যশোর প্রতিনিধি
যশোরের শার্শায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা কার্যক্রমের এক প্রকল্প থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ-চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও তিন সপ্তাহেও প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এই চাষিদের প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ এক কেজি বীজ, দুই রকমের ৪০ কেজি রাসায়নিক সার, উপকরণ পলিথিন, বালাইনাশক, সুতলি বাবদ ২ হাজার ৪৯৫ টাকা এবং চাষ ও শ্রমিকের খরচ বাবদ অর্থ ২ হাজার ৮০০ টাকা।
সূত্র আরও জানায়, প্রথম পর্যায়ে ১৩০ জনকে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত হলেও ১১টি ইউনিয়নে ১০ জন করে ১১০ জনকে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু খাতাকলমে সংখ্যাটি ১৩০ রয়ে গেছে। এই ১১০ জনকে শুধু বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। উপকরণ এবং চাষ-শ্রমিক বাবদ কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৩০ জন কৃষকের মধ্যে ১১৫ জনকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। এঁদের সার, বীজ এবং চার কেজি করে পলিথিন দেওয়া হয়েছে। প্রণোদনার কোনো ধরনের অর্থ তাঁরা পাননি। অথচ প্রকল্প শেষ করে টাকা পরিশোধের বিল-ভাউচার জমা দিয়ে বরাদ্দ উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে দুই ধাপে প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন প্রণোদনার আওতায় থাকা কৃষক শার্শার গোকর্ণ গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি শুধু সার, বীজ, পলিথিন আর সুতলি পেয়েছেন। তবে তিনি কোনো টাকা পাননি।
শার্শার কায়বা গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ অক্টোবর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রণোদনার এই অর্থ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডল আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুখেন্দু কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের থেকে এমওপি সার নিয়ে কৃষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রির অভিযোগও করেন। পরে ওই দিনই অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. একলাছ উদ্দিন অভিযোগ তদন্তের জন্য উপপরিচালক মঞ্জুরুল হককে পাঁচ কার্যদিবসের সময় দিয়ে একটি চিঠি দেন, কিন্তু সেই তদন্ত তিন সপ্তাহেও শেষ হয়নি।
এদিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ১০ দিন পর অতিরিক্ত পরিচালক মো. একলাছ উদ্দিন অবসরে চলে যান। এখন অতিরিক্ত পরিচালক পদেই চলতি দায়িত্বে রয়েছেন উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক। অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত না করেই তিনি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা কার্যক্রমসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত পরিচালক। কিন্তু এখন পর্যন্ত অভিযোগের ব্যাপারে কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি।
এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল দাবি করেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, টাকা পাওয়ার পর কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে। আর অন্য যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো সত্য নয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনার টাকা পরিশোধ করা হয়। তাই অনিয়মের সুযোগ নেই। ভুল-বোঝাবুঝির কারণে সম্ভবত চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মদ ওই অভিযোগ করেছিলেন। আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল-বোঝাবুঝির অবসানের সুযোগ ছিল। তবে তদন্ত চলছে, দাপ্তরিক কাজের কারণে এখনো তদন্ত সম্পন্ন হয়নি।
যশোরের শার্শায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা কার্যক্রমের এক প্রকল্প থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ-চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও তিন সপ্তাহেও প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এই চাষিদের প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ এক কেজি বীজ, দুই রকমের ৪০ কেজি রাসায়নিক সার, উপকরণ পলিথিন, বালাইনাশক, সুতলি বাবদ ২ হাজার ৪৯৫ টাকা এবং চাষ ও শ্রমিকের খরচ বাবদ অর্থ ২ হাজার ৮০০ টাকা।
সূত্র আরও জানায়, প্রথম পর্যায়ে ১৩০ জনকে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত হলেও ১১টি ইউনিয়নে ১০ জন করে ১১০ জনকে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু খাতাকলমে সংখ্যাটি ১৩০ রয়ে গেছে। এই ১১০ জনকে শুধু বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। উপকরণ এবং চাষ-শ্রমিক বাবদ কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৩০ জন কৃষকের মধ্যে ১১৫ জনকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। এঁদের সার, বীজ এবং চার কেজি করে পলিথিন দেওয়া হয়েছে। প্রণোদনার কোনো ধরনের অর্থ তাঁরা পাননি। অথচ প্রকল্প শেষ করে টাকা পরিশোধের বিল-ভাউচার জমা দিয়ে বরাদ্দ উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে দুই ধাপে প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন প্রণোদনার আওতায় থাকা কৃষক শার্শার গোকর্ণ গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি শুধু সার, বীজ, পলিথিন আর সুতলি পেয়েছেন। তবে তিনি কোনো টাকা পাননি।
শার্শার কায়বা গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ অক্টোবর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রণোদনার এই অর্থ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডল আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুখেন্দু কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের থেকে এমওপি সার নিয়ে কৃষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রির অভিযোগও করেন। পরে ওই দিনই অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. একলাছ উদ্দিন অভিযোগ তদন্তের জন্য উপপরিচালক মঞ্জুরুল হককে পাঁচ কার্যদিবসের সময় দিয়ে একটি চিঠি দেন, কিন্তু সেই তদন্ত তিন সপ্তাহেও শেষ হয়নি।
এদিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ১০ দিন পর অতিরিক্ত পরিচালক মো. একলাছ উদ্দিন অবসরে চলে যান। এখন অতিরিক্ত পরিচালক পদেই চলতি দায়িত্বে রয়েছেন উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক। অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত না করেই তিনি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা কার্যক্রমসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত পরিচালক। কিন্তু এখন পর্যন্ত অভিযোগের ব্যাপারে কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি।
এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল দাবি করেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, টাকা পাওয়ার পর কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে। আর অন্য যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো সত্য নয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনার টাকা পরিশোধ করা হয়। তাই অনিয়মের সুযোগ নেই। ভুল-বোঝাবুঝির কারণে সম্ভবত চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মদ ওই অভিযোগ করেছিলেন। আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল-বোঝাবুঝির অবসানের সুযোগ ছিল। তবে তদন্ত চলছে, দাপ্তরিক কাজের কারণে এখনো তদন্ত সম্পন্ন হয়নি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে