হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
এবারের বর্ষায়ও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলছে না চট্টগ্রামবাসীর। এবার বর্ষায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় আরও বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় কাজ চলমান থাকা খালগুলোতে বাঁধের কারণে এবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তি বাড়বে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো অপসারণ করতে বলা হলেও এখনো অনেক বাঁধ রয়ে গেছে। যে কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই নগরে হাঁটুসমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ৫ মে সকালে মাত্র ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরের অধিকাংশ এলাকায় হাঁটু পরিমাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তিন দিন পর গত ৯ মে দ্বিতীয় দফায় মাত্র ১২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে নগরের দুই নম্বর গেট ষোলোশহর, মুরাদপুরসহ অনেক নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে ১০ হাজার ৯২১ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির অধীনে চট্টগ্রাম নগরের ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়ার পর গত চার বছরে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এই ৩৬টি খালের মধ্যে মাত্র সাতটি খাল খনন, সম্প্রসারণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে। বাকি খালগুলোর সম্প্রসারণ কাজ এখনো চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানিয়েছে, আগামী জুনের আগেই তারা আরও চারটি খালের কাজ শেষ করতে পারবে। এ ১১টি খাল বুঝে নিতে সিডিএর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চসিককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে চসিক এখনো এই খালগুলো বুঝে নেয়নি।
ক্ষণাবেক্ষণের খরচ না দিলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কোনো খালের দেখভালের দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে গত ৬ এপ্রিল করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে মেয়র সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের কাছে খাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা না পেলে করপোরেশনের পক্ষে এসব খাল, নালা বুঝে নেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ওই দিন বৈঠকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা ৩৬টি খালের মধ্যে সাতটির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের আগেই আরও ১১টি খালের কাজ শেষ হবে। বর্ষার আগেই সংস্কার কাজের জন্য খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো অপসারণ করা হবে বলে তিনি বৈঠকে জানান।
ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ফিরিঙ্গি বাজার খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো এখনো পুরোপুরি অপসারণ করা হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য ১০ ইঞ্চি মোট পাইপ দেওয়া হলেও যখন ভারী বর্ষণ হয় তখন ওই পাইপগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অল্পতেই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
দুই দিন আগে ১১ মে বান্ডেল খালের ওপর দেওয়া বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিন বর্ষার আগে খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো দ্রুত অপসারণের অনুরোধ জানান।
বাঁধগুলো অপসারণের বিষয়ে জানতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামসকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
পরে এ সম্পর্কে জানতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন জানিয়ে কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানান।
এবারের বর্ষায়ও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলছে না চট্টগ্রামবাসীর। এবার বর্ষায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় আরও বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় কাজ চলমান থাকা খালগুলোতে বাঁধের কারণে এবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তি বাড়বে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো অপসারণ করতে বলা হলেও এখনো অনেক বাঁধ রয়ে গেছে। যে কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই নগরে হাঁটুসমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ৫ মে সকালে মাত্র ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরের অধিকাংশ এলাকায় হাঁটু পরিমাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তিন দিন পর গত ৯ মে দ্বিতীয় দফায় মাত্র ১২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে নগরের দুই নম্বর গেট ষোলোশহর, মুরাদপুরসহ অনেক নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে ১০ হাজার ৯২১ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির অধীনে চট্টগ্রাম নগরের ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়ার পর গত চার বছরে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এই ৩৬টি খালের মধ্যে মাত্র সাতটি খাল খনন, সম্প্রসারণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে। বাকি খালগুলোর সম্প্রসারণ কাজ এখনো চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানিয়েছে, আগামী জুনের আগেই তারা আরও চারটি খালের কাজ শেষ করতে পারবে। এ ১১টি খাল বুঝে নিতে সিডিএর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চসিককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে চসিক এখনো এই খালগুলো বুঝে নেয়নি।
ক্ষণাবেক্ষণের খরচ না দিলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কোনো খালের দেখভালের দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে গত ৬ এপ্রিল করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে মেয়র সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের কাছে খাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা না পেলে করপোরেশনের পক্ষে এসব খাল, নালা বুঝে নেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ওই দিন বৈঠকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা ৩৬টি খালের মধ্যে সাতটির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের আগেই আরও ১১টি খালের কাজ শেষ হবে। বর্ষার আগেই সংস্কার কাজের জন্য খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো অপসারণ করা হবে বলে তিনি বৈঠকে জানান।
ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ফিরিঙ্গি বাজার খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো এখনো পুরোপুরি অপসারণ করা হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য ১০ ইঞ্চি মোট পাইপ দেওয়া হলেও যখন ভারী বর্ষণ হয় তখন ওই পাইপগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অল্পতেই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
দুই দিন আগে ১১ মে বান্ডেল খালের ওপর দেওয়া বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিন বর্ষার আগে খালের ওপর দেওয়া বাঁধগুলো দ্রুত অপসারণের অনুরোধ জানান।
বাঁধগুলো অপসারণের বিষয়ে জানতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামসকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
পরে এ সম্পর্কে জানতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন জানিয়ে কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে