সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গ্রহণ করা ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ‘আলোর’ প্রকল্পটি শেষতক ‘অন্ধকারেই’ ডোবালেন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিজেই। বন্দরনগরীকে আলোকিত করতে ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ শীর্ষক প্রকল্পটি চার বছর আগে গ্রহণ করা হয়েছিল। বাস্তবায়নকাল ছিল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। পরে সময় বাড়িয়ে করা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর কেটে গেছে আরও এক বছর। চার বছর হয়ে গেলেও বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তরফে কাজ শুরু দূরে থাক, আজ অবধি ঠিকাদারও নিয়োগ করতে পারেনি।
সর্বশেষ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট থেকে দেওয়া এক মতামতে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে খোদ প্রকল্প পরিচালকেরই কোনো জ্ঞান নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন গত ১২ জুন মতামত সংক্রান্ত এই চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগকে। এই অবস্থায় প্রকল্প পরিচালকের কারণে চট্টগ্রাম নগরীতে আলোকায়নের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন মুখ থুবড়ে পড়ল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেনের কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আলোকায়নসংক্রান্ত একটি প্রকল্পের বিষয়ে মতামত দিয়েছি।’
আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, চট্টগ্রাম নগরী আলোকিত করার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন যদি পিডির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়কবাতির আলোয় নগরীকে আলোকিত করার অংশ হিসেবে চসিক এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কজুড়ে এলইডি লাইট লাগানোর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত সরকার ঋণ দিচ্ছে ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে দেওয়া হচ্ছে ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে প্রায় অর্ধেকে। এ ছাড়া বাতি নিয়ন্ত্রণের ৫০০ সুইচের বদলে হবে মাত্র চারটি কেন্দ্রীয় সার্ভার স্টেশন এবং সাশ্রয় হবে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা।
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ১ হাজার ৪৩ কিলোমিটার সড়কে বাতি রয়েছে। এর মধ্যে সোডিয়াম বাতি রয়েছে ৮৯০ কিলোমিটার এবং এলইডি বাতি রয়েছে ১৫৩ কিলোমিটার। ‘আলোর’ প্রকল্পের আওতায় ৪৬৭ কিলোমিটার সড়কে সোডিয়াম বাতির বদলে এলইডি বাতি বসানোর কথা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, শুরু থেকে একনেক অনুমোদিত প্রকল্পের ডিপিপি পরিবর্তন, চারটি প্যাকেজকে এক প্যাকেজে যুক্ত করে দরপত্র আহ্বান ও পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা) লঙ্ঘনের মতো অসংগতি ও অনিয়মের কারণে প্রকল্প পরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। কিন্তু বিষয়গুলো আর সুরাহা হয়নি। গত বছরের ২৮ মার্চ এলজিইডির পিপিআর বিশেষজ্ঞ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানির মতামতের ভিত্তিতে পুনঃ দরপত্র আহ্বানের সুপারিশও বাস্তবায়িত হয়নি।
এই অবস্থায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির রেজল্যুশন ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে প্রকল্পের আর্থিক প্রস্তাব খোলার অনুমতি চান প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ১৭ মে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে প্রকল্পের দরপত্রের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিদ্যমান পিপিআর অনুযায়ী হয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর গত ১২ জুন সিপিটিইউর পক্ষ থেকে জানানো হলো, ‘প্রকল্প পরিচালক বিদ্যমান সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালা বিষয়ে অবগত নন’।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি। পেলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ চার বছরেও প্রকল্পের কাজ শুরু না করার বিষয়ে তিনি নানা জটিলতা ছিল বলেও জানান।
সিটি করপোরেশনে প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি প্রকল্প পরিচালকের বিষয়ে সিপিটিইউর মতামতের বিষয় সম্পর্কে জানেন না বলে জানান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গ্রহণ করা ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ‘আলোর’ প্রকল্পটি শেষতক ‘অন্ধকারেই’ ডোবালেন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিজেই। বন্দরনগরীকে আলোকিত করতে ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ শীর্ষক প্রকল্পটি চার বছর আগে গ্রহণ করা হয়েছিল। বাস্তবায়নকাল ছিল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। পরে সময় বাড়িয়ে করা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর কেটে গেছে আরও এক বছর। চার বছর হয়ে গেলেও বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তরফে কাজ শুরু দূরে থাক, আজ অবধি ঠিকাদারও নিয়োগ করতে পারেনি।
সর্বশেষ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট থেকে দেওয়া এক মতামতে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে খোদ প্রকল্প পরিচালকেরই কোনো জ্ঞান নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন গত ১২ জুন মতামত সংক্রান্ত এই চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগকে। এই অবস্থায় প্রকল্প পরিচালকের কারণে চট্টগ্রাম নগরীতে আলোকায়নের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন মুখ থুবড়ে পড়ল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেনের কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আলোকায়নসংক্রান্ত একটি প্রকল্পের বিষয়ে মতামত দিয়েছি।’
আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, চট্টগ্রাম নগরী আলোকিত করার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন যদি পিডির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়কবাতির আলোয় নগরীকে আলোকিত করার অংশ হিসেবে চসিক এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কজুড়ে এলইডি লাইট লাগানোর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত সরকার ঋণ দিচ্ছে ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে দেওয়া হচ্ছে ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে প্রায় অর্ধেকে। এ ছাড়া বাতি নিয়ন্ত্রণের ৫০০ সুইচের বদলে হবে মাত্র চারটি কেন্দ্রীয় সার্ভার স্টেশন এবং সাশ্রয় হবে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা।
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ১ হাজার ৪৩ কিলোমিটার সড়কে বাতি রয়েছে। এর মধ্যে সোডিয়াম বাতি রয়েছে ৮৯০ কিলোমিটার এবং এলইডি বাতি রয়েছে ১৫৩ কিলোমিটার। ‘আলোর’ প্রকল্পের আওতায় ৪৬৭ কিলোমিটার সড়কে সোডিয়াম বাতির বদলে এলইডি বাতি বসানোর কথা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, শুরু থেকে একনেক অনুমোদিত প্রকল্পের ডিপিপি পরিবর্তন, চারটি প্যাকেজকে এক প্যাকেজে যুক্ত করে দরপত্র আহ্বান ও পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা) লঙ্ঘনের মতো অসংগতি ও অনিয়মের কারণে প্রকল্প পরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। কিন্তু বিষয়গুলো আর সুরাহা হয়নি। গত বছরের ২৮ মার্চ এলজিইডির পিপিআর বিশেষজ্ঞ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানির মতামতের ভিত্তিতে পুনঃ দরপত্র আহ্বানের সুপারিশও বাস্তবায়িত হয়নি।
এই অবস্থায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির রেজল্যুশন ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে প্রকল্পের আর্থিক প্রস্তাব খোলার অনুমতি চান প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ১৭ মে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে প্রকল্পের দরপত্রের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিদ্যমান পিপিআর অনুযায়ী হয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর গত ১২ জুন সিপিটিইউর পক্ষ থেকে জানানো হলো, ‘প্রকল্প পরিচালক বিদ্যমান সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালা বিষয়ে অবগত নন’।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি। পেলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ চার বছরেও প্রকল্পের কাজ শুরু না করার বিষয়ে তিনি নানা জটিলতা ছিল বলেও জানান।
সিটি করপোরেশনে প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি প্রকল্প পরিচালকের বিষয়ে সিপিটিইউর মতামতের বিষয় সম্পর্কে জানেন না বলে জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে