সজল জাহিদ
দিল্লির লাড্ডু যে খায় সেও পস্তায়, যে খায় না সেও নাকি পস্তায়! কেন যে এমন চমৎকার একটি খাবারকে মানুষ বিয়ে আর বিয়ে-পরবর্তী জীবনের দুরবস্থার সঙ্গে তুলনা করে, তার ইতিহাস আমি জানি না। আমি লাড্ডু খেয়ে মোটেই পস্তাইনি কখনো; বরং সাধ মিটিয়ে কেন খাওয়া যায় না, সেটা নিয়ে আফসোস করেছি।
লাড্ডুর মতো এতটা হালকা আর ঝুরঝুরে মিষ্টি দ্বিতীয়টি আছে বলে জানা নেই। ভেঙে টুকরো করে হোক বা গোটা একটা মুখে পুরে, যেভাবে লাড্ডু উপভোগ করতে চান না কেন, সে মুখের মধ্যে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবেই যাবে! বিশেষ করে দিল্লির লাড্ডু। তার তো জবাবই নেই আমার কাছে অন্তত। দেশের আর দেশের বাইরের যত জায়গার লাড্ডু চেখে দেখেছি, এখন পর্যন্ত দিল্লির লাড্ডুই সবচেয়ে পছন্দের। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে হলদিরামের লাড্ডু।
ভারতে মিষ্টির স্বাদ, রকম আর সাজের ক্ষেত্রে হলদিরামের আলাদা কদর আছে। কত রকমের, রঙের, নামের, বাহারের আর স্বাদের মিষ্টি যে হলদিরামে পাওয়া যায়, তার সঠিক হিসাব রাখা দুঃসাধ্য।
সেবার দিল্লি পৌঁছে, সারা দিনের নানা রকমের ব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যার পরে পরিবার নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম দিল্লির রাজপথে। দিল্লির রাজপথে হেঁটে বেড়ানো আর নানা রকমের স্ট্রিট ফুড খাওয়া আমার একটা শখ। সেসব খাবারের মধ্যে থাকে লাড্ডুও! শুকনো বলে ব্যাগে বা পকেটে পুরে বা এমনকি হাতের মুঠোয় নিয়ে দিব্যি শহর চষে বেড়ানো যায়।
তো সেবার সন্ধ্যার খাবার শেষে গিয়েছিলাম নতুন দিল্লির বনেদি শপিং কেন্দ্র কন্নড় প্যালেসে। চোখে পড়ল বিশাল আলো-ঝলমলে শত রকমের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসা বিখ্যাত হলদিরামের আউটলেট। দ্বিতীয়বার না ভেবে ঢুকে পড়লাম সেখানে। শত রকমের মিষ্টির মাঝে আমার প্রথম পছন্দ রসগোল্লা আর নানা রঙের লাড্ডু!
কমলা, লাল আর সবুজের আবরণ দেওয়া তিন রকমের লাড্ডু খেলাম। একেকটার একেক রকমের অদ্ভুত স্বাদে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে; বিশেষ করে মতিচুরের লাড্ডু নামে যে লাড্ডুটা খেয়েছি, সেটার স্বাদ তো এখনো মুখে লেগে আছে। মিহি, মসৃণ, মুখে দিতেই যেন গলে গলে ঢলে পড়ছিল এমন একটা লাড্ডু ছিল সেদিনের লাড্ডুর প্লেটে। একটা ছিল কিছুটা শক্ত আবরণের আর শুকনো। কিন্তু সেটারও সেই একই ভেঙে পড়া মুখে নিতেই! সবকিছু মিলে দিল্লি বলুন আর হিল্লি বলুন, লাড্ডু খেয়ে আমি কোনো দিন পস্তাইনি; বরং আরও কয়েকটা কেন খেতে পারলাম না, সেই আফসোসে পুড়েছি প্রতিবার।
দিল্লি গেলেই আমি লাড্ডু খুঁজি, অলিগলিতে, এখানে-সেখানে, দোকানে-বাজারে, মিষ্টির দোকানে বা বেকারিতে। যাঁরা দিল্লি যাবেন, সময়-সুযোগ পেলে অবশ্যই চেখে দেখতে পারেন। পস্তাবেন না, সে নিশ্চিত করেই বলা যায়। যদি আপনি মিষ্টিপ্রেমী হয়ে থাকেন।
দিল্লির লাড্ডু যে খায় সেও পস্তায়, যে খায় না সেও নাকি পস্তায়! কেন যে এমন চমৎকার একটি খাবারকে মানুষ বিয়ে আর বিয়ে-পরবর্তী জীবনের দুরবস্থার সঙ্গে তুলনা করে, তার ইতিহাস আমি জানি না। আমি লাড্ডু খেয়ে মোটেই পস্তাইনি কখনো; বরং সাধ মিটিয়ে কেন খাওয়া যায় না, সেটা নিয়ে আফসোস করেছি।
লাড্ডুর মতো এতটা হালকা আর ঝুরঝুরে মিষ্টি দ্বিতীয়টি আছে বলে জানা নেই। ভেঙে টুকরো করে হোক বা গোটা একটা মুখে পুরে, যেভাবে লাড্ডু উপভোগ করতে চান না কেন, সে মুখের মধ্যে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবেই যাবে! বিশেষ করে দিল্লির লাড্ডু। তার তো জবাবই নেই আমার কাছে অন্তত। দেশের আর দেশের বাইরের যত জায়গার লাড্ডু চেখে দেখেছি, এখন পর্যন্ত দিল্লির লাড্ডুই সবচেয়ে পছন্দের। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে হলদিরামের লাড্ডু।
ভারতে মিষ্টির স্বাদ, রকম আর সাজের ক্ষেত্রে হলদিরামের আলাদা কদর আছে। কত রকমের, রঙের, নামের, বাহারের আর স্বাদের মিষ্টি যে হলদিরামে পাওয়া যায়, তার সঠিক হিসাব রাখা দুঃসাধ্য।
সেবার দিল্লি পৌঁছে, সারা দিনের নানা রকমের ব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যার পরে পরিবার নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম দিল্লির রাজপথে। দিল্লির রাজপথে হেঁটে বেড়ানো আর নানা রকমের স্ট্রিট ফুড খাওয়া আমার একটা শখ। সেসব খাবারের মধ্যে থাকে লাড্ডুও! শুকনো বলে ব্যাগে বা পকেটে পুরে বা এমনকি হাতের মুঠোয় নিয়ে দিব্যি শহর চষে বেড়ানো যায়।
তো সেবার সন্ধ্যার খাবার শেষে গিয়েছিলাম নতুন দিল্লির বনেদি শপিং কেন্দ্র কন্নড় প্যালেসে। চোখে পড়ল বিশাল আলো-ঝলমলে শত রকমের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসা বিখ্যাত হলদিরামের আউটলেট। দ্বিতীয়বার না ভেবে ঢুকে পড়লাম সেখানে। শত রকমের মিষ্টির মাঝে আমার প্রথম পছন্দ রসগোল্লা আর নানা রঙের লাড্ডু!
কমলা, লাল আর সবুজের আবরণ দেওয়া তিন রকমের লাড্ডু খেলাম। একেকটার একেক রকমের অদ্ভুত স্বাদে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে; বিশেষ করে মতিচুরের লাড্ডু নামে যে লাড্ডুটা খেয়েছি, সেটার স্বাদ তো এখনো মুখে লেগে আছে। মিহি, মসৃণ, মুখে দিতেই যেন গলে গলে ঢলে পড়ছিল এমন একটা লাড্ডু ছিল সেদিনের লাড্ডুর প্লেটে। একটা ছিল কিছুটা শক্ত আবরণের আর শুকনো। কিন্তু সেটারও সেই একই ভেঙে পড়া মুখে নিতেই! সবকিছু মিলে দিল্লি বলুন আর হিল্লি বলুন, লাড্ডু খেয়ে আমি কোনো দিন পস্তাইনি; বরং আরও কয়েকটা কেন খেতে পারলাম না, সেই আফসোসে পুড়েছি প্রতিবার।
দিল্লি গেলেই আমি লাড্ডু খুঁজি, অলিগলিতে, এখানে-সেখানে, দোকানে-বাজারে, মিষ্টির দোকানে বা বেকারিতে। যাঁরা দিল্লি যাবেন, সময়-সুযোগ পেলে অবশ্যই চেখে দেখতে পারেন। পস্তাবেন না, সে নিশ্চিত করেই বলা যায়। যদি আপনি মিষ্টিপ্রেমী হয়ে থাকেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে