আজাদুল আদনান, ঢাকা
করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে কোভ্যাক্সসহ বৈশ্বিক সূত্রগুলো থেকে টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সরকার দেশেই টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় গত বছর। জাতীয় সংসদে গত ১৬ জুন দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। এ ক্ষেত্রে একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) গোপালগঞ্জের কারখানাটির সক্ষমতা বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখন বলছে, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে টিকা উৎপাদনে যেতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে।
ইডিসিএল বলছে, সরকারিভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য আগে ভূমি দরকার। সেটি পেতে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে আরও কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনায় এগোচ্ছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে বিদেশ থেকে বড় পরিমাণ (বাল্ক) টিকা এনে ছোট বোতলে ভরা হবে। সে ক্ষেত্রেও সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। অন্যদিকে নিজস্ব প্রযুক্তিতে টিকা তৈরিতে অন্তত তিন বছর লাগবে। প্রস্তুতি হিসেবে করোনার টিকা তৈরি শিখতে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ ১৫ জন বিশেষজ্ঞকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২৩ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলবে। সব মিলিয়ে টিকা উৎপাদনে যেতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে বলে জানিয়েছে ইডিসিএল।
সরকারিভাবে টিকা তৈরির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এহসানুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এ সমস্যা এখন মোটামুটি শেষের পথে। এই সমস্যা কাটলেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে মূল কাজ শুরু হবে। এরপর যন্ত্রপাতি কেনা, টেন্ডার ও কনসালট্যান্ট নিয়োগ এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
কবে নাগাদ টিকা উৎপাদন শুরু হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল কবির বলেন, টিকা উৎপাদনে আসলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে সরকার তিন পদ্ধতিতে এগোচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ হলে ল্যাবরেটরি নির্মাণ শেষ করে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনা হবে। এরপর বৈদেশিক প্রযুক্তিতে পুরোপুরি টিকা তৈরি ও গবেষণার বিষয়টি আসবে। এতে প্রথম পর্যায়ে অন্তত দুই বছর লাগবে। আর স্থায়ীভাবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে টিকা তৈরিতে সময় লাগবে অন্তত তিন বছর। সব মিলিয়ে পাঁচ বছর তো লাগবেই। তিনি বলেন, করোনাসহ দেশের নাগরিকদের যেসব টিকা প্রয়োগ করতে হয়, তার কোনোটির সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বেশির ভাগই বিদেশি পরীক্ষাগারের ওপর নির্ভরশীল। তবে এই সংকট কাটাতে চলেছে সরকার।
করোনার বিস্তারের মুখে দেশে তিন মাসের মধ্যে টিকা বোতলজাত করার সুবিধার গড়ে তুলতে সরকার ও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও চায়না সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের সঙ্গে গত বছরের ১৬ আগস্ট একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে দেশের বেসরকারি শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইন্সেপটা। কিন্তু টিকার স্থানীয় চাহিদার বড় অংশ কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে অনুদান হিসেবে আসায় চুক্তি অনুযায়ী টিকা উৎপাদন প্রয়োজন হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা যায়। এখন সরকার বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখন টিকার আওতায় এসেছে। ফলে নতুন করে টিকার প্রয়োজন হবে কি না তাও নিশ্চিত নয়।
ইন্সেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মুক্তাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন করে ভ্যাকসিন সরকারের প্রয়োজন হবে কি না আমরা জানি না। সেটি বোঝার ওপর উৎপাদনের সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এ ছাড়া কেউ কিনছেও না। তাহলে ভ্যাকসিন উৎপাদন করে কী করব?’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘কেউ ভ্যাকসিন বিক্রি করে যদি বেশি অর্থ পায়, তাহলে কেন কাঁচামাল দেবে? আগে নিজেদের স্বার্থ দেখেন তাঁরা। তাই, সরকার যখন টিকা কেনার চুক্তি করেছে, তখন তারা (চীন) কাঁচামাল দেয়নি। তাই, সংকট মুহূর্তেও টিকা উৎপাদন করতে পারেনি ইন্সেপটা।’
করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে কোভ্যাক্সসহ বৈশ্বিক সূত্রগুলো থেকে টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সরকার দেশেই টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় গত বছর। জাতীয় সংসদে গত ১৬ জুন দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। এ ক্ষেত্রে একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) গোপালগঞ্জের কারখানাটির সক্ষমতা বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখন বলছে, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে টিকা উৎপাদনে যেতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে।
ইডিসিএল বলছে, সরকারিভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য আগে ভূমি দরকার। সেটি পেতে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে আরও কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনায় এগোচ্ছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে বিদেশ থেকে বড় পরিমাণ (বাল্ক) টিকা এনে ছোট বোতলে ভরা হবে। সে ক্ষেত্রেও সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। অন্যদিকে নিজস্ব প্রযুক্তিতে টিকা তৈরিতে অন্তত তিন বছর লাগবে। প্রস্তুতি হিসেবে করোনার টিকা তৈরি শিখতে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ ১৫ জন বিশেষজ্ঞকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২৩ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলবে। সব মিলিয়ে টিকা উৎপাদনে যেতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে বলে জানিয়েছে ইডিসিএল।
সরকারিভাবে টিকা তৈরির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এহসানুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এ সমস্যা এখন মোটামুটি শেষের পথে। এই সমস্যা কাটলেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে মূল কাজ শুরু হবে। এরপর যন্ত্রপাতি কেনা, টেন্ডার ও কনসালট্যান্ট নিয়োগ এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
কবে নাগাদ টিকা উৎপাদন শুরু হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল কবির বলেন, টিকা উৎপাদনে আসলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে সরকার তিন পদ্ধতিতে এগোচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ হলে ল্যাবরেটরি নির্মাণ শেষ করে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনা হবে। এরপর বৈদেশিক প্রযুক্তিতে পুরোপুরি টিকা তৈরি ও গবেষণার বিষয়টি আসবে। এতে প্রথম পর্যায়ে অন্তত দুই বছর লাগবে। আর স্থায়ীভাবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে টিকা তৈরিতে সময় লাগবে অন্তত তিন বছর। সব মিলিয়ে পাঁচ বছর তো লাগবেই। তিনি বলেন, করোনাসহ দেশের নাগরিকদের যেসব টিকা প্রয়োগ করতে হয়, তার কোনোটির সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বেশির ভাগই বিদেশি পরীক্ষাগারের ওপর নির্ভরশীল। তবে এই সংকট কাটাতে চলেছে সরকার।
করোনার বিস্তারের মুখে দেশে তিন মাসের মধ্যে টিকা বোতলজাত করার সুবিধার গড়ে তুলতে সরকার ও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও চায়না সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের সঙ্গে গত বছরের ১৬ আগস্ট একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে দেশের বেসরকারি শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইন্সেপটা। কিন্তু টিকার স্থানীয় চাহিদার বড় অংশ কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে অনুদান হিসেবে আসায় চুক্তি অনুযায়ী টিকা উৎপাদন প্রয়োজন হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা যায়। এখন সরকার বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখন টিকার আওতায় এসেছে। ফলে নতুন করে টিকার প্রয়োজন হবে কি না তাও নিশ্চিত নয়।
ইন্সেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মুক্তাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন করে ভ্যাকসিন সরকারের প্রয়োজন হবে কি না আমরা জানি না। সেটি বোঝার ওপর উৎপাদনের সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এ ছাড়া কেউ কিনছেও না। তাহলে ভ্যাকসিন উৎপাদন করে কী করব?’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘কেউ ভ্যাকসিন বিক্রি করে যদি বেশি অর্থ পায়, তাহলে কেন কাঁচামাল দেবে? আগে নিজেদের স্বার্থ দেখেন তাঁরা। তাই, সরকার যখন টিকা কেনার চুক্তি করেছে, তখন তারা (চীন) কাঁচামাল দেয়নি। তাই, সংকট মুহূর্তেও টিকা উৎপাদন করতে পারেনি ইন্সেপটা।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে