সৌগত বসু, ঢাকা
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন হয়েছে ছয় মাস আগে। এখনো রেলপথটি দিয়ে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল। তবে চলতি মাসে এই পথে ট্রেন চালুর সম্ভাবনা আছে বলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে।
কবে ট্রেন চলবে জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। তবে চলতি মাস থেকেই চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। রেলপথ চালুর জন্য প্রয়োজনীয় স্টেশনমাস্টার ও অন্যান্য কর্মীর কেউ এখনো স্থায়ী হননি। বিভিন্নভাবে তাঁদের জোগাড় করা হচ্ছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা বাড়াতে এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহনের জন্য সরকার খুলনা-মোংলা রেল সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়। ভারতের ঋণে বাস্তবায়িত হওয়া এই রেলপথ গত বছরের ১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কারিগরি জটিলতায় ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় উদ্বোধনের ৬ মাস পরও ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। তবে রেললাইন এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান। তিনি বলেন, কবে রেল চলাচল করবে, এটা প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলতে পারবে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের কাজ ছিল লাইন প্রস্তুত করে দেওয়া। সেটি এখন প্রস্তুত, যেকোনো সময় ট্রেন চলতে পারে।
গত রোববার রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই লাইনে কারিগরি তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। এটা হস্তান্তরের একটি বিষয় থাকে। মে মাস থেকে রেল চলাচল শুরু করা যাবে।
এদিকে রেলপথটি পরিচালনার জন্য স্থায়ী জনবল নিয়োগের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে বলে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, অস্থায়ী জনবল দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরুর জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের (পাকশী) বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই পথে আটটি স্টেশন ও লাইন ক্লিয়ারিংয়ের জন্য ৫৭৬ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।
জনবল নিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এই রেলপথ পরিচালনা করার জন্য যে জনবল দরকার, সেটি এখনো অনুমোদন হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছিল; সেটি বিভিন্নভাবেই এখনো প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মোংলা রেললাইনের নির্মাণকাজ তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১৩ বছর সময় নিয়েছে। ভারত সরকারের ঋণসহায়তা চুক্তির আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো। ট্র্যাক সংযোগ করেছে আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় মূল লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। আর রূপসা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের প্রথমবার ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর ২০২১ সালে তৃতীয় দফায় আবার বাড়ে প্রকল্পের সময় ও ব্যয়। তখন প্রাথমিক ব্যয়ের তিন গুণ বেড়ে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। কিন্তু তৃতীয় দফায়ও শেষ না হলে চতুর্থ ও শেষবারের মতো ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলেও সংশোধন করে সেটা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ধরা হয়। যদিও এ সময়ের মধ্যেও শেষ করতে পারেনি প্রকল্পের সার্বিক কাজ।
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন হয়েছে ছয় মাস আগে। এখনো রেলপথটি দিয়ে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল। তবে চলতি মাসে এই পথে ট্রেন চালুর সম্ভাবনা আছে বলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে।
কবে ট্রেন চলবে জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। তবে চলতি মাস থেকেই চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। রেলপথ চালুর জন্য প্রয়োজনীয় স্টেশনমাস্টার ও অন্যান্য কর্মীর কেউ এখনো স্থায়ী হননি। বিভিন্নভাবে তাঁদের জোগাড় করা হচ্ছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা বাড়াতে এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহনের জন্য সরকার খুলনা-মোংলা রেল সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়। ভারতের ঋণে বাস্তবায়িত হওয়া এই রেলপথ গত বছরের ১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কারিগরি জটিলতায় ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় উদ্বোধনের ৬ মাস পরও ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। তবে রেললাইন এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান। তিনি বলেন, কবে রেল চলাচল করবে, এটা প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলতে পারবে না। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের কাজ ছিল লাইন প্রস্তুত করে দেওয়া। সেটি এখন প্রস্তুত, যেকোনো সময় ট্রেন চলতে পারে।
গত রোববার রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই লাইনে কারিগরি তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। এটা হস্তান্তরের একটি বিষয় থাকে। মে মাস থেকে রেল চলাচল শুরু করা যাবে।
এদিকে রেলপথটি পরিচালনার জন্য স্থায়ী জনবল নিয়োগের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে বলে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, অস্থায়ী জনবল দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরুর জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের (পাকশী) বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই পথে আটটি স্টেশন ও লাইন ক্লিয়ারিংয়ের জন্য ৫৭৬ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।
জনবল নিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এই রেলপথ পরিচালনা করার জন্য যে জনবল দরকার, সেটি এখনো অনুমোদন হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছিল; সেটি বিভিন্নভাবেই এখনো প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মোংলা রেললাইনের নির্মাণকাজ তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১৩ বছর সময় নিয়েছে। ভারত সরকারের ঋণসহায়তা চুক্তির আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো। ট্র্যাক সংযোগ করেছে আরেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় মূল লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। আর রূপসা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের প্রথমবার ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর ২০২১ সালে তৃতীয় দফায় আবার বাড়ে প্রকল্পের সময় ও ব্যয়। তখন প্রাথমিক ব্যয়ের তিন গুণ বেড়ে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। কিন্তু তৃতীয় দফায়ও শেষ না হলে চতুর্থ ও শেষবারের মতো ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলেও সংশোধন করে সেটা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ধরা হয়। যদিও এ সময়ের মধ্যেও শেষ করতে পারেনি প্রকল্পের সার্বিক কাজ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে