মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
গ্রামের দুই হাজার পরিবারের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার পরিবার চলে হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে! কৌতূহল হলো দেখার। সহকর্মী সুদীপ্ত শামীমের সঙ্গে খুব ভোরে মোটরসাইকেলে চেপে রওনা হই শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের গ্রামটির উদ্দেশে।
অন্ধকার আর শীত ঠেলে পৌঁছাই সকাল সাতটার দিকে। ততক্ষণে সবাই হাওয়াই মিঠাই বিক্রির জন্য বের হয়ে গেছেন। পুলিশ ভেবে ভয়ে কোনো কথাই বলছিলেন না গ্রামের নারীরা। এ বাড়ি-ও বাড়ি করে হয়রান হচ্ছি আমরা দুজন। এদিকে ঘড়ির কাঁটা বেলা ১১টা ছুঁইছুঁই।পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা আর মনে ক্ষোভ, সঙ্গে হতাশা।
হাল ছাড়িনি। অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে দেখা মেলে মো. নুরুজ্জামান খান মুক্তির (৪৮) সঙ্গে। বাড়ির উঠানে দাড়ি কাটছিলেন। প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেন। সবকিছু খুলে বলার পর বেশ আন্তরিক হলেন তিনি। জানালেন, সমস্যা থাকায় আজ বের হননি। বলতে বলতে ঘর থেকে হাওয়াই মিঠাই বানানোর মেশিন বের করলেন আঙিনায়। সঙ্গে চিনি, স্পিরিট, কাঠি ও গ্যাস বাতি। সহযোগিতা করছেন স্ত্রী ও মেয়ে মিম। নিমেষে বানিয়ে ফেললেন ৫ থেকে ৬টি হাওয়াই মিঠাই।
বলছি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি গ্রামের খানপাড়ার কথা। এ পাড়ার সবাই খান বংশের! মুক্তি ওই পাড়ার মৃত তোফাজ্জল খানের ছেলে।
মুক্তি বলেন, ‘প্রায় ২০ বছরে ধরে এ পেশায় আছি। বসতবাড়ির ৩ শতাংশ জমি ছাড়া আর কোনো জমি নেই। একটি এনজিও থেকে লোন নিয়েছি ১ লাখ টাকা। ২ হাজার ৯০০ টাকা করে কিস্তি দিই প্রতি সপ্তাহে। পরিবারে চার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী আছে। সব খরচ চলে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে। তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ইদানীং একটু হিমশিম খাচ্ছি।’ মুক্তি জানান, এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রির ব্যবসা করেন কমসংখ্যক লোক। বেশি সংখ্যক লোক ব্যবসা করেন বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। সেই এলাকায় থেকে তাঁরা এ ব্যবসা করেন। মাসে হয়তো এক বা দুইবার বাড়ি আসেন।
কথা হয় ওই গ্রামের হাওয়াই মিঠাইয়ের প্রবর্তক মো. হায়দার আলীর সঙ্গে (৫০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাছেন আলী খানের ছেলে। হায়দার বলেন, ‘৩০ বছর আগের কথা। জেলা সদরের লক্ষ্মীপুর বাজারে আমার বাবার ব্যবসাকেন্দ্র ছিল। ময়মনসিংহের লোক সেই ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে হাওয়াই মিঠাই তৈরি করে পাইকারিতে বিক্রি করতেন। সেখান থেকে আমার শেখা। পরে ওই লোক চলে যাওয়ার পর তাঁর হাওয়াই মিঠাই বানানো মেশিনটি কিনে নিই দুই হাজার টাকায়। সেই থেকে আমাদের গ্রামে শুরু। একটি মেশিন দিয়ে শুরু হলেও ৩০ বছরের ব্যবধানে এখন এখানে ২৫০টির বেশি মেশিন হয়েছে। এক একটি মেশিনের দাম এখন ১০ হাজার টাকা।’
কথা হয় ওই গ্রামের মো. উমর আলীর স্ত্রী মোছা. মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ পাড়ার সব মানুষ বগুড়া আর ময়মনসিংহের।দেশের বাড়ি বগুড়ায় হলেও এখানে আমার জন্ম। এ এলাকাটি নিচু। সে কারণে আবাদ হয় বছরে একবার। বাকি সময়টা জমি থাকে পানির নিচে। সে কারণে এই গ্রামের মানুষ হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে সংসার চালান। ছেলেসহ আমার স্বামীও এ কাজ করেন। বাপ-বেটা দুজনে এখন পঞ্চগড়ে আছেন।’
গ্রামের দুই হাজার পরিবারের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার পরিবার চলে হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে! কৌতূহল হলো দেখার। সহকর্মী সুদীপ্ত শামীমের সঙ্গে খুব ভোরে মোটরসাইকেলে চেপে রওনা হই শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের গ্রামটির উদ্দেশে।
অন্ধকার আর শীত ঠেলে পৌঁছাই সকাল সাতটার দিকে। ততক্ষণে সবাই হাওয়াই মিঠাই বিক্রির জন্য বের হয়ে গেছেন। পুলিশ ভেবে ভয়ে কোনো কথাই বলছিলেন না গ্রামের নারীরা। এ বাড়ি-ও বাড়ি করে হয়রান হচ্ছি আমরা দুজন। এদিকে ঘড়ির কাঁটা বেলা ১১টা ছুঁইছুঁই।পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা আর মনে ক্ষোভ, সঙ্গে হতাশা।
হাল ছাড়িনি। অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে দেখা মেলে মো. নুরুজ্জামান খান মুক্তির (৪৮) সঙ্গে। বাড়ির উঠানে দাড়ি কাটছিলেন। প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেন। সবকিছু খুলে বলার পর বেশ আন্তরিক হলেন তিনি। জানালেন, সমস্যা থাকায় আজ বের হননি। বলতে বলতে ঘর থেকে হাওয়াই মিঠাই বানানোর মেশিন বের করলেন আঙিনায়। সঙ্গে চিনি, স্পিরিট, কাঠি ও গ্যাস বাতি। সহযোগিতা করছেন স্ত্রী ও মেয়ে মিম। নিমেষে বানিয়ে ফেললেন ৫ থেকে ৬টি হাওয়াই মিঠাই।
বলছি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি গ্রামের খানপাড়ার কথা। এ পাড়ার সবাই খান বংশের! মুক্তি ওই পাড়ার মৃত তোফাজ্জল খানের ছেলে।
মুক্তি বলেন, ‘প্রায় ২০ বছরে ধরে এ পেশায় আছি। বসতবাড়ির ৩ শতাংশ জমি ছাড়া আর কোনো জমি নেই। একটি এনজিও থেকে লোন নিয়েছি ১ লাখ টাকা। ২ হাজার ৯০০ টাকা করে কিস্তি দিই প্রতি সপ্তাহে। পরিবারে চার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী আছে। সব খরচ চলে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে। তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ইদানীং একটু হিমশিম খাচ্ছি।’ মুক্তি জানান, এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রির ব্যবসা করেন কমসংখ্যক লোক। বেশি সংখ্যক লোক ব্যবসা করেন বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। সেই এলাকায় থেকে তাঁরা এ ব্যবসা করেন। মাসে হয়তো এক বা দুইবার বাড়ি আসেন।
কথা হয় ওই গ্রামের হাওয়াই মিঠাইয়ের প্রবর্তক মো. হায়দার আলীর সঙ্গে (৫০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাছেন আলী খানের ছেলে। হায়দার বলেন, ‘৩০ বছর আগের কথা। জেলা সদরের লক্ষ্মীপুর বাজারে আমার বাবার ব্যবসাকেন্দ্র ছিল। ময়মনসিংহের লোক সেই ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে হাওয়াই মিঠাই তৈরি করে পাইকারিতে বিক্রি করতেন। সেখান থেকে আমার শেখা। পরে ওই লোক চলে যাওয়ার পর তাঁর হাওয়াই মিঠাই বানানো মেশিনটি কিনে নিই দুই হাজার টাকায়। সেই থেকে আমাদের গ্রামে শুরু। একটি মেশিন দিয়ে শুরু হলেও ৩০ বছরের ব্যবধানে এখন এখানে ২৫০টির বেশি মেশিন হয়েছে। এক একটি মেশিনের দাম এখন ১০ হাজার টাকা।’
কথা হয় ওই গ্রামের মো. উমর আলীর স্ত্রী মোছা. মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ পাড়ার সব মানুষ বগুড়া আর ময়মনসিংহের।দেশের বাড়ি বগুড়ায় হলেও এখানে আমার জন্ম। এ এলাকাটি নিচু। সে কারণে আবাদ হয় বছরে একবার। বাকি সময়টা জমি থাকে পানির নিচে। সে কারণে এই গ্রামের মানুষ হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে সংসার চালান। ছেলেসহ আমার স্বামীও এ কাজ করেন। বাপ-বেটা দুজনে এখন পঞ্চগড়ে আছেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে