রহমান মৃধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে না পারলে মানব-প্রতিযোগিতামূলক বুদ্ধিমত্তাসহ এআই সিস্টেমগুলো সমাজ এবং মানবতার জন্য গভীর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে জেনেও দুর্ভাগ্যবশত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার এ স্তরটি সঠিকভাবে ঘটছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে এআই কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, যা তাদের নির্মাতারাও বুঝতে পারছেন না। ভবিষ্যদ্বাণী বা নির্ভরযোগ্যভাবে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কি না, এটাও এখন প্রশ্ন! যদি সবকিছু সঠিকভাবে এগোতে থাকে, তবে এআইয়ের মাধ্যমে মানবতা একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ উপভোগ করতে পারবে বলেও অনেকে আশাবাদী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানাভাবে গণতন্ত্রে প্রভাব রাখতে পারবে। সরকারের সঙ্গে জনগণের ঘনিষ্ঠতা সহজতর করা, ট্যাক্স সিস্টেম এবং ভোটার নিবন্ধন, ভবিষ্যতে এআই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাসহ জনগণকে সহায়তা করা এবং জনগণের প্রতি সরকারকে দায়বদ্ধ করার বিষয়টি সহজতর করবে। এ ছাড়া বর্তমানে এতে কিছু শক্তিশালী টুলস রয়েছে, যেমন সরকারি ব্যয় পর্যবেক্ষণ, দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো শনাক্তকরণ এবং নির্বাচনী ফলাফল পর্যবেক্ষণে সহায়তা। ভবিষ্যতে এআই জনগণের জন্য সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতেও সহজতর করবে।
তবে গণতন্ত্রের মোকাবিলা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ বলেও অনেকে মনে করছেন এবং এ নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনা চলছে। এমনকি বেশ কিছু পর্যবেক্ষক সতর্ক করছেন—এআই গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন ও পরিসমাপ্তিও ঘটাতে পারে। তবে মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—এআই কোনো নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় এজেন্ট নয় যে সে তার ইচ্ছামতো কাজ করবে। বিষয়টি নির্ভর করে কে কোন উদ্দেশ্যে এআই ব্যবহার করছে। গণতন্ত্রকে অবমূল্যায়ন করতে এআই ব্যবহারের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অথবা সুনির্দিষ্ট কণ্ঠকে দমিয়ে দিতে এআই ব্যবহৃত হতে পারে।
সৃষ্টির রহস্যে পরিষ্কার যে আকাশ এবং পাতালের মাঝখানে কোনো বাধা নেই। তাহলে কী করে সম্ভব আমাদের গতিশীল জীবনকে বাধার মাঝে আটকে রাখা? শিক্ষা সেই শুরু থেকে গড়ে উঠেছে এবং তাকে বেড়াজালে বদ্ধ করা হয়েছে। যার ফলে আমাদের চিন্তা-চেতনায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু এআই আমাদেরই তৈরি এক সৃষ্টি অথচ তার ক্রিয়েটিভিটি দ্রুততার সঙ্গে সীমা লঙ্ঘন করে প্রসারিত হতে চলেছে। তাহলে প্রশ্ন হতেই পারে—এআই মানুষের তৈরি, তা কী করে সীমাহীন হতে পারে?
ইলন মাস্ক এবং অন্যরা ‘সমাজের ঝুঁকি’ উল্লেখ করে ছয় মাসের জন্য শক্তিশালী এআই সিস্টেমের বিকাশ বিরতির আহ্বান জানান। অন্যথায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমগুলো শিগগিরই মানবতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। মূলত এআইয়ের দ্রুত বর্ধন সমাজ তথা রাষ্ট্র মোকাবিলা করতে বা মেনে নিতে শতভাগ প্রস্তুত নয়। এআই রাজনীতিবিদদের জন্য বড় আকারের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে এটি এমনভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে যে রাজনীতিবিদেরা ভয়ংকর আতঙ্কের মধ্যে আছেন। অর্থনৈতিক সিস্টেম থেকে শুরু
করে মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপরও বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এআই যদি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তবে বাক্স্বাধীনতা হরণ করতেও এর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
যা হোক, আমরা মানুষ। আমরা ভুল করি, ভুল থেকে শিখি। প্রতিদিন আমরা আমাদের মনের মধ্যে একটি সহজ চিন্তা নিয়ে দিন শুরু করি যে আজ যেখানেই যাই না কেন এবং যা-ই করি না কেন, নিজেদের এবং অন্যদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, প্রেমময় ও আনন্দময় জীবন তৈরি করব। আমরা যদি দিনে শতবার এই কাজটি করতে ব্যর্থ হই তাতে কী আসে-যায়?
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষের জন্য ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। শতবার ব্যর্থ হলেও এই ব্যর্থতার মাঝে আমরা শত শত নতুন কিছু শিখব। আমরা সত্যিই যদি প্রতিজ্ঞা করি এবং যত্নশীল হই, সেটা পূর্ণ করতে তাহলে আমাদের মন সংগঠিত হবে। একবার মন সংগঠিত হলে, চিন্তাভাবনা এবং আবেগগুলোও সংগঠিত হবে। আমাদের শক্তিও একই দিকে সংগঠিত হবে। একবার মন, মস্তিষ্ক, আবেগ, শক্তি সংগঠিত হলে কোনো কিছুই আমাদের বাধা দিতে পারবে না। আমাদের ফোকাস করার ক্ষমতা এত শক্তিশালী হবে যে আমরা মনকে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব। তারই প্রমাণ এআই, তার শক্তিশালী হওয়ার পেছনে রয়েছে শতভাগ ফোকাস, যা তার শতভাগ নিয়ন্ত্রণে
এবং মজার ব্যাপার হলো, এআই তো মানুষের তৈরি রোবট। সে যখন পেরেছে, আমরা মানুষেরা কেন পারব না?
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে না পারলে মানব-প্রতিযোগিতামূলক বুদ্ধিমত্তাসহ এআই সিস্টেমগুলো সমাজ এবং মানবতার জন্য গভীর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে জেনেও দুর্ভাগ্যবশত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার এ স্তরটি সঠিকভাবে ঘটছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে এআই কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, যা তাদের নির্মাতারাও বুঝতে পারছেন না। ভবিষ্যদ্বাণী বা নির্ভরযোগ্যভাবে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কি না, এটাও এখন প্রশ্ন! যদি সবকিছু সঠিকভাবে এগোতে থাকে, তবে এআইয়ের মাধ্যমে মানবতা একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ উপভোগ করতে পারবে বলেও অনেকে আশাবাদী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানাভাবে গণতন্ত্রে প্রভাব রাখতে পারবে। সরকারের সঙ্গে জনগণের ঘনিষ্ঠতা সহজতর করা, ট্যাক্স সিস্টেম এবং ভোটার নিবন্ধন, ভবিষ্যতে এআই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাসহ জনগণকে সহায়তা করা এবং জনগণের প্রতি সরকারকে দায়বদ্ধ করার বিষয়টি সহজতর করবে। এ ছাড়া বর্তমানে এতে কিছু শক্তিশালী টুলস রয়েছে, যেমন সরকারি ব্যয় পর্যবেক্ষণ, দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো শনাক্তকরণ এবং নির্বাচনী ফলাফল পর্যবেক্ষণে সহায়তা। ভবিষ্যতে এআই জনগণের জন্য সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতেও সহজতর করবে।
তবে গণতন্ত্রের মোকাবিলা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ বলেও অনেকে মনে করছেন এবং এ নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনা চলছে। এমনকি বেশ কিছু পর্যবেক্ষক সতর্ক করছেন—এআই গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন ও পরিসমাপ্তিও ঘটাতে পারে। তবে মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—এআই কোনো নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় এজেন্ট নয় যে সে তার ইচ্ছামতো কাজ করবে। বিষয়টি নির্ভর করে কে কোন উদ্দেশ্যে এআই ব্যবহার করছে। গণতন্ত্রকে অবমূল্যায়ন করতে এআই ব্যবহারের বেশ কিছু উপায় রয়েছে। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে অথবা সুনির্দিষ্ট কণ্ঠকে দমিয়ে দিতে এআই ব্যবহৃত হতে পারে।
সৃষ্টির রহস্যে পরিষ্কার যে আকাশ এবং পাতালের মাঝখানে কোনো বাধা নেই। তাহলে কী করে সম্ভব আমাদের গতিশীল জীবনকে বাধার মাঝে আটকে রাখা? শিক্ষা সেই শুরু থেকে গড়ে উঠেছে এবং তাকে বেড়াজালে বদ্ধ করা হয়েছে। যার ফলে আমাদের চিন্তা-চেতনায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু এআই আমাদেরই তৈরি এক সৃষ্টি অথচ তার ক্রিয়েটিভিটি দ্রুততার সঙ্গে সীমা লঙ্ঘন করে প্রসারিত হতে চলেছে। তাহলে প্রশ্ন হতেই পারে—এআই মানুষের তৈরি, তা কী করে সীমাহীন হতে পারে?
ইলন মাস্ক এবং অন্যরা ‘সমাজের ঝুঁকি’ উল্লেখ করে ছয় মাসের জন্য শক্তিশালী এআই সিস্টেমের বিকাশ বিরতির আহ্বান জানান। অন্যথায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমগুলো শিগগিরই মানবতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। মূলত এআইয়ের দ্রুত বর্ধন সমাজ তথা রাষ্ট্র মোকাবিলা করতে বা মেনে নিতে শতভাগ প্রস্তুত নয়। এআই রাজনীতিবিদদের জন্য বড় আকারের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে এটি এমনভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে যে রাজনীতিবিদেরা ভয়ংকর আতঙ্কের মধ্যে আছেন। অর্থনৈতিক সিস্টেম থেকে শুরু
করে মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপরও বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এআই যদি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তবে বাক্স্বাধীনতা হরণ করতেও এর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
যা হোক, আমরা মানুষ। আমরা ভুল করি, ভুল থেকে শিখি। প্রতিদিন আমরা আমাদের মনের মধ্যে একটি সহজ চিন্তা নিয়ে দিন শুরু করি যে আজ যেখানেই যাই না কেন এবং যা-ই করি না কেন, নিজেদের এবং অন্যদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, প্রেমময় ও আনন্দময় জীবন তৈরি করব। আমরা যদি দিনে শতবার এই কাজটি করতে ব্যর্থ হই তাতে কী আসে-যায়?
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষের জন্য ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। শতবার ব্যর্থ হলেও এই ব্যর্থতার মাঝে আমরা শত শত নতুন কিছু শিখব। আমরা সত্যিই যদি প্রতিজ্ঞা করি এবং যত্নশীল হই, সেটা পূর্ণ করতে তাহলে আমাদের মন সংগঠিত হবে। একবার মন সংগঠিত হলে, চিন্তাভাবনা এবং আবেগগুলোও সংগঠিত হবে। আমাদের শক্তিও একই দিকে সংগঠিত হবে। একবার মন, মস্তিষ্ক, আবেগ, শক্তি সংগঠিত হলে কোনো কিছুই আমাদের বাধা দিতে পারবে না। আমাদের ফোকাস করার ক্ষমতা এত শক্তিশালী হবে যে আমরা মনকে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব। তারই প্রমাণ এআই, তার শক্তিশালী হওয়ার পেছনে রয়েছে শতভাগ ফোকাস, যা তার শতভাগ নিয়ন্ত্রণে
এবং মজার ব্যাপার হলো, এআই তো মানুষের তৈরি রোবট। সে যখন পেরেছে, আমরা মানুষেরা কেন পারব না?
লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে