আয়নাল হোসেন, ঢাকা
‘রুটি-মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত-যৌবনা’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ওমর খৈয়ামের কবিতার ভাবানুবাদ করেছিলেন এভাবে। বই পড়ে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না। পৃথিবীর বিখ্যাত জ্ঞানী-গুণী মনীষীরা তাঁদের যাবতীয় জ্ঞানের ভান্ডার বইয়ের মাধ্যমে রেখে গেছেন। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ বইবিমুখ হয়ে পড়েছে। দিনদিন পাঠকসংখ্যা কমে যাচ্ছে। অপরদিকে কাগজের অস্বাভাবিক দাম, বই ছাপানোর অন্যান্য উপকরণের দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। সব মিলিয়ে বইয়ের ব্যবসা আজ চরম সংকটে পড়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে চরম মন্দাবস্থা চলছে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় ৩ হাজার ৬০০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রকাশকের অধীনে বইয়ের মোট বাজার হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বই ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
প্রকাশকেরা জানান, কাগজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সে সঙ্গে বই ছাপানোর কালি, বোর্ড, আর্ট পেপারসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম বইয়ের পরিবর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশি ব্যবহার করায় পাঠকসংখ্যা কমে যাচ্ছে।
পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের নামটি উচ্চারিত হলে মনে পড়ে বইয়ের জগতের কথা। এখানে রয়েছে সহস্রাধিক প্রকাশনী সংস্থা। এখান থেকে প্রকাশিত বই দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে দেয় আলো। কিন্তু সেই আলো আজ নিভে যাচ্ছে।
বাংলাবাজারের প্রকাশক, বিক্রেতা ও ছাপাখানার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাগজ সিন্ডিকেটের কবলে বইয়ের বাজার। ব্যবসা কতিপয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গেছে। আগে বই ও স্টেশনারি পণ্যের জন্য বাংলাবাজারে আসতেন মানুষজন। কিন্তু বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান গ্রামগঞ্জে কাগজ ও স্টেশনারি মালামাল পৌঁছে দিচ্ছে। এতে ক্রেতারা ঢাকায় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রকাশকেরা জানান, কাগজ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বইয়ের বাজার। সম্প্রতি কাগজের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। আগে ৮০ গ্রামের এক রিম কাগজের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে তা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ১০০ গ্রাম অপসেট কাগজ আগে বিক্রি হতো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে তা ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ২৩-৩৬ সাইজের এক প্যাকেট আর্ট কাগজের দাম ছিল আগে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে তা ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়েছে।
বাংলাবাজারের বই-খাতা বিক্রেতা মাহমুদুর রহমান মুকুল জানান, একদিকে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি এবং কাগজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। এতে তাঁদের বিক্রি এক-চতুর্থাংশে এসে ঠেকেছে।
শব্দশিল্প প্রকাশনার মালিক শরীফুর রহমান জানান, বাজারে কাগজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। আগে একটি বই ছাপাতে যাবতীয় খরচসহ ব্যয় হতো ১০০ টাকা। সেখানে এখন দ্বিগুণের বেশি খরচ হচ্ছে। বই এখন সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে তাঁদের এলাকার স্বনামধন্য অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, বাংলাবাজারে আড়াই হাজারের মতো বই, স্টেশনারিসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একতা প্রকাশনী, গ্লাক্সি, আবদুল্লাহ অ্যান্ড সন্স, মিনার প্রকাশনী, অবিস্মরণীয় প্রকাশনী, গ্লোব প্রকাশনীর মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার সময় সিনেমা হল পর্যন্ত খোলা ছিল। অথচ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কাগজ, বই ও স্টেশনারি ব্যবসায়ীরা সে ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে কাগজ আমদানিকারকেরা দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, ‘কাগজের ব্যবসা মূলত মিলাররা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁদের উৎপাদন খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’
‘রুটি-মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত-যৌবনা’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ওমর খৈয়ামের কবিতার ভাবানুবাদ করেছিলেন এভাবে। বই পড়ে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না। পৃথিবীর বিখ্যাত জ্ঞানী-গুণী মনীষীরা তাঁদের যাবতীয় জ্ঞানের ভান্ডার বইয়ের মাধ্যমে রেখে গেছেন। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ বইবিমুখ হয়ে পড়েছে। দিনদিন পাঠকসংখ্যা কমে যাচ্ছে। অপরদিকে কাগজের অস্বাভাবিক দাম, বই ছাপানোর অন্যান্য উপকরণের দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। সব মিলিয়ে বইয়ের ব্যবসা আজ চরম সংকটে পড়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে চরম মন্দাবস্থা চলছে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় ৩ হাজার ৬০০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রকাশকের অধীনে বইয়ের মোট বাজার হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বই ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
প্রকাশকেরা জানান, কাগজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সে সঙ্গে বই ছাপানোর কালি, বোর্ড, আর্ট পেপারসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম বইয়ের পরিবর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশি ব্যবহার করায় পাঠকসংখ্যা কমে যাচ্ছে।
পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের নামটি উচ্চারিত হলে মনে পড়ে বইয়ের জগতের কথা। এখানে রয়েছে সহস্রাধিক প্রকাশনী সংস্থা। এখান থেকে প্রকাশিত বই দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে দেয় আলো। কিন্তু সেই আলো আজ নিভে যাচ্ছে।
বাংলাবাজারের প্রকাশক, বিক্রেতা ও ছাপাখানার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাগজ সিন্ডিকেটের কবলে বইয়ের বাজার। ব্যবসা কতিপয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গেছে। আগে বই ও স্টেশনারি পণ্যের জন্য বাংলাবাজারে আসতেন মানুষজন। কিন্তু বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান গ্রামগঞ্জে কাগজ ও স্টেশনারি মালামাল পৌঁছে দিচ্ছে। এতে ক্রেতারা ঢাকায় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রকাশকেরা জানান, কাগজ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বইয়ের বাজার। সম্প্রতি কাগজের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। আগে ৮০ গ্রামের এক রিম কাগজের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে তা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ১০০ গ্রাম অপসেট কাগজ আগে বিক্রি হতো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে তা ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ২৩-৩৬ সাইজের এক প্যাকেট আর্ট কাগজের দাম ছিল আগে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে তা ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়েছে।
বাংলাবাজারের বই-খাতা বিক্রেতা মাহমুদুর রহমান মুকুল জানান, একদিকে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি এবং কাগজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। এতে তাঁদের বিক্রি এক-চতুর্থাংশে এসে ঠেকেছে।
শব্দশিল্প প্রকাশনার মালিক শরীফুর রহমান জানান, বাজারে কাগজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। আগে একটি বই ছাপাতে যাবতীয় খরচসহ ব্যয় হতো ১০০ টাকা। সেখানে এখন দ্বিগুণের বেশি খরচ হচ্ছে। বই এখন সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে তাঁদের এলাকার স্বনামধন্য অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, বাংলাবাজারে আড়াই হাজারের মতো বই, স্টেশনারিসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একতা প্রকাশনী, গ্লাক্সি, আবদুল্লাহ অ্যান্ড সন্স, মিনার প্রকাশনী, অবিস্মরণীয় প্রকাশনী, গ্লোব প্রকাশনীর মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার সময় সিনেমা হল পর্যন্ত খোলা ছিল। অথচ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কাগজ, বই ও স্টেশনারি ব্যবসায়ীরা সে ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে কাগজ আমদানিকারকেরা দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, ‘কাগজের ব্যবসা মূলত মিলাররা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁদের উৎপাদন খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে