সাফওয়ান রহমান
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা—যারা আমরা বায়োলজি বা জীববিজ্ঞান পছন্দ করি, তাদের জন্য একটা অন্য রকম আরাধ্য বিষয়। একদিকে যেমন আরাধ্য, তেমনি আমাদের দেশের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটি এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েই আমরা প্রবেশ করি মেডিকেল জীবনে, পাঁচ বছরের পড়াশোনা আর এক বছরের ইন্টার্নশিপ। বেশ লম্বা একটা যাত্রা। মোটমাট ছয় বছর। যেকোনো সুদীর্ঘ সময়-ব্যাপ্তির মতো এ রাস্তাটাও অনেক ঘটনাবহুল ও অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ থাকে। আমাদের মধ্যে সচরাচর একটা ধারণা কাজ করে, এই মেডিকেল জীবন প্রচণ্ডভাবে চাপের এবং পড়াশোনার ধরন অনেক আলাদা।
প্রাথমিক ধারণা
কথাটাকে সর্বাংশে মিথ্যা বলা যাবে না, তবে যেকোনো কর্মপদ্ধতিতে আমরা যেমন কিছু কৌশল কিংবা নিয়মকানুন অনুসরণ করি, তদ্রূপ এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। এই কৌশলগুলো অবলম্বন করলেই মেডিকেল জীবন আর যাপিত জীবনকে অনেকখানি ভারসাম্যপূর্ণ করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়েই আমাদের শিক্ষার্থীদের বেশ ভালোভাবেই জীববিজ্ঞানের বিষয়াদি (প্রাণিবিদ্যা, অণুজীববিদ্যা, জিনতত্ত্ব, ভ্রূণবিদ্যা, প্রাণরসায়ন, অঙ্গসংস্থানবিদ্যা, কোষতত্ত্ব, পরজীবীবিজ্ঞান) নিয়ে একটা প্রাথমিক ধারণা জন্মে। এইচএসসি পর্যায়ে আমরা ফুসফুস বা হৃৎপিণ্ড নিয়ে যা পড়ি বা জানি, সেখান থেকেই মেডিকেলে প্রথম বর্ষের অ্যানাটমির আলোচনা শুরু হয়, যে অলিন্দ-নিলয় বা শিরা/ধমনি আমরা পড়ে আসি, সেটা নিয়েই আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে অ্যানাটমিতে। তাই কোনোভাবেই এটা মনে করা যাবে না যে, পড়াশোনাটা অন্য রকম বা আলাদা। প্রথম বর্ষের পড়াশোনার সঙ্গে সরাসরিই এইচএসসি পর্যায়ের পড়ার যোগসূত্র বিদ্যমান।
আবার, আমরা উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে যে স্ট্রেপটোকক্কাস ও স্ট্যাফাইলোকক্কাস নিয়ে পড়ি, সেটা দিয়েই চতুর্থ বর্ষের ব্যাকটেরিওলজির ক্লাস আরম্ভ হয়। আরও যেমন, এইচএসসিতে একজন শিক্ষার্থী ম্যালেরিয়া পরজীবী-সংক্রান্ত যেই ধারণা লাভ করে, সেটাই তাকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষে সাহায্য করবে। কাজেই বিচলিত হওয়ার সুযোগ নেই। এর পাশাপাশি, করণীয়গুলোর মধ্যে আছে-
প্রথমত, মেডিকেলে নিয়মিত 'আইটেম' হয়—এই আইটেমগুলোতে রেগুলার বা নিয়মিত থাকতে হবে। কোনোভাবেই আইটেম জমিয়ে রাখা যাবে না, পেন্ডিং থাকলে যথাসম্ভব দ্রুত তা ক্লিয়ার করতে হবে। আইটেমের পড়ার পাশাপাশি বিগত বছরের লিখিত প্রশ্নের প্যাটার্ন ও মার্কস-সংক্রান্ত ধারণা নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, টিউটোরিয়াল ক্লাসগুলোতে নিয়মিত থাকতে হবে, সঙ্গে একটি খাতা রাখা আবশ্যক—যেখানে ক্লাসে কী কী এক্সট্রা পড়ানো হচ্ছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। সঙ্গে টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষকরাই বলে দেন, ভাইভাতে কোন প্রশ্নের উত্তর কীভাবে প্রদান করতে হবে, এই কৌশল আর উত্তরগুলো খাতা কিংবা বইয়ে নোট আকারে রেখে দিতে হবে।
তৃতীয়ত, যেহেতু এখানে পড়ার ভাষাটা ইংরেজি, তাই প্রথম বর্ষ থেকেই ইংরেজি বলা ও লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে ভাইভা দেওয়ার একটা নিজস্ব স্টাইল থাকাটা আবশ্যক। যেকোনো জটিল মেডিকেল টার্ম বারবার লিখে বানান আত্মস্থ করতে হবে, একই সঙ্গে তা মুখে বলার অভ্যাস করতে হবে। যেকোনো টপিক এক বই থেকে মূল আকারে পড়ে পরবর্তী সময়ে অন্য বই থেকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
চতুর্থত, প্র্যাকটিকাল ক্লাসগুলোতে দেখানো টপিকগুলো ক্লাসের পরপরই কিংবা সেদিনের মধ্যে গুছিয়ে ফেলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে চূড়ান্ত পরীক্ষার অনেক কাজ আগানো থাকে। প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা থাকলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে পড়া গোছানোতে সময় ব্যয় কম হয়!
পঞ্চমত, লেকচার ক্লাসগুলোতে শিক্ষকেরা পুরোটা অধ্যায় থেকে কোন কোন বিশেষ বিষয়ের ওপর ফোকাস করেন সেটি মনোযোগ সহকারে লক্ষ রাখতে হবে। মেডিকেলে, প্রথম বর্ষ থেকেই আমাদেরকে ‘OSPE’ পরীক্ষা দিতে হয়, যেখানে ১০-১২টি এক্সাম স্টেশনে রাখা, প্রশ্ন-চিরকুট দেখে দুই-তিন মিনিটে চিরকুটে বা কাগজে বিদ্যমান প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে খাতায় দ্রুত লিখতে হয়। এমন পরীক্ষা-ধরন আমাদের জন্য অপেক্ষাকৃত নতুন। তাই, তাড়াতাড়ি এতে অভ্যস্ত হতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের উচিত, বর্তমানে বিদ্যমান সব রকমের শিক্ষা-উপকরণের সর্বোচ্চ ব্যবহার। যেমন, পড়ার কোনো বিষয় অধিকতর কঠিন হলে, চাইলেই ইউটিউব থেকে একটা লেকচার বা ভিডিওগ্রাফি দেখে ফেলা যায়।
ষষ্ঠত, দিনে ন্যূনতম দুই ঘণ্টা পড়লেও মেডিকেলে নিয়মিত পারফরম্যান্স ধরে রাখা যায়। তাই, একঘেয়েমিটা পাশ কাটিয়ে নিয়মিত থাকার ওপরই ফোকাস রাখাটা জরুরি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটা মেডিকেলেই পড়ার পাশাপাশি বেশ কিছু ক্লাব, সংগঠন আছে; আরও থাকে ব্যাচ ডে, মেডিকেল ডে ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, ফুটবল/ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মতো আয়োজনসমূহ। এগুলো পড়াশোনার একঘেয়েমি ভাব দূর করতে অনেক কাজ করে। একই সঙ্গে রয়েছে তৃতীয় বর্ষের ব্যাচ ট্যুর ও ডে-ভিজিট। এখানে মুখ্য হলো, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগুলোতে অংশ নিতে হবে, আয়োজকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। এভাবে নিজের জন্য পড়ার পাশাপাশি আনন্দ ও বিনোদনের খোরাক জোগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমদর্শী বন্ধু দলও অনেক বেশি সহায়ক।
পরিশেষে, নিজের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক খেয়াল রাখাও অতীব জরুরি। তবেই একটা অনবদ্য মেডিকেল জীবন পাওয়া সম্ভব। সব নবীন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সুন্দর, সাবলীল ও সাফল্যমণ্ডিত, আনন্দময় মেডিকেল জীবন প্রত্যাশা করছি।
লেখক: মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা, প্রথম স্থান, দ্বিতীয় প্রফেশনাল এমবিবিএস পরীক্ষা, সেশন: ২০১৮-২০১৯
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা—যারা আমরা বায়োলজি বা জীববিজ্ঞান পছন্দ করি, তাদের জন্য একটা অন্য রকম আরাধ্য বিষয়। একদিকে যেমন আরাধ্য, তেমনি আমাদের দেশের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটি এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েই আমরা প্রবেশ করি মেডিকেল জীবনে, পাঁচ বছরের পড়াশোনা আর এক বছরের ইন্টার্নশিপ। বেশ লম্বা একটা যাত্রা। মোটমাট ছয় বছর। যেকোনো সুদীর্ঘ সময়-ব্যাপ্তির মতো এ রাস্তাটাও অনেক ঘটনাবহুল ও অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ থাকে। আমাদের মধ্যে সচরাচর একটা ধারণা কাজ করে, এই মেডিকেল জীবন প্রচণ্ডভাবে চাপের এবং পড়াশোনার ধরন অনেক আলাদা।
প্রাথমিক ধারণা
কথাটাকে সর্বাংশে মিথ্যা বলা যাবে না, তবে যেকোনো কর্মপদ্ধতিতে আমরা যেমন কিছু কৌশল কিংবা নিয়মকানুন অনুসরণ করি, তদ্রূপ এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। এই কৌশলগুলো অবলম্বন করলেই মেডিকেল জীবন আর যাপিত জীবনকে অনেকখানি ভারসাম্যপূর্ণ করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়েই আমাদের শিক্ষার্থীদের বেশ ভালোভাবেই জীববিজ্ঞানের বিষয়াদি (প্রাণিবিদ্যা, অণুজীববিদ্যা, জিনতত্ত্ব, ভ্রূণবিদ্যা, প্রাণরসায়ন, অঙ্গসংস্থানবিদ্যা, কোষতত্ত্ব, পরজীবীবিজ্ঞান) নিয়ে একটা প্রাথমিক ধারণা জন্মে। এইচএসসি পর্যায়ে আমরা ফুসফুস বা হৃৎপিণ্ড নিয়ে যা পড়ি বা জানি, সেখান থেকেই মেডিকেলে প্রথম বর্ষের অ্যানাটমির আলোচনা শুরু হয়, যে অলিন্দ-নিলয় বা শিরা/ধমনি আমরা পড়ে আসি, সেটা নিয়েই আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে অ্যানাটমিতে। তাই কোনোভাবেই এটা মনে করা যাবে না যে, পড়াশোনাটা অন্য রকম বা আলাদা। প্রথম বর্ষের পড়াশোনার সঙ্গে সরাসরিই এইচএসসি পর্যায়ের পড়ার যোগসূত্র বিদ্যমান।
আবার, আমরা উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে যে স্ট্রেপটোকক্কাস ও স্ট্যাফাইলোকক্কাস নিয়ে পড়ি, সেটা দিয়েই চতুর্থ বর্ষের ব্যাকটেরিওলজির ক্লাস আরম্ভ হয়। আরও যেমন, এইচএসসিতে একজন শিক্ষার্থী ম্যালেরিয়া পরজীবী-সংক্রান্ত যেই ধারণা লাভ করে, সেটাই তাকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষে সাহায্য করবে। কাজেই বিচলিত হওয়ার সুযোগ নেই। এর পাশাপাশি, করণীয়গুলোর মধ্যে আছে-
প্রথমত, মেডিকেলে নিয়মিত 'আইটেম' হয়—এই আইটেমগুলোতে রেগুলার বা নিয়মিত থাকতে হবে। কোনোভাবেই আইটেম জমিয়ে রাখা যাবে না, পেন্ডিং থাকলে যথাসম্ভব দ্রুত তা ক্লিয়ার করতে হবে। আইটেমের পড়ার পাশাপাশি বিগত বছরের লিখিত প্রশ্নের প্যাটার্ন ও মার্কস-সংক্রান্ত ধারণা নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, টিউটোরিয়াল ক্লাসগুলোতে নিয়মিত থাকতে হবে, সঙ্গে একটি খাতা রাখা আবশ্যক—যেখানে ক্লাসে কী কী এক্সট্রা পড়ানো হচ্ছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। সঙ্গে টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষকরাই বলে দেন, ভাইভাতে কোন প্রশ্নের উত্তর কীভাবে প্রদান করতে হবে, এই কৌশল আর উত্তরগুলো খাতা কিংবা বইয়ে নোট আকারে রেখে দিতে হবে।
তৃতীয়ত, যেহেতু এখানে পড়ার ভাষাটা ইংরেজি, তাই প্রথম বর্ষ থেকেই ইংরেজি বলা ও লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে ভাইভা দেওয়ার একটা নিজস্ব স্টাইল থাকাটা আবশ্যক। যেকোনো জটিল মেডিকেল টার্ম বারবার লিখে বানান আত্মস্থ করতে হবে, একই সঙ্গে তা মুখে বলার অভ্যাস করতে হবে। যেকোনো টপিক এক বই থেকে মূল আকারে পড়ে পরবর্তী সময়ে অন্য বই থেকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
চতুর্থত, প্র্যাকটিকাল ক্লাসগুলোতে দেখানো টপিকগুলো ক্লাসের পরপরই কিংবা সেদিনের মধ্যে গুছিয়ে ফেলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে চূড়ান্ত পরীক্ষার অনেক কাজ আগানো থাকে। প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা থাকলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে পড়া গোছানোতে সময় ব্যয় কম হয়!
পঞ্চমত, লেকচার ক্লাসগুলোতে শিক্ষকেরা পুরোটা অধ্যায় থেকে কোন কোন বিশেষ বিষয়ের ওপর ফোকাস করেন সেটি মনোযোগ সহকারে লক্ষ রাখতে হবে। মেডিকেলে, প্রথম বর্ষ থেকেই আমাদেরকে ‘OSPE’ পরীক্ষা দিতে হয়, যেখানে ১০-১২টি এক্সাম স্টেশনে রাখা, প্রশ্ন-চিরকুট দেখে দুই-তিন মিনিটে চিরকুটে বা কাগজে বিদ্যমান প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে খাতায় দ্রুত লিখতে হয়। এমন পরীক্ষা-ধরন আমাদের জন্য অপেক্ষাকৃত নতুন। তাই, তাড়াতাড়ি এতে অভ্যস্ত হতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের উচিত, বর্তমানে বিদ্যমান সব রকমের শিক্ষা-উপকরণের সর্বোচ্চ ব্যবহার। যেমন, পড়ার কোনো বিষয় অধিকতর কঠিন হলে, চাইলেই ইউটিউব থেকে একটা লেকচার বা ভিডিওগ্রাফি দেখে ফেলা যায়।
ষষ্ঠত, দিনে ন্যূনতম দুই ঘণ্টা পড়লেও মেডিকেলে নিয়মিত পারফরম্যান্স ধরে রাখা যায়। তাই, একঘেয়েমিটা পাশ কাটিয়ে নিয়মিত থাকার ওপরই ফোকাস রাখাটা জরুরি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটা মেডিকেলেই পড়ার পাশাপাশি বেশ কিছু ক্লাব, সংগঠন আছে; আরও থাকে ব্যাচ ডে, মেডিকেল ডে ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, ফুটবল/ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মতো আয়োজনসমূহ। এগুলো পড়াশোনার একঘেয়েমি ভাব দূর করতে অনেক কাজ করে। একই সঙ্গে রয়েছে তৃতীয় বর্ষের ব্যাচ ট্যুর ও ডে-ভিজিট। এখানে মুখ্য হলো, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগুলোতে অংশ নিতে হবে, আয়োজকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। এভাবে নিজের জন্য পড়ার পাশাপাশি আনন্দ ও বিনোদনের খোরাক জোগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমদর্শী বন্ধু দলও অনেক বেশি সহায়ক।
পরিশেষে, নিজের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক খেয়াল রাখাও অতীব জরুরি। তবেই একটা অনবদ্য মেডিকেল জীবন পাওয়া সম্ভব। সব নবীন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সুন্দর, সাবলীল ও সাফল্যমণ্ডিত, আনন্দময় মেডিকেল জীবন প্রত্যাশা করছি।
লেখক: মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা, প্রথম স্থান, দ্বিতীয় প্রফেশনাল এমবিবিএস পরীক্ষা, সেশন: ২০১৮-২০১৯
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে