তাসলিহা মওলা
স্থাপত্য বিষয়টির একদিকে রয়েছে সম্পূর্ণ কারিগরি, অন্যদিকে শিল্প ও দর্শন। এ দুইয়ের সঙ্গে আবার মিশে যায় পরিবেশ, প্রকৃতি, সামাজিক কাঠামো এবং ইতিহাস। স্থাপত্য একটি বহুমুখী শিক্ষা, সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও বটে। এটি একই সঙ্গে সৃষ্টিশীল ও কারিগরি পেশা। ভিন্নধর্মী প্রেক্ষাপটের জন্য এ পেশাসংশ্লিষ্টদের পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিজীবনের সংগ্রামও কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। আর যদি স্থপতি হয়ে থাকেন নারী, তবে তো কথাই নেই।
নারী স্থপতিরা
স্থাপত্যে নারীর অংশগ্রহণ নতুন কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে সেখানকার শিক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ দেখা যায়—যদিও সংখ্যার বিচারে পুরুষের তুলনায় তা ছিল নগণ্য। এই অল্পসংখ্যক নারী স্থপতির অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে নাজমা আনোয়ারের নাম আসে প্রথমে। তিনি তাঁর বহু সাক্ষাৎকার ও লেখায় স্থাপত্য পেশার প্রতি তাঁর ভালোবাসা, নিষ্ঠা ও অনুরক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে, সে পরিচয়েই কর্মজীবন অতিবাহিত করার জন্য তিনি পেয়েছেন পরিবার ও আশপাশের মানুষের প্রচুর সহযোগিতা। নিরঙ্কুশ এ সহযোগিতার জন্যই হয়তোবা লিঙ্গবৈষম্যের মতো বিষয়টি তাঁর পেশাজীবনে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা স্মরণ করতে পারি প্রয়াত স্থপতি খালেদা একরামের কথা। মৃত্যুর আগপর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। এমনকি উপাচার্যের আসনটিও অলংকৃত করেছেন। বুয়েটের অন্যতম সফল উপাচার্য হিসেবে স্থপতি খালেদা একরামের নাম অবশ্যই আসবে।
বাংলাদেশের স্থাপত্য অঙ্গনে সরব পদচারণের জন্য স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। এরই মাঝে তিনি স্থাপত্যের অন্যতম সম্মানজনক স্বীকৃতি ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’সহ আরও বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের তালিকায় নিজের আসনটি পোক্ত করে নিয়েছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর এ সুখ্যাতি অনুজ নারী স্থপতিদের জন্য বিশাল এক অনুপ্রেরণা হিসেব কাজ করে।
প্রথম থেকে অর্থাৎ সেই ষাটের দশক থেকে স্থাপত্য পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। যদিও প্রথম দিকে মাত্র দু-তিনজন করে ভর্তি হয়েছিলেন। কালের পরিক্রমায় তা ১০ শতাংশ থেকে আজ ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে হ্যাঁ, স্থাপত্য বিষয়ে পড়াশোনায় নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও, এ পেশায় টিকে থাকতে হলে ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত নানান প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে যেতে হচ্ছে প্রায় প্রতিটি নারী স্থপতিকে। যদিও ছাত্রাবস্থায় তাঁদের এসব প্রতিবন্ধকতায় কমই পড়তে হয়েছে।
সমস্যা ও সংকট
স্থাপত্যবিদ্যায় অধ্যয়নরত প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকেই ডিজাইনের কাজে স্টুডিওতে অনেকটা সময় দিতে হয়। অনেক সময় রাতদিন এক করেই স্টুডিওতে সময় দিতে হয়। কিন্তু কর্মজীবনে গিয়ে দেখা যায় একটা বিশাল ফারাক। প্রথমত, ভবনের নকশার পাশাপাশি একজন স্থপতিকে নির্মাণকাজ তদারকিতেও প্রচুর সময় দিতে হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কর্মঘণ্টার বাইরে গিয়ে। আর ছাত্রাবস্থা অবসানের সঙ্গে সঙ্গে জীবনে দায়িত্বও বাড়তে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে সমানতালে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায়।
ভবন নকশা ও এর আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ কাজ। দেখা যাচ্ছে একজন পুরুষ তাঁর কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময় কাজের পেছনে দিতে পারলেও নারী স্থপতিকে অনেকটাই হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। উপরন্তু, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রে সাইট দেখভাল ও তদারকিতে নিরাপত্তার বিষয়টিও এসে দাঁড়ায়।
নারী স্থপতিদের জন্য সংসার শুরুর পরের সময়টা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। আর যখন সন্তানের দায়িত্বটাও সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন অনেক নারীকেই দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়। হয়তো তিনি ভালো মানের একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ ভালো বেতনের একটি চাকরি করছিলেন, সন্তানের জন্য বাধ্য হয়ে তাঁকে চাকরিটা ছেড়ে দিতে হয়। ফলে দেখা যায় সতীর্থ পুরুষ স্থপতিদের তুলনায় তাঁরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েন। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের শিকারও হতে হয় অনেক প্রতিষ্ঠানে।
এ পেশার সুবিধা
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থপতিদের একটি বড় সুবিধা হলো, নিজের মতো করে কাজ করতে পারা। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কোনো একটি প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে, একেবারে শুরু থেকে নির্মাণ শেষ করা পর্যন্ত কাজ করে যাওয়াটাও নারী স্থপতিদের জন্য সুবিধাজনক একটি কাজ। এভাবে অনেক নারী স্থপতিই এ পেশায় যুক্ত থাকছেন। অনেকেরই নিজের প্রতিষ্ঠান আছে। একটি মোটামুটি চলনসই জায়গা ভাড়া নিয়ে অথবা নিজের বাড়িরই এক কোণে একটি অফিস গুছিয়ে বসাটাও স্থাপত্যচর্চায় খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এভাবেও অনেক নারী স্থপতি স্থাপত্য পেশায় নিজেকে যুক্ত রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকে আবার শিক্ষকতা ও গবেষণার কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। স্থাপত্য সম্পর্কিত গবেষণা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এর গুরুত্বও অন্যান্য গবেষণার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। অনেকে আবার বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
স্থাপত্য বহুমাত্রিক একটি বিষয়। তাই পেশাগত জীবনে চর্চার ক্ষেত্রেও এখানে বিভিন্ন মাত্রা দেখা যায়। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে পেশায় নিয়মমাফিক যুক্ত থাকতে না পারলেও কোনো না কোনোভাবে বেশির ভাগ নারী স্থপতি স্থাপত্যচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থাপত্যবিদ্যায় নারীদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পাক, এমনটাই সবার আশা।
লেখক: তাসলিহা মওলাম, স্থপতি ও নগরবিদ
স্থাপত্য বিষয়টির একদিকে রয়েছে সম্পূর্ণ কারিগরি, অন্যদিকে শিল্প ও দর্শন। এ দুইয়ের সঙ্গে আবার মিশে যায় পরিবেশ, প্রকৃতি, সামাজিক কাঠামো এবং ইতিহাস। স্থাপত্য একটি বহুমুখী শিক্ষা, সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও বটে। এটি একই সঙ্গে সৃষ্টিশীল ও কারিগরি পেশা। ভিন্নধর্মী প্রেক্ষাপটের জন্য এ পেশাসংশ্লিষ্টদের পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিজীবনের সংগ্রামও কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। আর যদি স্থপতি হয়ে থাকেন নারী, তবে তো কথাই নেই।
নারী স্থপতিরা
স্থাপত্যে নারীর অংশগ্রহণ নতুন কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে সেখানকার শিক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ দেখা যায়—যদিও সংখ্যার বিচারে পুরুষের তুলনায় তা ছিল নগণ্য। এই অল্পসংখ্যক নারী স্থপতির অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে নাজমা আনোয়ারের নাম আসে প্রথমে। তিনি তাঁর বহু সাক্ষাৎকার ও লেখায় স্থাপত্য পেশার প্রতি তাঁর ভালোবাসা, নিষ্ঠা ও অনুরক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে, সে পরিচয়েই কর্মজীবন অতিবাহিত করার জন্য তিনি পেয়েছেন পরিবার ও আশপাশের মানুষের প্রচুর সহযোগিতা। নিরঙ্কুশ এ সহযোগিতার জন্যই হয়তোবা লিঙ্গবৈষম্যের মতো বিষয়টি তাঁর পেশাজীবনে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা স্মরণ করতে পারি প্রয়াত স্থপতি খালেদা একরামের কথা। মৃত্যুর আগপর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। এমনকি উপাচার্যের আসনটিও অলংকৃত করেছেন। বুয়েটের অন্যতম সফল উপাচার্য হিসেবে স্থপতি খালেদা একরামের নাম অবশ্যই আসবে।
বাংলাদেশের স্থাপত্য অঙ্গনে সরব পদচারণের জন্য স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। এরই মাঝে তিনি স্থাপত্যের অন্যতম সম্মানজনক স্বীকৃতি ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’সহ আরও বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের তালিকায় নিজের আসনটি পোক্ত করে নিয়েছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর এ সুখ্যাতি অনুজ নারী স্থপতিদের জন্য বিশাল এক অনুপ্রেরণা হিসেব কাজ করে।
প্রথম থেকে অর্থাৎ সেই ষাটের দশক থেকে স্থাপত্য পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। যদিও প্রথম দিকে মাত্র দু-তিনজন করে ভর্তি হয়েছিলেন। কালের পরিক্রমায় তা ১০ শতাংশ থেকে আজ ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে হ্যাঁ, স্থাপত্য বিষয়ে পড়াশোনায় নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও, এ পেশায় টিকে থাকতে হলে ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত নানান প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে যেতে হচ্ছে প্রায় প্রতিটি নারী স্থপতিকে। যদিও ছাত্রাবস্থায় তাঁদের এসব প্রতিবন্ধকতায় কমই পড়তে হয়েছে।
সমস্যা ও সংকট
স্থাপত্যবিদ্যায় অধ্যয়নরত প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকেই ডিজাইনের কাজে স্টুডিওতে অনেকটা সময় দিতে হয়। অনেক সময় রাতদিন এক করেই স্টুডিওতে সময় দিতে হয়। কিন্তু কর্মজীবনে গিয়ে দেখা যায় একটা বিশাল ফারাক। প্রথমত, ভবনের নকশার পাশাপাশি একজন স্থপতিকে নির্মাণকাজ তদারকিতেও প্রচুর সময় দিতে হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কর্মঘণ্টার বাইরে গিয়ে। আর ছাত্রাবস্থা অবসানের সঙ্গে সঙ্গে জীবনে দায়িত্বও বাড়তে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে সমানতালে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায়।
ভবন নকশা ও এর আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ কাজ। দেখা যাচ্ছে একজন পুরুষ তাঁর কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময় কাজের পেছনে দিতে পারলেও নারী স্থপতিকে অনেকটাই হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। উপরন্তু, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রে সাইট দেখভাল ও তদারকিতে নিরাপত্তার বিষয়টিও এসে দাঁড়ায়।
নারী স্থপতিদের জন্য সংসার শুরুর পরের সময়টা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। আর যখন সন্তানের দায়িত্বটাও সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন অনেক নারীকেই দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়। হয়তো তিনি ভালো মানের একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ ভালো বেতনের একটি চাকরি করছিলেন, সন্তানের জন্য বাধ্য হয়ে তাঁকে চাকরিটা ছেড়ে দিতে হয়। ফলে দেখা যায় সতীর্থ পুরুষ স্থপতিদের তুলনায় তাঁরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েন। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের শিকারও হতে হয় অনেক প্রতিষ্ঠানে।
এ পেশার সুবিধা
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থপতিদের একটি বড় সুবিধা হলো, নিজের মতো করে কাজ করতে পারা। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কোনো একটি প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে, একেবারে শুরু থেকে নির্মাণ শেষ করা পর্যন্ত কাজ করে যাওয়াটাও নারী স্থপতিদের জন্য সুবিধাজনক একটি কাজ। এভাবে অনেক নারী স্থপতিই এ পেশায় যুক্ত থাকছেন। অনেকেরই নিজের প্রতিষ্ঠান আছে। একটি মোটামুটি চলনসই জায়গা ভাড়া নিয়ে অথবা নিজের বাড়িরই এক কোণে একটি অফিস গুছিয়ে বসাটাও স্থাপত্যচর্চায় খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এভাবেও অনেক নারী স্থপতি স্থাপত্য পেশায় নিজেকে যুক্ত রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকে আবার শিক্ষকতা ও গবেষণার কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। স্থাপত্য সম্পর্কিত গবেষণা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এর গুরুত্বও অন্যান্য গবেষণার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। অনেকে আবার বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
স্থাপত্য বহুমাত্রিক একটি বিষয়। তাই পেশাগত জীবনে চর্চার ক্ষেত্রেও এখানে বিভিন্ন মাত্রা দেখা যায়। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে পেশায় নিয়মমাফিক যুক্ত থাকতে না পারলেও কোনো না কোনোভাবে বেশির ভাগ নারী স্থপতি স্থাপত্যচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থাপত্যবিদ্যায় নারীদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পাক, এমনটাই সবার আশা।
লেখক: তাসলিহা মওলাম, স্থপতি ও নগরবিদ
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে