গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এক যুবক। গত রোববার বিকেলে ইউনিয়নের বরামা গ্রামের বরামা গুদারাঘাটে এ ঘটনা ঘটে। তাঁর সন্ধানে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল কাজ করছে। গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পায়নি ডুবুরি দল।

নিখোঁজ যুবক মো. মামুন। তিনি উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। মামুন পেশায় কৃষক বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই মাসুম।

নিখোঁজ যুবকের বড় ভাই মাসুম অভিযোগ করে বলেন, মামুন রোববার বিকেল পৌনে চারটায় দিকে ইফতারসামগ্রী আনতে বাড়ির অদূরে দোকানে যান। এ সময় স্থানীয় সোর্স রওশনের কাছে স্থানীয় একটি মামলায় অভিযুক্ত মামুনের বাড়ির ঠিকানা জানতে চান এক পুলিশ সদস্য। পরবর্তী সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রওশন বলেন, এই সেই মামুন।

মাসুম বলেন, এ সময় মামুন পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌড় দেন। দৌড় দিয়ে পালানোর সময় নদীর তীরে জঙ্গলে তাঁকে মারধর করে পুলিশ। পরে পুলিশ মামুনকে নদীতে ফেলে দেয়।

নিখোঁজ যুবকের ভাই আরও বলেন, শ্রীপুর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহমেদসহ সাদা পোশাকে দুই পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় দুজন সোর্স একাধিকবার বিভিন্ন মামলার অজুহাতে মামুনকে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন। চাহিদামতো টাকা-পয়সা না দিতে পারলে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়।

অভিযুক্ত এএসআই শাকিল আহমেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে যাওয়া শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, একজন যুবক নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কীভাবে নিখোঁজ হয়েছেন, তা জানেন না বলে জানান তিনি।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে নদীতে সন্ধান শুরু করি। এখন পর্যন্ত ওই যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর নিখোঁজের বিষয়টি জানান তাঁর স্বজনেরা। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে।