পপেল চন্দ্র সাহা
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, সবার প্রতি রইল আমার স্নেহাশিস ও শুভেচ্ছা। ২০২৩ সালের আগস্টের ১৭ তারিখ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ সময়ে তোমাদের সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। কারণ, অসুস্থ হয়ে পড়লে পুরো দুই বছরের সাধনাই তোমার বিফলে যাবে। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। অনেকের মাঝেই পরীক্ষা নামক একটি ভীতি বা জড়তা কাজ করে। তাই শিক্ষার্থীকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে অবশ্যই পরীক্ষা মোকাবিলা করতে হবে। পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে। কারণ, পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী নিজের মেধা ও যোগ্যতা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রে একজন শিক্ষার্থীকে ভালো করার জন্য প্রথমেই যেটি দরকার, তা হলো সুন্দর একটি পরিকল্পনা। একটি উত্তম পরিকল্পনাই পারে তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকের পুরো সিলেবাস সম্পর্কে তোমার সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আমরা জানি, বোর্ড পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩০ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনি অভীক্ষা এবং ৭০ নম্বর থাকবে সৃজনশীল প্রশ্নে। বহুনির্বাচনি (MCQ) প্রশ্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি অধ্যায় সম্পর্কে তোমার সুনির্দিষ্ট ধারণা না থাকলে ভালো করা যাবে না। তাই প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি লাইন ভালোভাবে পড়তে হবে। এখানে উল্লেখ্য, বহুনির্বাচনি প্রশ্নের (MCQ) উত্তর দেওয়ার সময় অবশ্যই সময়জ্ঞান মাথায় রেখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। একটি উত্তরও বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ, এ ক্ষেত্রে মাইনাস পয়েন্ট নেই। এ জন্য ৩০টি প্রশ্নেরই উত্তর দেবে। সৃজনশীল অংশের (CQ) জন্য বিশেষ করে প্রতিটি অধ্যায়ের প্রকারভেদ/শ্রেণিবিভাগ, পদ্ধতি, নীতিমালা, পদক্ষেপ, বৈশিষ্ট্য এ ধরনের প্রশ্ন ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। কারণ, অধিকাংশ সৃজনশীল প্রশ্নের প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্ন এ বিষয়গুলো থেকেই কমন পড়ে। তা ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় অবশ্যই সুন্দরভাবে খাতায় উপস্থাপন করবে। মনে রাখবে, উত্তর লেখার সময় যেন কাটাকাটি (ওভাররাইটিং) না হয়। যতটুকু লিখবে ততটুকু যেন প্রাসঙ্গিক হয়, এটি সুনিশ্চিত করবে। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অর্থাৎ প্রথমে ক (জ্ঞানমূলক), তারপর খ (অনুধাবনমূলক), এরপর গ (প্রয়োগ) এবং সর্বশেষ ঘ (উচ্চতর দক্ষতা) উত্তর দিতে হবে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর অর্থাৎ ‘ক’-এর ক্ষেত্রে শুধু যা চাওয়া হবে, তার উত্তরই লিখবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় প্রথমে জ্ঞানমূলক অংশ লিখবে, তারপর অনুধাবন অর্থাৎ দুটি স্তরে বা ধাপে উত্তর করবে। প্রয়োগের উত্তর অবশ্যই তিনটি ধাপে লিখতে হবে। এখানে উল্লেখ্য, প্রয়োগের উত্তর লেখার সময় প্রথমেই জ্ঞানমূলক উত্তর দিয়ে শুরু করবে। তারপর অনুধাবনসহ বাকি অংশটুকু লিখবে। এ ছাড়া উচ্চতর দক্ষতার ক্ষেত্রেও চারটি ধাপে উত্তর লিখবে। এখানেও খেয়াল রাখতে হবে, উত্তরটি যেন অবশ্যই জ্ঞানমূলক উত্তর দিয়ে শুরু হয় এবং প্রাসঙ্গিকতা বজায় থাকে। কেননা, অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখলে উত্তর নিম্নমানের হয়ে যাবে, যা কি না একজন শিক্ষার্থীর জন্য শোভনীয় নয়। তা ছাড়া সৃজনশীল অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য ১১টি উদ্দীপক থেকে প্রথমেই তুমি সাতটি উদ্দীপক নির্বাচন করবে অর্থাৎ যে সাতটি উদ্দীপকের চারটি অংশই তুমি ভালোভাবে পারো। পরীক্ষা চলাকালীন লেখা শেষ হওয়ার পর অবশ্যই খাতা রিভিশন দেবে। রিভিশন দেওয়ার সময় খেয়াল করে দেখবে, কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ পড়েছে কি না অথবা প্রশ্নের নম্বর লিখতে ভুল করেছ কি না। উত্তরপত্র যথাযথ হলে তারপর খাতা জমা দেবে।
সর্বোপরি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রয়োজন কঠোর অনুশীলন। তা ছাড়া ঢাকা বোর্ডসহ বিগত বছরের বিভিন্ন বোর্ডের (সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি অভীক্ষা) প্রশ্নগুলো সমাধান করার পাশাপাশি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশ্নগুলো দেখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। আশা করি, তুমি তোমার প্রত্যাশিত ফল অর্জন করতে সক্ষম হবে।
পপেল চন্দ্র সাহা, সহকারী অধ্যাপক, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, সবার প্রতি রইল আমার স্নেহাশিস ও শুভেচ্ছা। ২০২৩ সালের আগস্টের ১৭ তারিখ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ সময়ে তোমাদের সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। কারণ, অসুস্থ হয়ে পড়লে পুরো দুই বছরের সাধনাই তোমার বিফলে যাবে। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। অনেকের মাঝেই পরীক্ষা নামক একটি ভীতি বা জড়তা কাজ করে। তাই শিক্ষার্থীকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে অবশ্যই পরীক্ষা মোকাবিলা করতে হবে। পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে। কারণ, পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী নিজের মেধা ও যোগ্যতা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রে একজন শিক্ষার্থীকে ভালো করার জন্য প্রথমেই যেটি দরকার, তা হলো সুন্দর একটি পরিকল্পনা। একটি উত্তম পরিকল্পনাই পারে তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকের পুরো সিলেবাস সম্পর্কে তোমার সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আমরা জানি, বোর্ড পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩০ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনি অভীক্ষা এবং ৭০ নম্বর থাকবে সৃজনশীল প্রশ্নে। বহুনির্বাচনি (MCQ) প্রশ্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি অধ্যায় সম্পর্কে তোমার সুনির্দিষ্ট ধারণা না থাকলে ভালো করা যাবে না। তাই প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি লাইন ভালোভাবে পড়তে হবে। এখানে উল্লেখ্য, বহুনির্বাচনি প্রশ্নের (MCQ) উত্তর দেওয়ার সময় অবশ্যই সময়জ্ঞান মাথায় রেখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। একটি উত্তরও বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ, এ ক্ষেত্রে মাইনাস পয়েন্ট নেই। এ জন্য ৩০টি প্রশ্নেরই উত্তর দেবে। সৃজনশীল অংশের (CQ) জন্য বিশেষ করে প্রতিটি অধ্যায়ের প্রকারভেদ/শ্রেণিবিভাগ, পদ্ধতি, নীতিমালা, পদক্ষেপ, বৈশিষ্ট্য এ ধরনের প্রশ্ন ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। কারণ, অধিকাংশ সৃজনশীল প্রশ্নের প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্ন এ বিষয়গুলো থেকেই কমন পড়ে। তা ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় অবশ্যই সুন্দরভাবে খাতায় উপস্থাপন করবে। মনে রাখবে, উত্তর লেখার সময় যেন কাটাকাটি (ওভাররাইটিং) না হয়। যতটুকু লিখবে ততটুকু যেন প্রাসঙ্গিক হয়, এটি সুনিশ্চিত করবে। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অর্থাৎ প্রথমে ক (জ্ঞানমূলক), তারপর খ (অনুধাবনমূলক), এরপর গ (প্রয়োগ) এবং সর্বশেষ ঘ (উচ্চতর দক্ষতা) উত্তর দিতে হবে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর অর্থাৎ ‘ক’-এর ক্ষেত্রে শুধু যা চাওয়া হবে, তার উত্তরই লিখবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় প্রথমে জ্ঞানমূলক অংশ লিখবে, তারপর অনুধাবন অর্থাৎ দুটি স্তরে বা ধাপে উত্তর করবে। প্রয়োগের উত্তর অবশ্যই তিনটি ধাপে লিখতে হবে। এখানে উল্লেখ্য, প্রয়োগের উত্তর লেখার সময় প্রথমেই জ্ঞানমূলক উত্তর দিয়ে শুরু করবে। তারপর অনুধাবনসহ বাকি অংশটুকু লিখবে। এ ছাড়া উচ্চতর দক্ষতার ক্ষেত্রেও চারটি ধাপে উত্তর লিখবে। এখানেও খেয়াল রাখতে হবে, উত্তরটি যেন অবশ্যই জ্ঞানমূলক উত্তর দিয়ে শুরু হয় এবং প্রাসঙ্গিকতা বজায় থাকে। কেননা, অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখলে উত্তর নিম্নমানের হয়ে যাবে, যা কি না একজন শিক্ষার্থীর জন্য শোভনীয় নয়। তা ছাড়া সৃজনশীল অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য ১১টি উদ্দীপক থেকে প্রথমেই তুমি সাতটি উদ্দীপক নির্বাচন করবে অর্থাৎ যে সাতটি উদ্দীপকের চারটি অংশই তুমি ভালোভাবে পারো। পরীক্ষা চলাকালীন লেখা শেষ হওয়ার পর অবশ্যই খাতা রিভিশন দেবে। রিভিশন দেওয়ার সময় খেয়াল করে দেখবে, কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ পড়েছে কি না অথবা প্রশ্নের নম্বর লিখতে ভুল করেছ কি না। উত্তরপত্র যথাযথ হলে তারপর খাতা জমা দেবে।
সর্বোপরি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রয়োজন কঠোর অনুশীলন। তা ছাড়া ঢাকা বোর্ডসহ বিগত বছরের বিভিন্ন বোর্ডের (সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি অভীক্ষা) প্রশ্নগুলো সমাধান করার পাশাপাশি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশ্নগুলো দেখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। আশা করি, তুমি তোমার প্রত্যাশিত ফল অর্জন করতে সক্ষম হবে।
পপেল চন্দ্র সাহা, সহকারী অধ্যাপক, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে