মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
সরকার তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে হিজড়া হিসেবে। এই পরিচয়েই হিজড়াদের ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে তাঁরা এখন মা-বাবার সম্পত্তি ও সরকারি-বেসরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তাঁরা বলছেন, দেশের আইনে ছেলেমেয়ের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও হিজড়া লিঙ্গের বিষয়ে কিছু বলা নেই। এ জন্য হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে এনআইডি নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হিজড়া বলেন, ‘জমিজমাসংক্রান্ত আইন এখনো স্পষ্ট হয়নি। সে কারণে আমার আইডিটা এখনো ছেলে হিসেবেই আছে। আইনি অস্পষ্টতার কারণে অনেকেই হিজড়া পরিচয়ে এনআইডি করছেন না।’
পদ্মকুঁড়ি হিজড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুল হক মিতু বলেন, ‘সন্তান হিসেবে কিন্তু আমি সম্পত্তির ভাগ পাই। এটি আমার অধিকার। হিজড়া হিসেবে যদি আমি নিতে যাই, সে ক্ষেত্রে একটি আইনি বাধা আসবে।’
বিষয়টি নজরে আনা হলে ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত আছে, তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে একটি আইন হবে। এটি পারসোনাল ল, এ বিষয়ে একটি আউটলাইন পাঠানো হয়েছে আইন ও বিচার বিভাগে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভা হিজড়াদের স্বীকৃতির বিষয়টি অনুমোদন দেয়। পরে ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনও (ইসি) ভোটার তালিকা আইনে পরিবর্তন এনে হিজড়া হিসেবে ভোটার হওয়ার সুযোগ দেয়। ২০২০ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় প্রথমবার হিজড়া পরিচয়ে ভোটার হন ৩৫৩ জন। গত ২ মার্চ ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৯৩২ জন হিজড়া ভোটার আছেন। এদের এনআইডিতে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ লেখা হয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) জুনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার শোভা সরকার বলেন, ‘একজন মেয়ে বাবা-মায়ের পাশাপাশি স্বামীর সম্পত্তিরও ভাগ পায়। হিজড়াদের যেহেতু বিয়ে হয় না, স্বামীর সম্পত্তির অংশ পাওয়ারও সুযোগ নেই। তাই আমি মনে করি, হিজড়াদের সম্পত্তিটা ভাইয়ের সমপরিমাণ দেওয়া উচিত। কারণ হিজড়ারা মারা গেলে সম্পত্তি তাদের পরিবারের লোকেরাই পাবে।’
হিজড়া হিসেবে এনআইডি করতে অনীহার বিষয়ে শোভা সরকার বলেন, ‘সম্পত্তির ভাগ ছাড়াও হিজড়া হিসেবে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। বৈষম্যমূলক যে আইন আছে, সেটিও এখনো সংশোধন হয়নি। এখন যদি তারা হিজড়া হিসেবে আইডেনটিটি নেয়, তখন কিন্তু সে সম্পত্তি পাচ্ছে না। তারপর সে পরিবারে থাকতে পারছে না। হিজড়া হিসেবে এনআইডি করলে সরকারি বা বেসরকারি চাকরি পাবে না। কারণ চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শুধু পুরুষ বা নারী উল্লেখ থাকে।’
শোভা সরকার আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জনশুমারিতে দেশে ১২ হাজার ৬২৯ জন হিজড়া ক্যাটাগরিতে আছে বলা হলেও আমাদের ধারণা, বাংলাদেশে ২ লাখের মতো হিজড়া আছে।’
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হিজড়া লিঙ্গের বিষয়ে আইনগুলোতে বেশ কিছু অস্পষ্টতা আছে। সরকার তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে দিলেও তাদের সম্পত্তির অধিকার সত্যিকার অর্থে খুবই জটিল। সম্পত্তির বিলিবণ্টন বিষয়ে ইসলামিক ফরায়েজে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, ছেলে হলে কত শতাংশ পাবে, মেয়ে হলে কত শতাংশ পাবে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গ হলে কত শতাংশ পাবে সে রকম কিছু নেই।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘এখানে একটি আইনি জটিলতা আছে। আমাদের দেশে উত্তরাধিকার আইনটা তো মুসলিম আইনকে ফলো করে। প্রাইভেট লতেও ভাগটা কী হবে বলা আছে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। যেহেতু এদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, অতএব উত্তরাধিকার আইনেও এ ধরনের একটি পরিবর্তন আনা উচিত।’
সরকার তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে হিজড়া হিসেবে। এই পরিচয়েই হিজড়াদের ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে তাঁরা এখন মা-বাবার সম্পত্তি ও সরকারি-বেসরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তাঁরা বলছেন, দেশের আইনে ছেলেমেয়ের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও হিজড়া লিঙ্গের বিষয়ে কিছু বলা নেই। এ জন্য হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে এনআইডি নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হিজড়া বলেন, ‘জমিজমাসংক্রান্ত আইন এখনো স্পষ্ট হয়নি। সে কারণে আমার আইডিটা এখনো ছেলে হিসেবেই আছে। আইনি অস্পষ্টতার কারণে অনেকেই হিজড়া পরিচয়ে এনআইডি করছেন না।’
পদ্মকুঁড়ি হিজড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুল হক মিতু বলেন, ‘সন্তান হিসেবে কিন্তু আমি সম্পত্তির ভাগ পাই। এটি আমার অধিকার। হিজড়া হিসেবে যদি আমি নিতে যাই, সে ক্ষেত্রে একটি আইনি বাধা আসবে।’
বিষয়টি নজরে আনা হলে ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত আছে, তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে একটি আইন হবে। এটি পারসোনাল ল, এ বিষয়ে একটি আউটলাইন পাঠানো হয়েছে আইন ও বিচার বিভাগে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভা হিজড়াদের স্বীকৃতির বিষয়টি অনুমোদন দেয়। পরে ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনও (ইসি) ভোটার তালিকা আইনে পরিবর্তন এনে হিজড়া হিসেবে ভোটার হওয়ার সুযোগ দেয়। ২০২০ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় প্রথমবার হিজড়া পরিচয়ে ভোটার হন ৩৫৩ জন। গত ২ মার্চ ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৯৩২ জন হিজড়া ভোটার আছেন। এদের এনআইডিতে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ লেখা হয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) জুনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার শোভা সরকার বলেন, ‘একজন মেয়ে বাবা-মায়ের পাশাপাশি স্বামীর সম্পত্তিরও ভাগ পায়। হিজড়াদের যেহেতু বিয়ে হয় না, স্বামীর সম্পত্তির অংশ পাওয়ারও সুযোগ নেই। তাই আমি মনে করি, হিজড়াদের সম্পত্তিটা ভাইয়ের সমপরিমাণ দেওয়া উচিত। কারণ হিজড়ারা মারা গেলে সম্পত্তি তাদের পরিবারের লোকেরাই পাবে।’
হিজড়া হিসেবে এনআইডি করতে অনীহার বিষয়ে শোভা সরকার বলেন, ‘সম্পত্তির ভাগ ছাড়াও হিজড়া হিসেবে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। বৈষম্যমূলক যে আইন আছে, সেটিও এখনো সংশোধন হয়নি। এখন যদি তারা হিজড়া হিসেবে আইডেনটিটি নেয়, তখন কিন্তু সে সম্পত্তি পাচ্ছে না। তারপর সে পরিবারে থাকতে পারছে না। হিজড়া হিসেবে এনআইডি করলে সরকারি বা বেসরকারি চাকরি পাবে না। কারণ চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শুধু পুরুষ বা নারী উল্লেখ থাকে।’
শোভা সরকার আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জনশুমারিতে দেশে ১২ হাজার ৬২৯ জন হিজড়া ক্যাটাগরিতে আছে বলা হলেও আমাদের ধারণা, বাংলাদেশে ২ লাখের মতো হিজড়া আছে।’
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হিজড়া লিঙ্গের বিষয়ে আইনগুলোতে বেশ কিছু অস্পষ্টতা আছে। সরকার তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে দিলেও তাদের সম্পত্তির অধিকার সত্যিকার অর্থে খুবই জটিল। সম্পত্তির বিলিবণ্টন বিষয়ে ইসলামিক ফরায়েজে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, ছেলে হলে কত শতাংশ পাবে, মেয়ে হলে কত শতাংশ পাবে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গ হলে কত শতাংশ পাবে সে রকম কিছু নেই।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘এখানে একটি আইনি জটিলতা আছে। আমাদের দেশে উত্তরাধিকার আইনটা তো মুসলিম আইনকে ফলো করে। প্রাইভেট লতেও ভাগটা কী হবে বলা আছে। কিন্তু হিজড়া লিঙ্গের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। যেহেতু এদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, অতএব উত্তরাধিকার আইনেও এ ধরনের একটি পরিবর্তন আনা উচিত।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে