কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার খুবই কাছে অবস্থিত গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা। তবুও ঢাকার সঙ্গে এ উপজেলার নেই সরাসরি বাস চলাচল। শুধু তাই নয়, নিজ জেলা শহর গাজীপুরের সঙ্গেও নেই সরাসরি বাস চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগে আছেন উপজেলার যাত্রীসাধারণ।
এদিকে, সরাসরি কোনো যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের ঢাকা কিংবা গাজীপুর মহানগরে পৌঁছাতে হয় ভেঙে ভেঙে। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ী হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত অর্থ। বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন কালীগঞ্জ থেকে ঢাকায় কিংবা গাজীপুরে যারা চাকরি করেন কিংবা পড়ালেখা করেন তাঁরা।
আবার রাজধানীর সঙ্গে কালীগঞ্জের রেল যোগাযোগ থাকলেও তা তেমন কাজে আসে না উপজেলাবাসীর। উপজেলার আড়িখোলা রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকালে তিনটি ট্রেন রাজধানী অভিমুখে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার ফলে আগেই যাত্রীতে পূর্ণ থাকে। যে কারণে আড়িখোলা স্টেশন থেকে অনেক যাত্রীই ট্রেনে উঠতে পারেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কর্মজীবী যাত্রীদের প্রতিদিনের যাতায়াতে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কের ওপর নির্ভর করতে হয়। পনেরো বছর আগে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) নামে একটি গণপরিবহন কালীগঞ্জ-মহাখালী-গুলিস্তান সড়কে চলাচল করত। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবহনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো পরিবহন রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সেবা চালু করতে পারেনি।
আর কালীগঞ্জ থেকে গাজীপুর মহানগরের সঙ্গে কোনো সময়ই সরাসরি গণপরিবহন চালু ছিল না। যে কারণে জেলামুখী কর্মজীবী যাত্রীসাধারণকে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। এজন্য ভরসা করতে হয় অটোরিকশা, লেগুনার মতো ছোট গাড়ি। এতে গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। কখনো আবার এসব গাড়ি রিজার্ভ নিয়েও কর্মস্থলে যেতে হয়। তখন খরচ আরও বেড়ে যায়।
ঢাকার উত্তরায় কর্মরত উপজেলার বাসিন্দা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘যেহেতু আমি ঢাকায় কর্মরত, তাই প্রতিদিন আমাকে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। যদি ঢাকায় সরাসরি একটি বাস সার্ভিস থাকত তা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো। ভেঙে ভেঙে গেলে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি খরচও হয় অতিরিক্ত। তা ছাড়া পরিবহন চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা তো রয়েছেই। এই সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।’
মো. আতিক হোসেন (৪৫) জানান, তিনি গাজীপুর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। প্রতিদিন তিনি ভাদুনের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। সড়কটি বেহালের কারণে তিনি দুইবার দুর্ঘটনার শিকারও হন। যেহেতু সরাসরি কোনো পরিবহন ব্যবস্থা নেই তাই বৃষ্টির দিনে ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক বেশি। রাস্তাও হয়ে ওঠে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তিনি অতি দ্রুত এই রাস্তায় একটি সরাসরি পরিবহন সেবা চালু করার দাবি জানান।
মো. শামসুল ইসলাম (৫৫) নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি ঢাকার বনানীতে একটি বায়িং হাউসে কাজ করি। প্রতিদিন খুব ভোরে রওনা দিতে হয়। আর ওই সময় কেটিএল বাসই একমাত্র ভরসা। তা-ও বাসটি টঙ্গী পর্যন্ত যায়। অনেক দিন সময়মতো বাস না পাওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনি।’
শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আগে যখন কেটিএল বাস সার্ভিসটি টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে চলত তখন সরাসরি অফিসের সামনে গিয়ে নামতাম। আমাদের জন্য অনেক সহজ ছিল। কিন্তু এখন রাস্তাতেই দিনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পার করে দিতে হয়।’
কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) বাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিবহন মালিকের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা চালাচ্ছি। সত্যি বলতে, এই সড়কে বাসের ব্যবসা এখন অনেক মন্দা। একটি বাস চালু থাকা যেন গলায় ফাঁসি লেগে থাকার মতো। সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পরিমাণ এত বেশি যে বাসের জন্য মানুষ অপেক্ষা করে না। তবু অনেকের সঙ্গেই কথা বলছি, দেখি কী করা যায়।’
রাজধানী ঢাকার খুবই কাছে অবস্থিত গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা। তবুও ঢাকার সঙ্গে এ উপজেলার নেই সরাসরি বাস চলাচল। শুধু তাই নয়, নিজ জেলা শহর গাজীপুরের সঙ্গেও নেই সরাসরি বাস চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগে আছেন উপজেলার যাত্রীসাধারণ।
এদিকে, সরাসরি কোনো যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের ঢাকা কিংবা গাজীপুর মহানগরে পৌঁছাতে হয় ভেঙে ভেঙে। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ী হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত অর্থ। বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন কালীগঞ্জ থেকে ঢাকায় কিংবা গাজীপুরে যারা চাকরি করেন কিংবা পড়ালেখা করেন তাঁরা।
আবার রাজধানীর সঙ্গে কালীগঞ্জের রেল যোগাযোগ থাকলেও তা তেমন কাজে আসে না উপজেলাবাসীর। উপজেলার আড়িখোলা রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকালে তিনটি ট্রেন রাজধানী অভিমুখে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার ফলে আগেই যাত্রীতে পূর্ণ থাকে। যে কারণে আড়িখোলা স্টেশন থেকে অনেক যাত্রীই ট্রেনে উঠতে পারেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কর্মজীবী যাত্রীদের প্রতিদিনের যাতায়াতে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কের ওপর নির্ভর করতে হয়। পনেরো বছর আগে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) নামে একটি গণপরিবহন কালীগঞ্জ-মহাখালী-গুলিস্তান সড়কে চলাচল করত। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবহনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো পরিবহন রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সেবা চালু করতে পারেনি।
আর কালীগঞ্জ থেকে গাজীপুর মহানগরের সঙ্গে কোনো সময়ই সরাসরি গণপরিবহন চালু ছিল না। যে কারণে জেলামুখী কর্মজীবী যাত্রীসাধারণকে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। এজন্য ভরসা করতে হয় অটোরিকশা, লেগুনার মতো ছোট গাড়ি। এতে গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। কখনো আবার এসব গাড়ি রিজার্ভ নিয়েও কর্মস্থলে যেতে হয়। তখন খরচ আরও বেড়ে যায়।
ঢাকার উত্তরায় কর্মরত উপজেলার বাসিন্দা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘যেহেতু আমি ঢাকায় কর্মরত, তাই প্রতিদিন আমাকে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। যদি ঢাকায় সরাসরি একটি বাস সার্ভিস থাকত তা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো। ভেঙে ভেঙে গেলে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি খরচও হয় অতিরিক্ত। তা ছাড়া পরিবহন চালকদের স্বেচ্ছাচারিতা তো রয়েছেই। এই সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।’
মো. আতিক হোসেন (৪৫) জানান, তিনি গাজীপুর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। প্রতিদিন তিনি ভাদুনের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। সড়কটি বেহালের কারণে তিনি দুইবার দুর্ঘটনার শিকারও হন। যেহেতু সরাসরি কোনো পরিবহন ব্যবস্থা নেই তাই বৃষ্টির দিনে ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক বেশি। রাস্তাও হয়ে ওঠে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তিনি অতি দ্রুত এই রাস্তায় একটি সরাসরি পরিবহন সেবা চালু করার দাবি জানান।
মো. শামসুল ইসলাম (৫৫) নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি ঢাকার বনানীতে একটি বায়িং হাউসে কাজ করি। প্রতিদিন খুব ভোরে রওনা দিতে হয়। আর ওই সময় কেটিএল বাসই একমাত্র ভরসা। তা-ও বাসটি টঙ্গী পর্যন্ত যায়। অনেক দিন সময়মতো বাস না পাওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনি।’
শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আগে যখন কেটিএল বাস সার্ভিসটি টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে চলত তখন সরাসরি অফিসের সামনে গিয়ে নামতাম। আমাদের জন্য অনেক সহজ ছিল। কিন্তু এখন রাস্তাতেই দিনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পার করে দিতে হয়।’
কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) বাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিবহন মালিকের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা চালাচ্ছি। সত্যি বলতে, এই সড়কে বাসের ব্যবসা এখন অনেক মন্দা। একটি বাস চালু থাকা যেন গলায় ফাঁসি লেগে থাকার মতো। সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পরিমাণ এত বেশি যে বাসের জন্য মানুষ অপেক্ষা করে না। তবু অনেকের সঙ্গেই কথা বলছি, দেখি কী করা যায়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১৯ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে