সম্পাদকীয়
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের কাছে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রামের নিচে পড়ে আহত হন জীবনানন্দ দাশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জীবনানন্দের ছোট বোন সুচরিতা দাশের কাছ থেকে সমর চক্রবর্তী একটা কাকতালীয় ঘটনা শুনেছিলেন কবির মৃত্যুর পর। সমর চক্রবর্তী যখন হাসপাতালে কবির পাশে থাকতেন, তখন মাঝে মাঝে বিড় বিড় করে কথা বলতেন জীবনানন্দ। একবার বলছিলেন, ‘আচ্ছা, আমাকে তেতলায় নিয়ে যেতে পারো? আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কবিতা বলব, আমার যে রেডিও প্রোগ্রাম আছে।’
সত্যিই জীবনানন্দের একটা রেডিও প্রোগ্রাম ছিল ১৩ অক্টোবর। তিনি তাতে অংশও নিয়েছিলেন, পড়েছিলেন ‘মহাজিজ্ঞাসা’ নামের কবিতাটি। সেটাই হয়তো মনে ভেসে উঠছিল কবির।
এবার বলি কাকতালীয় ব্যাপারটা। ১১ ও ১২ অক্টোবর পর পর দুদিন ছোট ভাই অশোকানন্দ দাশের বাড়িতে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কবি। সন্ধ্যায় বাড়িতে কাজের লোক ছাড়া কেউ ছিল না। তিনি সুচরিতা দাশ, অশোকানন্দ, তাঁর স্ত্রী নলিনী দাশকে খুঁজলেন। তিনি পথে শুনেছেন, অশোকানন্দের ফ্ল্যাটের কেউ দেশপ্রিয় পার্কের কাছাকাছি কোথাও ট্রামের নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। তাই এসেছেন খবর নিতে। তারপর পরিচারিকা লতিকাকে বলে এসেছেন, বাড়িতে কেউ এলেই যেন তাঁকে কবির ল্যান্সডাউনের বাড়িতে আসতে বলা হয়। সুচরিতা সম্ভবত পুজোর ছুটি থাকায় ছোটদার বাড়িতে ছিলেন। তিনি খবরটি পেয়েই দৌড়ে গেলেন দাদার বাড়িতে।
তিনি বললেন, ‘কী হয়েছে বলো তো?’
জীবনানন্দ বললেন, ‘তোকে দেখে বুঝতে পারছি, সব ঠিকঠাক আছে। রাস্তা পার হতে গিয়ে শুনলুম, কারা বলাবলি করছে পার্কের কাছের বাড়ির কেউ ট্রামের নিচে পড়েছে। একটু ভয় পেয়ে গেলুম।’
সেই একই কাণ্ড ঘটালেন পরদিনও। সুচরিতা তাতে রেগে বললেন, ‘তোমাকে এসব খবর কে জোগায়?’
জীবনানন্দ বোনের রাগে একেবারে মিইয়ে গিয়েছিলেন। দুদিন পর নিজেই পড়লেন ট্রামের নিচে।
সূত্র: ভূমেন্দ্র গুহ, আলেখ্য: জীবনানন্দ, পৃষ্ঠা ৬৩-৬৪
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের কাছে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রামের নিচে পড়ে আহত হন জীবনানন্দ দাশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জীবনানন্দের ছোট বোন সুচরিতা দাশের কাছ থেকে সমর চক্রবর্তী একটা কাকতালীয় ঘটনা শুনেছিলেন কবির মৃত্যুর পর। সমর চক্রবর্তী যখন হাসপাতালে কবির পাশে থাকতেন, তখন মাঝে মাঝে বিড় বিড় করে কথা বলতেন জীবনানন্দ। একবার বলছিলেন, ‘আচ্ছা, আমাকে তেতলায় নিয়ে যেতে পারো? আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কবিতা বলব, আমার যে রেডিও প্রোগ্রাম আছে।’
সত্যিই জীবনানন্দের একটা রেডিও প্রোগ্রাম ছিল ১৩ অক্টোবর। তিনি তাতে অংশও নিয়েছিলেন, পড়েছিলেন ‘মহাজিজ্ঞাসা’ নামের কবিতাটি। সেটাই হয়তো মনে ভেসে উঠছিল কবির।
এবার বলি কাকতালীয় ব্যাপারটা। ১১ ও ১২ অক্টোবর পর পর দুদিন ছোট ভাই অশোকানন্দ দাশের বাড়িতে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কবি। সন্ধ্যায় বাড়িতে কাজের লোক ছাড়া কেউ ছিল না। তিনি সুচরিতা দাশ, অশোকানন্দ, তাঁর স্ত্রী নলিনী দাশকে খুঁজলেন। তিনি পথে শুনেছেন, অশোকানন্দের ফ্ল্যাটের কেউ দেশপ্রিয় পার্কের কাছাকাছি কোথাও ট্রামের নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। তাই এসেছেন খবর নিতে। তারপর পরিচারিকা লতিকাকে বলে এসেছেন, বাড়িতে কেউ এলেই যেন তাঁকে কবির ল্যান্সডাউনের বাড়িতে আসতে বলা হয়। সুচরিতা সম্ভবত পুজোর ছুটি থাকায় ছোটদার বাড়িতে ছিলেন। তিনি খবরটি পেয়েই দৌড়ে গেলেন দাদার বাড়িতে।
তিনি বললেন, ‘কী হয়েছে বলো তো?’
জীবনানন্দ বললেন, ‘তোকে দেখে বুঝতে পারছি, সব ঠিকঠাক আছে। রাস্তা পার হতে গিয়ে শুনলুম, কারা বলাবলি করছে পার্কের কাছের বাড়ির কেউ ট্রামের নিচে পড়েছে। একটু ভয় পেয়ে গেলুম।’
সেই একই কাণ্ড ঘটালেন পরদিনও। সুচরিতা তাতে রেগে বললেন, ‘তোমাকে এসব খবর কে জোগায়?’
জীবনানন্দ বোনের রাগে একেবারে মিইয়ে গিয়েছিলেন। দুদিন পর নিজেই পড়লেন ট্রামের নিচে।
সূত্র: ভূমেন্দ্র গুহ, আলেখ্য: জীবনানন্দ, পৃষ্ঠা ৬৩-৬৪
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে