নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আগে বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহে একটা মুরগি কেনার চেষ্টা করতাম। এখন মুরগি পুরাপুরি বাদ। মাছ-গরুর মাংস তো আরও আগেই বাদ দিছি। এক সপ্তাহ ধইরা শুধু আলু আর বাঁধাকপি দিয়া পার করতেছি। বাচ্চাগুলা ভালো কিছু খাওয়ার জন্য কান্দে। ওদের তো বুঝাইতে পারি না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ কথাগুলো বলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে সদাইপাতি কিনতে আসা স্বপ্না আক্তার।
পেশায় দরজি এই নারীর মাসে আয় ১০ হাজার টাকার মতো। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাঁর স্বামী পান ১৫ হাজার টাকা। ২৫ হাজার টাকা আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে প্রতি মাসেই নানাভাবে খরচের খাতায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাঁদের। স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে দুই রুমের সাবলেট বাসায় থাকেন স্বপ্না। তবে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পাল্লা ভারী হতে থাকায় আগামী মাসেই একটা রুম ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাঁকে।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে স্বপ্নার মতোই খাদ্যতালিকা ছোট করছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। রায়েরবাজারে বাজার করতে আসা রিয়াজুল হক জানান, বাসায় বৃদ্ধ মা আর ছোট বাচ্চাকে দিনে দুটি করে সেদ্ধ ডিম দেওয়া হতো। দুই সপ্তাহ ধরে সেটা বাদ দিয়েছেন। মাসে একটা হরলিকস কিনতেন, সেটাও আগামী মাস থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা দরে। আর মিনিকেটের কেজি ৭৫ টাকা। রামপুরা বাজারে চাল কিনতে আসা গৃহিণী পারভিন আক্তার বলেন, ‘এত দিন মিনিকেট চাল কিনতাম। আজ মোটা চালটাই কিনব বলে ঠিক করছি। দামের সঙ্গে আর পাইরা উঠতেছি না।’
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানেই প্যাকেটজাত চিনি নেই। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্যাকেটজাত লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। রামপুরা বাজারের আবু তাহের স্টোরের বিক্রেতা আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানে চিনি নাই। কোনো কোম্পানি থেকেই চিনি পাইতেছি না আমরা।’ সয়াবিন তেলের বাজারও গরম। ৫ লিটারের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। আর খোলা তেল প্রতিকেজি ১৯৫ টাকা। মেরাদিয়া বাজারের একটি দোকানে তেল কিনতে আসা শওকত হোসাইন বলেন, সব সময় পাঁচ লিটারের ক্যান কিনতাম। কিন্তু মাস তিনেক ধরে ২ লিটারের বোতল কিনতেছি। তেল কম কিনলে খরচও মনে হয় একটু কম হয়।
দাম বাড়ায় মুরগির বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতারা। মোহাম্মদপুর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আসলাম আলী বলেন, ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০ টাকা। লাল ডিমের ডজন ১৪৫ টাকা। দাম তো বাড়ছে। বিক্রিও কিছুটা কম মনে হইতেছে। পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ। কোনো ব্যবসার অবস্থাই ভালো না।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা।
সবজির বাজারে বাঁধাকপি, আলু ও টমেটো ছাড়া প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তির দিকে। বাঁধাকপি প্রতিটা আকারভেদে ২০-৩০ টাকা, আলুর কেজি জাতভেদে ২০-২৫ টাকা এবং টমেটো কেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্য সবজির মধ্যে মুলা ৪০, পেঁপে ৪০, শসা ৬০, গাজর ৪০, বরবটি ১৪০, তাল বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা আর শুকনা মরিচ ৪২০ টাকা। লাউ প্রতিটা ৮০-৯০ টাকা, লেবু জাতভেদে ৪৫-৬০ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৪০-৫০ টাকা হালি।
মেরাদিয়া বাজারে শাকসবজির দরদাম করা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, `দুইটা লাউয়ের ডগা ৩০ টাকা চাইতেছে। কাঁচকলা, পেঁপে ২০ টাকা কইরা কিনতাম, সেইটা এখন ৪০-৫০ টাকা। মাছ-মাংস তো বাদ দিছিই, শাকসবজি খাইয়া বাঁচার মতো অবস্থাও আর থাকতেছে না।’
‘আগে বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহে একটা মুরগি কেনার চেষ্টা করতাম। এখন মুরগি পুরাপুরি বাদ। মাছ-গরুর মাংস তো আরও আগেই বাদ দিছি। এক সপ্তাহ ধইরা শুধু আলু আর বাঁধাকপি দিয়া পার করতেছি। বাচ্চাগুলা ভালো কিছু খাওয়ার জন্য কান্দে। ওদের তো বুঝাইতে পারি না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ কথাগুলো বলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে সদাইপাতি কিনতে আসা স্বপ্না আক্তার।
পেশায় দরজি এই নারীর মাসে আয় ১০ হাজার টাকার মতো। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাঁর স্বামী পান ১৫ হাজার টাকা। ২৫ হাজার টাকা আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে প্রতি মাসেই নানাভাবে খরচের খাতায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাঁদের। স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে দুই রুমের সাবলেট বাসায় থাকেন স্বপ্না। তবে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পাল্লা ভারী হতে থাকায় আগামী মাসেই একটা রুম ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাঁকে।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে স্বপ্নার মতোই খাদ্যতালিকা ছোট করছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। রায়েরবাজারে বাজার করতে আসা রিয়াজুল হক জানান, বাসায় বৃদ্ধ মা আর ছোট বাচ্চাকে দিনে দুটি করে সেদ্ধ ডিম দেওয়া হতো। দুই সপ্তাহ ধরে সেটা বাদ দিয়েছেন। মাসে একটা হরলিকস কিনতেন, সেটাও আগামী মাস থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা দরে। আর মিনিকেটের কেজি ৭৫ টাকা। রামপুরা বাজারে চাল কিনতে আসা গৃহিণী পারভিন আক্তার বলেন, ‘এত দিন মিনিকেট চাল কিনতাম। আজ মোটা চালটাই কিনব বলে ঠিক করছি। দামের সঙ্গে আর পাইরা উঠতেছি না।’
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানেই প্যাকেটজাত চিনি নেই। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্যাকেটজাত লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। রামপুরা বাজারের আবু তাহের স্টোরের বিক্রেতা আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানে চিনি নাই। কোনো কোম্পানি থেকেই চিনি পাইতেছি না আমরা।’ সয়াবিন তেলের বাজারও গরম। ৫ লিটারের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। আর খোলা তেল প্রতিকেজি ১৯৫ টাকা। মেরাদিয়া বাজারের একটি দোকানে তেল কিনতে আসা শওকত হোসাইন বলেন, সব সময় পাঁচ লিটারের ক্যান কিনতাম। কিন্তু মাস তিনেক ধরে ২ লিটারের বোতল কিনতেছি। তেল কম কিনলে খরচও মনে হয় একটু কম হয়।
দাম বাড়ায় মুরগির বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতারা। মোহাম্মদপুর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আসলাম আলী বলেন, ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০ টাকা। লাল ডিমের ডজন ১৪৫ টাকা। দাম তো বাড়ছে। বিক্রিও কিছুটা কম মনে হইতেছে। পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ। কোনো ব্যবসার অবস্থাই ভালো না।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা।
সবজির বাজারে বাঁধাকপি, আলু ও টমেটো ছাড়া প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তির দিকে। বাঁধাকপি প্রতিটা আকারভেদে ২০-৩০ টাকা, আলুর কেজি জাতভেদে ২০-২৫ টাকা এবং টমেটো কেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্য সবজির মধ্যে মুলা ৪০, পেঁপে ৪০, শসা ৬০, গাজর ৪০, বরবটি ১৪০, তাল বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা আর শুকনা মরিচ ৪২০ টাকা। লাউ প্রতিটা ৮০-৯০ টাকা, লেবু জাতভেদে ৪৫-৬০ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৪০-৫০ টাকা হালি।
মেরাদিয়া বাজারে শাকসবজির দরদাম করা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, `দুইটা লাউয়ের ডগা ৩০ টাকা চাইতেছে। কাঁচকলা, পেঁপে ২০ টাকা কইরা কিনতাম, সেইটা এখন ৪০-৫০ টাকা। মাছ-মাংস তো বাদ দিছিই, শাকসবজি খাইয়া বাঁচার মতো অবস্থাও আর থাকতেছে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে