কয়েক দিন আগে সিলেটে গিয়েছিলাম চা-শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামসংক্রান্ত একটি কনভেনশনে যোগ দিতে। সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ উপত্যকার বিভিন্ন বাগান থেকে চা-শ্রমিকেরা এসেছেন। তাঁদের মধ্য থেকে দু-একজন করে বক্তব্য দিচ্ছেন, দাবির কথা বলছেন।
লেখালেখি করতে পছন্দ করতেন রাজিয়া খান। লেখালেখির পাশাপাশি মঞ্চ অভিনয়ে একসময় তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। শিক্ষাজীবনে এমএ পরীক্ষায় প্রথম হন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন।
আর দশজনের মতো মেধাবী শিক্ষার্থী তৃষ্ণার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে একদিন বড় হবে। পরিবারের দুঃখ ঘোচাবে। কিন্তু এতে বাদ সাধে দারিদ্র্য। পিতা তুলসী রাজবংশী ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির সহকারী। পরিবারের পাঁচ সদস্যের ঠিকমতো খাওয়ার জোগান দেওয়াতেই তাঁর হিমশিম অবস্থা। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পড়ালেখায় থেমে যেতে হয় তৃষ্ণাকে।
হলুদ ওড়না আর হলুদ-সাদা স্ট্রাইপের কামিজ পরা আরিফা খাতুনকে দেখে ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক বলে ভ্রম হয়। কিন্তু তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে দেওয়া যায়, ফুটবল বিষয়ে তাঁর আগ্রহ শূন্যের কোঠায়।
হয়তোবা কখনো আমাদের মনে হতেই পারে যে চারপাশে যা হচ্ছে বা ঘটছে, তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছি না। হয়তোবা যাপিত জীবনে কারও কাজে আসছি না। হয়তোবা নিজের গুণ যা আছে, তা দিয়ে কাউকে খুশি করা যাচ্ছে না। হয়তোবা আমাদের যা করার ইচ্ছে জাগে, তার কোনোটাই সঠিক পথ খুঁজে পায় না। হয়তোবা আমরা কোনো কাজেই আসছি না—এমন সময় সব
আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমাদের ইতিহাসে বেদনাময় একটি দিন। দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রাক্কালে জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ বা ১৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। চোখ, হাত বেঁধে ধরে নিয়ে
কামরাঙ্গীরচরে অটোরিকশার লাইনে আপনার হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে ফিরোজা বেগমের সঙ্গে। তাঁর চোখের দিকে তাকালে প্রগাঢ় বিস্ময় কিংবা বিমূঢ়তা নয়, আত্মবিশ্বাস দেখতে পাবেন।
তেরো বছর বয়সে বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি থেকে লেখাপড়া বন্ধের দাবি। কথা ছিল, রেবা রায় হারিয়ে যাবেন আর দশজন মেয়ের মতো। কিন্তু রেবা ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। জীবন সাজিয়েছেন নিজের মতো করে।
আমি স্নাতকে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী। অথচ আমার সেই প্রাণোচ্ছল বিষয়টা এখন আর নেই। ক্লাসের সবার সঙ্গে মন খুলে মিশতে পারি না। এমনটা নয় যে মিশতে চাই না। সবার সঙ্গে কথা বলি অথচ কোথাও একটা দূরত্ব থেকে যায়। সবাই যখন আনন্দে মেতে থাকে, তখন আমার ভেতরে সংকোচ তৈরি হয়। আমার আশপাশের অনেকেই কারও না কারও প্রিয় ব
আমরা যারা ১৯৬৪-৬৫ সালে ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ছিলাম, তারা পরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। ’৫২, ’৬২, ’৭৯- এর আন্দোলনের ধারাবাহিকতার ফসল মুক্তিযুদ্ধ। পারিবারিক কারণে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা তৈরি হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ কেউ বন্দুক দিয়ে করেছেন, কেউ আহত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করে করেছেন, কেউ চিঠিপত্র সর
যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল মৃত্যুর সঙ্গে আলিঙ্গন করার মতো অবস্থা। সে সময় বেঁচে থাকাটা ছিল পরম সৌভাগ্যের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কাগজপত্র আসত। আমি সেগুলি সাইক্লোস্টাইল করতাম। আমি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে পদার্থবিজ্ঞানের রুমে বসে এ কাজ করতাম।
কিছুদিন আগে নেটফ্লিক্সে ‘এনোলা হোমস’ নামে একটি সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পেয়েছে। না, সিনেমা নিয়ে কথা হবে না এখানে। তবে সিনেমার অন্যতম চরিত্র সারা চ্যাপম্যানকে নিয়ে কথা বলা যায়। তিনি অবশ্য শুধু এই সিনেমার চরিত্র নন, ইতিহাস রচনাকারী একজন নারীও বটে। হ্যাঁ, সত্যিকারের মানুষ ছিলেন তিনি। যিনি কর্মক্ষে
প্রশ্ন: আমি ঢাকার বাইরের এক শহরে বড় একটি প্রকল্পে চাকরি করতাম। সেখানে আমার বন্ধুবৃত্তের একজন চাকরি করতেন। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকায় তাঁকে আমার পরিচিত চারজন মানুষের চাকরির জন্য দুই লাখ টাকা দিই। টাকা দেওয়ার সময় কোনো ধরনের প্রমাণ রাখা হয়নি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী সবকিছু জানতেন। এখন আমার চাকরি নে
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর। ছুটে আসছে ট্রেন। বাড়ির পাশে রেললাইনের ওপর বসে খেলা করছে তিন শিশু—বারো বছরের রিমা আক্তার, আট বছরের লিমা আক্তার ও তিন বছরের মমিনুর ইসলাম। খুলনাগামী রকেট এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি কাছাকাছি এলেও শিশুরা রেললাইনের ওপর খেলছিল।
সম্প্রতি আমার মিসক্যারেজ হয়েছে। এর পর থেকে আমাকে উদ্দেশ করে নেতিবাচক কথা যা বলা হচ্ছে, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সব সত্যি। মিসক্যারেজের সপ্তাহখানেক পর আমার স্বামী আমাকে বলেছেন, আমি অলক্ষ্মী। এ কথা আমার মাথা
তাঁদের কেউ কেউ প্রতিদিন ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করেন। একই সঙ্গে সামলান পরিবার আর কর্মক্ষেত্র। সমান তালে সাজিয়ে তোলেন সহকর্মীদের স্বপ্নসৌধ। আপনার চারদিক যখন হতাশা আর ‘নেই নেই’ চিৎকারে ভরে আছে, তখন তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন সফল হওয়ার। যখন আপনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপক ‘ফানে’ মজে আওড়ে চলেছেন গালগল্প, তখন
পাঁচ বছর পর চ্যানেল আইয়ের পর্দায় আবারও ফিরছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো সেরাকণ্ঠ। ২০১৭ সালে হয়েছিল এ আয়োজনের সর্বশেষ আসর। সেরাকণ্ঠের এবারের সপ্তম আসরে বিচারক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বাংলা গানের তিন খ্যাতিমান মুখ রুনা লায়লা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সামিনা চৌধুরী। আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরাকণ