সৌগত বসু, ঢাকা
রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করতে ১৫টি বড় প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনটি পুরোপুরি ও আংশিক চালু করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলোর কোনোটি নির্মাণাধীন, কোনোটি সমীক্ষা পর্যায়ে, আবার কোনোটি সমীক্ষা শেষে অর্থায়নের অভাবে থমকে আছে। এরই মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘটনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তাঁর আমলে নেওয়া এসব প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় চলমান প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে অনেক প্রকল্প মাঝপথে থেমে যাবে এবং অনিশ্চয়তায় পড়বে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রমতে, ঢাকায় এখন পর্যন্ত ছয় ধরনের যোগাযোগকেন্দ্রিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, আটটি রেডিয়াল সড়ক, তিনটি লিংক রোডসহ ট্রান্সপোর্ট হাব এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা এসব প্রকল্প। কিন্তু বাস্তবায়নের যে বাস্তবচিত্র, তাতে প্রকল্পগুলোর কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদতে একসঙ্গে এত প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো সক্ষমতা নেই। প্রকল্প মানে শুধু আর্থিক সক্ষমতার বিষয় নয়। এখানে টেকনিক্যাল সক্ষমতাও থাকতে হবে। দাতা সংস্থা অর্থায়ন করবে কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের দায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের। এসব প্রকল্পের যে টাইমলাইন আছে, তা শুনতে ভালো লাগে, তবে এগুলো বাস্তবায়ন করার মতো সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
কোন প্রকল্পের কী অবস্থা
মেট্রোরেল: রাজধানীকে ঘিরে পাঁচটি মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে কেবল একটিতে ট্রেন চলছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ‘এমআরটি-৬ লাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয়। বাকি চারটি সমীক্ষা ও ভূমি উন্নয়ন পর্যায়ে আছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১। ৫২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। এটি ২০২৭ সালে শেষ করার সময় ধরা হয়েছে। এটির ভূমি উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, গাবতলী-বেড়িবাঁধ-মোহাম্মদপুর-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ফুলবাড়িয়া-কমলাপুর নিয়ে এমআরটি লাইন-২। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির সমীক্ষা করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী খুঁজছে ডিএমটিসিএল। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নির্মাণ হবে ‘এমআরটি লাইন-৪’। এই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ করছে কোরীয় কোম্পানি দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং। এটিও ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা।
হেমায়েতপুর-গাবতলী-টেকনিক্যাল-মিরপুর-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-ভাটারা পর্যন্ত থাকছে এমআরটি লাইন-৫-এর উত্তরাংশে। এই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। এটি ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার কথা। আর প্রকল্পটির দক্ষিণাংশে থাকছে গাবতলী থেকে ধানমন্ডি-বসুন্ধরা সিটি-হাতিরঝিল হয়ে দাসেরকান্দি পর্যন্ত রেলপথ। এই অংশের সমীক্ষা ও নকশার ভিত্তিতে বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) জন্য পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটিও ২০২৮ সালে শেষ করার কথা।
মেট্রোরেলের প্রকল্পগুলো ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব প্রকল্পের আলাদাভাবে কাজ চলমান আছে। লাইন-৫-এর দক্ষিণাংশ নিয়ে ২১ অক্টোবর সভা আছে। সেখানে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে এটির ক্ষেত্রে কাজ ১ বছর পিছিয়ে গেছে। রুট বিন্যাস নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রকল্পগুলো নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্যয় না বাড়ানো ও সময়ক্ষেপণ না করার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
দুই বিআরটি প্রকল্প
গাজীপুর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত বিআরটি লাইন-৩ প্রকল্পে শুধু এয়ারপোর্ট পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। এটির অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। প্রকল্প সূত্র বলছে, ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ছয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বরে শেষ করার কথা। পরিকল্পনায় বড় ত্রুটি থাকায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই একে ‘সিক প্রজেক্ট’ বা রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিচ্ছেন।
এদিকে কাপাসিয়া-নারায়ণগঞ্জ নিয়ে বিআরটি লাইন-৭। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হয়। বর্তমানে সমীক্ষা শেষ হলেও আর কোনো অগ্রগতি নেই। ডিটিসিএ সূত্র বলছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো উন্নয়ন সহযোগী পাওয়া যায়নি।
তিনটি রিংরোড প্রকল্প
যানজট নিরসনে রাজধানীকে ঘিরে তিনটি বৃত্তাকার সড়ক (রিং রোড) নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আউটার রিং রোড, ইনার রিং রোড ও মিডল রিং রোড।
২০২০ সালের জুলাইয়ে আউটার রিং রোডের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে এই সমীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরও ছয় মাস সময় বাড়িয়ে এ বছর শেষ হয়েছে। আউটার ও মিডল রিং রোড নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। ইনার রিং রোড করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু কর্তৃপক্ষ।
ডিটিসিএ বলছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে আউটার রিং রোড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে দুই পর্বে। প্রথমে ২০২৮ সালের মধ্যে এই সড়ক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা হচ্ছে না।
ঢাকা আউটার রিং রোডের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডি এম গিয়াস মালিক বলেন, তাঁরা সমীক্ষা শেষ করেছেন। সমীক্ষার রিপোর্ট অন্যান্য সংস্থার কাছে দেওয়া হয়েছে।
ইনার রিং রোড প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২৫ দশমিক ২৪ কিলোমিটার রাস্তাকে মহাসড়কে উন্নীত করতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৭১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ১০৭ কোটি টাকার বেশি। ছয় বছর আগে গাবতলী-বাবুবাজার-কদমতলী অংশের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা ও চূড়ান্ত নকশা করেছে সওজ। এর একটি অংশ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করবে, যাতে খরচ হবে ৯৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, ২০২৭ সালের জুনে এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
অন্যদিকে হেমায়েতপুর-কালাকান্দি-৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর-ভুলতা (ঢাকা বাইপাস হয়ে)-কড্ডা (গাজীপুর)-বাইপাইল (ঢাকা-ইপিজেড)-হেমায়েতপুর নিয়ে মিডল রিং রোড। এই প্রকল্পের ঢাকা বাইপাস অংশের কাজ চলছে।
কাজ বন্ধ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এবং পরে ২০ মার্চ কারওয়ান বাজার (এফডিসি) এক্সপ্রেসওয়ের অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এ প্রকল্প। তবে অর্থসংকটে দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে এই প্রকল্পের। প্রকল্পটির গত ছয় মাসে মাত্র ৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র বলছে, বিদেশি তিন কোম্পানির বিরোধে বন্ধ হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। বিদেশি কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণে আদালতে মামলা করায় কাজের গতি থেমে গেছে। কবে নাগাদ কাজ আবার শুরু হবে, তা বলতে পারছে না বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এফডিইই এর শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তরসংক্রান্ত জটিলতায় এ প্রকল্পে চায়নিজ দুটি ব্যাংক থেকে ঋণের কিস্তি ছাড় বন্ধ রয়েছে। এ জন্য হাতিরঝিল এলাকায় প্রকল্পের কাজ সীমিত পরিসরে চলমান রয়েছে।
৯ বছর ধরে কাজ চলমান রয়েছে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। এটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। ঋণ সহায়তায় জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে কয়েক বছর দেরি হয়। প্রকল্প সূত্র বলছে, কাজ ২০১৭ সালে শুরু হলেও মূলত ২০২২ সালে এটির গতি পায়। এটির নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর।
এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে, যা পরে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে পরিচিত। ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ট্রান্সপোর্টেশন হাব ও রুট রেশনালাইজেশন
ঢাকাকে ঘিরে ২১টি ট্রান্সপোর্টেশন হাব করার কথা রয়েছে। তবে সেগুলো এখনো কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ। ঢাকা শহরের চারপাশের বৃত্তাকার জলপথ নির্মাণের কথা থাকলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। রাজধানীকে ঘিরে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় প্রকল্পের সমীক্ষা করা হয়েছে। তবে এর পর আর কাজ এগোয়নি। ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও যাত্রীভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রাজধানীকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। তিন বছর পর হলেও এই পরিকল্পনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
এই প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, তাঁরা রুট রেশনালাইজেশন কমিটির অধীনে সভা করেছেন। সভায় বাসমালিকদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। সেখানে তাঁরা (বাসমালিক) অনেক রুট নতুন করে বিন্যাস করতে বলেছেন।
রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করতে ১৫টি বড় প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনটি পুরোপুরি ও আংশিক চালু করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলোর কোনোটি নির্মাণাধীন, কোনোটি সমীক্ষা পর্যায়ে, আবার কোনোটি সমীক্ষা শেষে অর্থায়নের অভাবে থমকে আছে। এরই মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘটনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তাঁর আমলে নেওয়া এসব প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় চলমান প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে অনেক প্রকল্প মাঝপথে থেমে যাবে এবং অনিশ্চয়তায় পড়বে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রমতে, ঢাকায় এখন পর্যন্ত ছয় ধরনের যোগাযোগকেন্দ্রিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল, দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, আটটি রেডিয়াল সড়ক, তিনটি লিংক রোডসহ ট্রান্সপোর্ট হাব এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা এসব প্রকল্প। কিন্তু বাস্তবায়নের যে বাস্তবচিত্র, তাতে প্রকল্পগুলোর কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদতে একসঙ্গে এত প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো সক্ষমতা নেই। প্রকল্প মানে শুধু আর্থিক সক্ষমতার বিষয় নয়। এখানে টেকনিক্যাল সক্ষমতাও থাকতে হবে। দাতা সংস্থা অর্থায়ন করবে কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের দায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের। এসব প্রকল্পের যে টাইমলাইন আছে, তা শুনতে ভালো লাগে, তবে এগুলো বাস্তবায়ন করার মতো সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
কোন প্রকল্পের কী অবস্থা
মেট্রোরেল: রাজধানীকে ঘিরে পাঁচটি মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে কেবল একটিতে ট্রেন চলছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ‘এমআরটি-৬ লাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয়। বাকি চারটি সমীক্ষা ও ভূমি উন্নয়ন পর্যায়ে আছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১। ৫২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। এটি ২০২৭ সালে শেষ করার সময় ধরা হয়েছে। এটির ভূমি উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, গাবতলী-বেড়িবাঁধ-মোহাম্মদপুর-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ফুলবাড়িয়া-কমলাপুর নিয়ে এমআরটি লাইন-২। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির সমীক্ষা করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী খুঁজছে ডিএমটিসিএল। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নির্মাণ হবে ‘এমআরটি লাইন-৪’। এই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ করছে কোরীয় কোম্পানি দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং। এটিও ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা।
হেমায়েতপুর-গাবতলী-টেকনিক্যাল-মিরপুর-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-ভাটারা পর্যন্ত থাকছে এমআরটি লাইন-৫-এর উত্তরাংশে। এই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। এটি ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার কথা। আর প্রকল্পটির দক্ষিণাংশে থাকছে গাবতলী থেকে ধানমন্ডি-বসুন্ধরা সিটি-হাতিরঝিল হয়ে দাসেরকান্দি পর্যন্ত রেলপথ। এই অংশের সমীক্ষা ও নকশার ভিত্তিতে বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) জন্য পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটিও ২০২৮ সালে শেষ করার কথা।
মেট্রোরেলের প্রকল্পগুলো ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব প্রকল্পের আলাদাভাবে কাজ চলমান আছে। লাইন-৫-এর দক্ষিণাংশ নিয়ে ২১ অক্টোবর সভা আছে। সেখানে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে এটির ক্ষেত্রে কাজ ১ বছর পিছিয়ে গেছে। রুট বিন্যাস নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রকল্পগুলো নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্যয় না বাড়ানো ও সময়ক্ষেপণ না করার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
দুই বিআরটি প্রকল্প
গাজীপুর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত বিআরটি লাইন-৩ প্রকল্পে শুধু এয়ারপোর্ট পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। এটির অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। প্রকল্প সূত্র বলছে, ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ছয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বরে শেষ করার কথা। পরিকল্পনায় বড় ত্রুটি থাকায় প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই একে ‘সিক প্রজেক্ট’ বা রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিচ্ছেন।
এদিকে কাপাসিয়া-নারায়ণগঞ্জ নিয়ে বিআরটি লাইন-৭। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হয়। বর্তমানে সমীক্ষা শেষ হলেও আর কোনো অগ্রগতি নেই। ডিটিসিএ সূত্র বলছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো উন্নয়ন সহযোগী পাওয়া যায়নি।
তিনটি রিংরোড প্রকল্প
যানজট নিরসনে রাজধানীকে ঘিরে তিনটি বৃত্তাকার সড়ক (রিং রোড) নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আউটার রিং রোড, ইনার রিং রোড ও মিডল রিং রোড।
২০২০ সালের জুলাইয়ে আউটার রিং রোডের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে এই সমীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরও ছয় মাস সময় বাড়িয়ে এ বছর শেষ হয়েছে। আউটার ও মিডল রিং রোড নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। ইনার রিং রোড করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু কর্তৃপক্ষ।
ডিটিসিএ বলছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে আউটার রিং রোড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে দুই পর্বে। প্রথমে ২০২৮ সালের মধ্যে এই সড়ক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা হচ্ছে না।
ঢাকা আউটার রিং রোডের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডি এম গিয়াস মালিক বলেন, তাঁরা সমীক্ষা শেষ করেছেন। সমীক্ষার রিপোর্ট অন্যান্য সংস্থার কাছে দেওয়া হয়েছে।
ইনার রিং রোড প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২৫ দশমিক ২৪ কিলোমিটার রাস্তাকে মহাসড়কে উন্নীত করতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৭১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ১০৭ কোটি টাকার বেশি। ছয় বছর আগে গাবতলী-বাবুবাজার-কদমতলী অংশের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা ও চূড়ান্ত নকশা করেছে সওজ। এর একটি অংশ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করবে, যাতে খরচ হবে ৯৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, ২০২৭ সালের জুনে এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
অন্যদিকে হেমায়েতপুর-কালাকান্দি-৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর-ভুলতা (ঢাকা বাইপাস হয়ে)-কড্ডা (গাজীপুর)-বাইপাইল (ঢাকা-ইপিজেড)-হেমায়েতপুর নিয়ে মিডল রিং রোড। এই প্রকল্পের ঢাকা বাইপাস অংশের কাজ চলছে।
কাজ বন্ধ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এবং পরে ২০ মার্চ কারওয়ান বাজার (এফডিসি) এক্সপ্রেসওয়ের অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এ প্রকল্প। তবে অর্থসংকটে দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে এই প্রকল্পের। প্রকল্পটির গত ছয় মাসে মাত্র ৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র বলছে, বিদেশি তিন কোম্পানির বিরোধে বন্ধ হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। বিদেশি কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণে আদালতে মামলা করায় কাজের গতি থেমে গেছে। কবে নাগাদ কাজ আবার শুরু হবে, তা বলতে পারছে না বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এফডিইই এর শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তরসংক্রান্ত জটিলতায় এ প্রকল্পে চায়নিজ দুটি ব্যাংক থেকে ঋণের কিস্তি ছাড় বন্ধ রয়েছে। এ জন্য হাতিরঝিল এলাকায় প্রকল্পের কাজ সীমিত পরিসরে চলমান রয়েছে।
৯ বছর ধরে কাজ চলমান রয়েছে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। এটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। ঋণ সহায়তায় জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে কয়েক বছর দেরি হয়। প্রকল্প সূত্র বলছে, কাজ ২০১৭ সালে শুরু হলেও মূলত ২০২২ সালে এটির গতি পায়। এটির নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর।
এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে, যা পরে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে পরিচিত। ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ট্রান্সপোর্টেশন হাব ও রুট রেশনালাইজেশন
ঢাকাকে ঘিরে ২১টি ট্রান্সপোর্টেশন হাব করার কথা রয়েছে। তবে সেগুলো এখনো কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ। ঢাকা শহরের চারপাশের বৃত্তাকার জলপথ নির্মাণের কথা থাকলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। রাজধানীকে ঘিরে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় প্রকল্পের সমীক্ষা করা হয়েছে। তবে এর পর আর কাজ এগোয়নি। ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও যাত্রীভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রাজধানীকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। তিন বছর পর হলেও এই পরিকল্পনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
এই প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, তাঁরা রুট রেশনালাইজেশন কমিটির অধীনে সভা করেছেন। সভায় বাসমালিকদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। সেখানে তাঁরা (বাসমালিক) অনেক রুট নতুন করে বিন্যাস করতে বলেছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে