ফেনীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৮
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৩

বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ফেনীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ।

জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সয়াবিন, সরিষার তেল, চিনি ও কাঁচা তরকারির দাম অনেক বেড়েছে। চিনি গত সপ্তাহ থেকে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে আগে বিক্রি হতো ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। সয়াবিন ও সরিষার তেলও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এ ছাড়া পেঁয়াজ, আটা, ময়দা, ডিম, মুরগি সবকিছুর দামই বাড়তি। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন কষ্টে আছেন, তেমনি অস্বস্তিতে আছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা ৷ খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার স্থিতিশীল না থাকায় আয় থেকে পুঁজি বেশি খাটাতে হচ্ছে, তাতে লাভ কম হচ্ছে।

সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী মনির আহম্মেদ বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল না থাকায় আমাদের লোকসান দিতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় পুঁজি বেশি খাটাতে হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় লাভ কম। তা ছাড়া দাম বাড়ার কারণে বিক্রিও কমেছে। ক্রেতাদের দাম বাড়ার কারণ বোঝাতে বোঝাতেই দিন পার করতে হচ্ছে।’

ব্যবসায়ী নুরুল হুদা জানান, ডিম প্রতি কেস ২৭০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। যেখানে আগে ছিল ২৫০ টাকা। মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা যা আগে ছিল ১২৫ টাকা। সরিষার তেল লিটার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। যা আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। তবে সয়াবিন তেলের দাম গত সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া আটা ময়দা প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

একই চিত্র সবজির বাজারে। শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, আলু ১৮ টাকা এবং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকায়।

চালের বাজার আগের মতোই স্থিতিশীল আছে।

এদিকে দাম বাড়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। দাম বেশি থাকার কারণে চাহিদা অনুযায়ী দৈনিক বাজার করতে পারছেন না অনেকে।

বাজার করতে আসা ক্রেতা মো. আলী বলেন, ‘সবজি কিনব নাকি মুদি বাজার করব? যা কিনতে যাই দাম বেশি। করোনাকালীন আমাদের আয় কমে গেছে। কিন্তু ব্যয় বেশি হচ্ছে। পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

এ ব্যাপরে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, নিত্যপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ট্রাইব্যুনালে কাঁদলেন ওসি মাজহার, নির্দোষ দাবি এনটিএমসির জিয়াউলের

বাংলাদেশকে কঠোর বার্তা দেবেন ট্রাম্প: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মার্কিন নেতা

জুলাই–আগস্ট গণহত্যা: ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে সময় এক মাস

বগুড়ায় নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করা শিশুর লাশ মিলল পুকুরে

মার্কিন উপকূলে আবারও ‘কেয়ামতের মাছ’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত