সম্পাদকীয়
একুশের গান হিসেবে যা এখন সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, সে গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ। পরে আলতাফ মাহমুদ গানটির যে সুর করেন, সেটাই বাঙালির হৃদয়ে অক্ষত হয়ে আছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের সংবাদ শোনার এক ঘণ্টার মধ্যে রেডিওশিল্পীদের যে ধর্মঘট হয়েছিল, আবদুল লতিফ ছিলেন তার একজন উদ্যোক্তা।
তিপ্পান্ন সালে আবদুল লতিফ থাকতেন কমলাপুরে। বাথরুমে যেতে হলে ঘরের বাইরে যেতে হতো। সেদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা-ছয়টার দিকে বাথরুমে যাবেন বলে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছেন, ঠিক এ সময় আচমকা একটা পঙ্ক্তি ছড়িয়ে পড়ল মগজে—‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়...।’ এই পঙ্ক্তিটির জন্যই যেন তিনি অপেক্ষা করছিলেন। ঘরে এসে খাতা-কলম নিয়ে বসে গেলেন তিনি। সুর ছাড়া গানটি প্রথম শুনলেন লেখকের স্ত্রী। কিন্তু এটা গান হয়ে উঠল কি না, তা নিশ্চিত হতে তিনি একজন বিখ্যাত কবিকে দেখালেন। কবি বললেন, ‘এটা কোনো গান হয়নি। দুদিন পরে তুমিই এটা ছিঁড়ে ফেলে দেবে!’
হতাশ হয়ে বসে আছেন যখন, তখন তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘গানটি কবি ফররুখ আহমদকে দেখাও।’
ফররুখ আহমদ গানটি পড়েই বুকে জড়িয়ে ধরলেন আবদুল লতিফকে। বললেন, ‘তুই এ কী করেছিস! এ গান তো তোকে অমর করে রাখবে।’ এরপর ফররুখ আহমদ গানটি আহসান হাবীবকে দিয়ে বললেন, ‘গানটি ছাপিয়ে দিয়ো।’ কিন্তু মুসলিম লীগের পত্রিকা আজাদের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন আহসান হাবীব। তিনি বললেন, ‘মুসলিম লীগের কাগজে তো এই লেখা ছাপা হবে না।’ পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর সেজো ভাই এহতেশাম হায়দার চৌধুরী গানটি ছাপার ব্যবস্থা করেন।
আবদুল লতিফ গানটির সুরও করেন হঠাৎ করেই। বলধা গার্ডেনের পাশে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গান গাইবার আমন্ত্রণ ছিল। সে উপলক্ষেই তৈরি হয়েছিল সুর। সেই সুরেই এখনো গানটি গাওয়া হয়।
সূত্র: লুৎফর রহমান রিটন সম্পাদিত নেপথ্য কাহিনি
একুশের গান হিসেবে যা এখন সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, সে গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ। পরে আলতাফ মাহমুদ গানটির যে সুর করেন, সেটাই বাঙালির হৃদয়ে অক্ষত হয়ে আছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের সংবাদ শোনার এক ঘণ্টার মধ্যে রেডিওশিল্পীদের যে ধর্মঘট হয়েছিল, আবদুল লতিফ ছিলেন তার একজন উদ্যোক্তা।
তিপ্পান্ন সালে আবদুল লতিফ থাকতেন কমলাপুরে। বাথরুমে যেতে হলে ঘরের বাইরে যেতে হতো। সেদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা-ছয়টার দিকে বাথরুমে যাবেন বলে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছেন, ঠিক এ সময় আচমকা একটা পঙ্ক্তি ছড়িয়ে পড়ল মগজে—‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়...।’ এই পঙ্ক্তিটির জন্যই যেন তিনি অপেক্ষা করছিলেন। ঘরে এসে খাতা-কলম নিয়ে বসে গেলেন তিনি। সুর ছাড়া গানটি প্রথম শুনলেন লেখকের স্ত্রী। কিন্তু এটা গান হয়ে উঠল কি না, তা নিশ্চিত হতে তিনি একজন বিখ্যাত কবিকে দেখালেন। কবি বললেন, ‘এটা কোনো গান হয়নি। দুদিন পরে তুমিই এটা ছিঁড়ে ফেলে দেবে!’
হতাশ হয়ে বসে আছেন যখন, তখন তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘গানটি কবি ফররুখ আহমদকে দেখাও।’
ফররুখ আহমদ গানটি পড়েই বুকে জড়িয়ে ধরলেন আবদুল লতিফকে। বললেন, ‘তুই এ কী করেছিস! এ গান তো তোকে অমর করে রাখবে।’ এরপর ফররুখ আহমদ গানটি আহসান হাবীবকে দিয়ে বললেন, ‘গানটি ছাপিয়ে দিয়ো।’ কিন্তু মুসলিম লীগের পত্রিকা আজাদের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন আহসান হাবীব। তিনি বললেন, ‘মুসলিম লীগের কাগজে তো এই লেখা ছাপা হবে না।’ পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর সেজো ভাই এহতেশাম হায়দার চৌধুরী গানটি ছাপার ব্যবস্থা করেন।
আবদুল লতিফ গানটির সুরও করেন হঠাৎ করেই। বলধা গার্ডেনের পাশে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গান গাইবার আমন্ত্রণ ছিল। সে উপলক্ষেই তৈরি হয়েছিল সুর। সেই সুরেই এখনো গানটি গাওয়া হয়।
সূত্র: লুৎফর রহমান রিটন সম্পাদিত নেপথ্য কাহিনি
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগে