ডিজেলের দাম বাড়ায় এখন ৮০০ টাকা নিচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে বোরো চাষে কিছুটা খরচ বাড়বে। তবে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়ে যেসব কৃষক বোরো চাষ করবেন তাঁদের পর্যায়ক্রমে ভেজানো শুকানো (এডব্লিউডি) পদ্ধতি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে পানির অপচয় হবে না, ব্যয় কমবে।’
ডিজেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ডিজেলচালিত যন্ত্রে সেচ দিয়ে বোরো চাষ করা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার কৃষক। অনেকে বোরো চাষের জমির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। উপজেলায় এবার ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৬১ হেক্টর জমির সেচ দেওয়া হবে বিদ্যুৎ নির্ভর সেচযন্ত্রে। আর ১১ হাজার ৪৯৯ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হবে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রে।
উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপজেলায় বিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থার আওতায় গভীর নলকূপের সংখ্যা ১১৯ টি, অগভীর নলকূপের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯০ টি। উভয় সেচের সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮০ জন। অপরদিকে, ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র রয়েছে ৬ হাজার ১০ টি। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৮২ জন।
কৃষকদের দেওয়া তথ্য মতে, সাধারণ দোআশ মাটিতে বোরো চাষে সেচ দিতে হয় গড়ে ৩০ টি। এতে হেক্টর প্রতি ডিজেল লাগে ২২৫ লিটার। অপরদিকে চরাঞ্চলের জমিতে মৌসুমে গড়ে ৫০টি সেচ দিতে হয়। এতে হেক্টর প্রতি ডিজেল লাগে ৩৭৫ লিটার।
বর্তমান বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার আগে প্রতি লিটার বিক্রি হতো ৬৫ টাকায়। লিটারে ১৫ টাকা বেড়েছে। এতে বোরো চাষে খরচ বাড়বে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকদের গুনতে হবে প্রায় দ্বিগুণ টাকা।
কৃষকেরা জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ জমিতে হেক্টর প্রতি প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টাকা ও চরাঞ্চলে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ টাকা বাড়তি সেচ খরচ পড়বে। এ ছাড়া হাল চাষেরও দাম বেড়েছে। ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে হাল চাষে আগের চেয়ে হেক্টর প্রতি ক্ষেত্র বিশেষে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে হেক্টর প্রতি ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৬০০ টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে এবার। বাড়তি ব্যয়ের ফলে অনেকে বোরো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। অনেকে চাষের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছেন।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, প্রতি বছর ৮ বিঘা জমিতে ডিজেলচালিত সেচ যন্ত্র দিয়ে বোরো চাষ করেন। কিন্তু এবার ডিজেলের দাম বাড়ায় পাঁচ বিঘায় করেছেন।
কেদার ইউনিয়নের চরবিষ্ণুপুর এলাকার কৃষক হারেজ আলী বলেন, ‘চর এলাকার এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে কমপক্ষে ৫০ লিটার ডিজেল লাগে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষ নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। চরে এবার অর্ধেক জমিতে বোরো চাষ হবে, বাতি জমিতে পাট চাষ হবে।’
নারায়ণপুর ইউনিয়নের বালারহাট চরাঞ্চলের কৃষক মজিবর রহমান জানান, চরাঞ্চলের তাঁদের জমিতে প্রতিদিন সেচ দিতে হয়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে অনেকে বোরো চাষ নিয়ে সংশয়ে আছেন।
কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের পাওয়ার টিলার মালিক আব্দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে বিঘা প্রতি হালচাষে ৬০০ টাকা নিতাম। ডিজেলের দাম বাড়ায় এখন ৮০০ টাকা নিচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে বোরো চাষে কিছুটা খরচ বাড়বে। তবে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়ে যেসব কৃষক বোরো চাষ করবেন তাঁদের পর্যায়ক্রমে ভেজানো শুকানো (এডব্লিউডি) পদ্ধতি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে পানির অপচয় হবে না, ব্যয় কমবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে