সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ব্যবহার করে থাকেন বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ। সাধারণ মানুষ যাতে এই লাউঞ্জ ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের কঠোর নির্দেশনা আছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ অর্থের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার কথা ভাবছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বেবিচক। লাউঞ্জ ব্যবহারের জন্য জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন বেবিচকের এক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, ভিআইপি টার্মিনাল নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষ যাতে ব্যবহার করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। এর জন্য ভিআইপি টার্মিনাল আরও বাড়াচ্ছি। তবে ভিআইপি যাঁরা, তাঁরা তো ভিআইপিই থাকবেন।’
বিশ্বের অনেক দেশে এমন নিয়ম থাকার কথা উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিমানবন্দরে অনেক যাত্রী ভালো সুযোগ-সুবিধা চান, তাঁদের উপকার হবে। বেবিচকের আর্থিক সচ্ছলতাও আসবে। নীতিমালা তৈরির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আগামী বছরের শেষ দিকে এটা বাস্তবায়নের বিষয়ে আমাদের আগ্রহ রয়েছে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিআইপি টার্মিনাল সাধারণ মানুষ কীভাবে ব্যবহারের সুযোগ পেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো পলিসি তৈরি হয়নি। অর্থের পরিমাণও নির্ধারণ হয়নি। তবে তা ৩০০ টাকার টিকিটের মতো হবে না।’
শিগগিরই সাধারণ মানুষ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবে না বলে জানান কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহার আগের চেয়ে বেড়েছে। থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পর, ভিআইপি লাউঞ্জে নতুন নিয়ম চালু করা যাবে।’
ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করেন যাঁরা
বিমানবন্দর টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের লাউঞ্জের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা অনেক বেশি ভিআইপি লাউঞ্জে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ আছে চারটি। সেগুলো হলো—রজনীগন্ধা, বকুল, দোলনচাঁপা ও চামেলী।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে এখন ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি), ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) এবং কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (এআইপি)।’
ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারকারীর আগমন ও প্রস্থানের সময় দুজন দর্শনার্থী লাউঞ্জে ঢোকার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজের ভ্রমণ ছাড়াও বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধূ বা জামাতাকে বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর সময় ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন।
তবে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, দেশের বিমানবন্দরগুলোতে অনেকে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নিয়মনীতি মানছেন না। ভিআইপি ব্যক্তির সঙ্গে দল বেঁধে অনেক মানুষ ঢুকে পড়েন লাউঞ্জে। নিয়মের কথা জানালে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন কেউ কেউ।
মান ক্ষুণ্ন না করার পরামর্শ
অর্থের জন্য ভিআইপির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা উচিত হবে না বলে মনে করেন অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা দিয়ে যদি ওই টার্মিনাল ব্যবহার করা যায়, তাহলে তো আর ভিআইপি থাকল না। সবাই টাকা দিয়ে এটা ব্যবহার করবে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হচ্ছে ভিআইপি। পয়সার বিনিময়ে ভিআইপি হওয়া শোভন মনে করি না। এতে বিমানবন্দরের যে স্ট্যান্ডার্ড (মান) আছে, তা ক্ষুণ্ন হবে। বেবিচকের আয়ের অনেক উৎস আছে। সামান্য টাকার জন্য ভিআইপিদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করলেও পারে।’
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ব্যবহার করে থাকেন বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ। সাধারণ মানুষ যাতে এই লাউঞ্জ ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের কঠোর নির্দেশনা আছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ অর্থের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার কথা ভাবছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বেবিচক। লাউঞ্জ ব্যবহারের জন্য জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন বেবিচকের এক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, ভিআইপি টার্মিনাল নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষ যাতে ব্যবহার করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। এর জন্য ভিআইপি টার্মিনাল আরও বাড়াচ্ছি। তবে ভিআইপি যাঁরা, তাঁরা তো ভিআইপিই থাকবেন।’
বিশ্বের অনেক দেশে এমন নিয়ম থাকার কথা উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিমানবন্দরে অনেক যাত্রী ভালো সুযোগ-সুবিধা চান, তাঁদের উপকার হবে। বেবিচকের আর্থিক সচ্ছলতাও আসবে। নীতিমালা তৈরির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আগামী বছরের শেষ দিকে এটা বাস্তবায়নের বিষয়ে আমাদের আগ্রহ রয়েছে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিআইপি টার্মিনাল সাধারণ মানুষ কীভাবে ব্যবহারের সুযোগ পেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো পলিসি তৈরি হয়নি। অর্থের পরিমাণও নির্ধারণ হয়নি। তবে তা ৩০০ টাকার টিকিটের মতো হবে না।’
শিগগিরই সাধারণ মানুষ ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবে না বলে জানান কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহার আগের চেয়ে বেড়েছে। থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পর, ভিআইপি লাউঞ্জে নতুন নিয়ম চালু করা যাবে।’
ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করেন যাঁরা
বিমানবন্দর টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের লাউঞ্জের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা অনেক বেশি ভিআইপি লাউঞ্জে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ আছে চারটি। সেগুলো হলো—রজনীগন্ধা, বকুল, দোলনচাঁপা ও চামেলী।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে এখন ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি), ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) এবং কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (এআইপি)।’
ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারকারীর আগমন ও প্রস্থানের সময় দুজন দর্শনার্থী লাউঞ্জে ঢোকার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিজের ভ্রমণ ছাড়াও বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধূ বা জামাতাকে বিদায় ও অভ্যর্থনা জানানোর সময় ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন।
তবে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, দেশের বিমানবন্দরগুলোতে অনেকে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নিয়মনীতি মানছেন না। ভিআইপি ব্যক্তির সঙ্গে দল বেঁধে অনেক মানুষ ঢুকে পড়েন লাউঞ্জে। নিয়মের কথা জানালে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন কেউ কেউ।
মান ক্ষুণ্ন না করার পরামর্শ
অর্থের জন্য ভিআইপির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা উচিত হবে না বলে মনে করেন অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা দিয়ে যদি ওই টার্মিনাল ব্যবহার করা যায়, তাহলে তো আর ভিআইপি থাকল না। সবাই টাকা দিয়ে এটা ব্যবহার করবে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হচ্ছে ভিআইপি। পয়সার বিনিময়ে ভিআইপি হওয়া শোভন মনে করি না। এতে বিমানবন্দরের যে স্ট্যান্ডার্ড (মান) আছে, তা ক্ষুণ্ন হবে। বেবিচকের আয়ের অনেক উৎস আছে। সামান্য টাকার জন্য ভিআইপিদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করলেও পারে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১৯ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে