জিয়াউল হক, যশোর
নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না যশোর-চুকনগর সড়কের দুই লেনের সংস্কারকাজ। ১৫ মাসে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশ। হাতে নির্ধারিত সময় আছে মাত্র দুই মাস।
এই সময়ের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব নয় জানিয়ে অতিরিক্ত দেড় বছর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজে ধীরগতি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসীসহ সড়কটি ব্যবহারকারীরা। সড়কের বালু ও ধূলিঝড়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-চুকনগর সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার। সড়কটি যশোর সদর ছাড়াও জেলার মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে চুকনগরে গিয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সঙ্গে মিশেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের আমদানি করা পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো এ সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। আঞ্চলিক সড়ক হলেও ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনসহ নিয়মিত অন্যান্য যানও চলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে। এক কথায় যশোর-খুলনা ও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দুটির বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যশোর-চুকনগরের ৩৮ কিলোমিটারের সড়কটি।
যশোর-চুকনগর সড়কটি যানবাহনের চাপে বছরের বেশির ভাগ সময়ই ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকে। যে কারণে প্রতি বছরই সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হয়। এভাবে কয়েক দফা সংস্কার করার পরও ২০২০ সাল নাগাদ সড়কটির অধিকাংশ স্থান ভেঙে খানা-খন্দে পরিণত হয়।
এর পর বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় এনে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সড়কটি উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সড়কটিতে নতুন করে ভিত নির্মাণের মাধ্যমে দুই লেনে ১০.৩০ মিটার বা ৩৪ ফুটে উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সড়ক উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে ১১.৬০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ, রিজিড পেভমেন্ট এক হাজার ৩০০ ফুট, সড়কে তিনটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, আরসিসি পিটসহ ইইউ ড্রেন নির্মাণ দুই হাজার ৬০০ ফুট, রক্ষাপ্রদ কাজ (আরসিসি প্যালাসাইডিং) দুই হাজার ৫৬৭ ফুট, ইন্টারসেকশন একটি ও একটি দ্বিতল অফিস ভবন নির্মাণ। যার পরিধি হবে ১৫ শ স্কয়ার ফুট। এর মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৬ কোটি টাকা।
২০২০ সালের ২০ জুলাই থেকে শুরু হয় সড়কটির নির্মাণ কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। প্রকল্পটির কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যশোরের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার পর কয়েক দফায় বৃষ্টির মুখে পড়ি। এতে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। তা ছাড়া বরাদ্দের টাকা পেতেও কিছুটা বিলম্ব হয়। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘গত বছর সড়কটি নির্মাণের জন্য ৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছিলো। চলতি বছর এ বরাদ্দ এসেছে আরও ৭০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে বরাদ্দের টাকায় সড়কের ৫০ শতাংশ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজের গতি কমে যায়।’
নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সংস্কারকাজ চলাকালীন কয়েক দফায় বৃষ্টি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য কাজটি শেষ করতে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বর্ধিত সময়ের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।’
এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সড়কটির মূল কাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে সড়কের পাশের কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে।’
নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না যশোর-চুকনগর সড়কের দুই লেনের সংস্কারকাজ। ১৫ মাসে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশ। হাতে নির্ধারিত সময় আছে মাত্র দুই মাস।
এই সময়ের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব নয় জানিয়ে অতিরিক্ত দেড় বছর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজে ধীরগতি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসীসহ সড়কটি ব্যবহারকারীরা। সড়কের বালু ও ধূলিঝড়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-চুকনগর সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার। সড়কটি যশোর সদর ছাড়াও জেলার মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে চুকনগরে গিয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সঙ্গে মিশেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের আমদানি করা পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো এ সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। আঞ্চলিক সড়ক হলেও ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনসহ নিয়মিত অন্যান্য যানও চলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে। এক কথায় যশোর-খুলনা ও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দুটির বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যশোর-চুকনগরের ৩৮ কিলোমিটারের সড়কটি।
যশোর-চুকনগর সড়কটি যানবাহনের চাপে বছরের বেশির ভাগ সময়ই ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকে। যে কারণে প্রতি বছরই সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হয়। এভাবে কয়েক দফা সংস্কার করার পরও ২০২০ সাল নাগাদ সড়কটির অধিকাংশ স্থান ভেঙে খানা-খন্দে পরিণত হয়।
এর পর বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় এনে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সড়কটি উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সড়কটিতে নতুন করে ভিত নির্মাণের মাধ্যমে দুই লেনে ১০.৩০ মিটার বা ৩৪ ফুটে উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে পাস হয়। সড়ক উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে ১১.৬০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ, রিজিড পেভমেন্ট এক হাজার ৩০০ ফুট, সড়কে তিনটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, আরসিসি পিটসহ ইইউ ড্রেন নির্মাণ দুই হাজার ৬০০ ফুট, রক্ষাপ্রদ কাজ (আরসিসি প্যালাসাইডিং) দুই হাজার ৫৬৭ ফুট, ইন্টারসেকশন একটি ও একটি দ্বিতল অফিস ভবন নির্মাণ। যার পরিধি হবে ১৫ শ স্কয়ার ফুট। এর মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৬ কোটি টাকা।
২০২০ সালের ২০ জুলাই থেকে শুরু হয় সড়কটির নির্মাণ কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। প্রকল্পটির কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যশোরের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার পর কয়েক দফায় বৃষ্টির মুখে পড়ি। এতে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। তা ছাড়া বরাদ্দের টাকা পেতেও কিছুটা বিলম্ব হয়। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘গত বছর সড়কটি নির্মাণের জন্য ৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছিলো। চলতি বছর এ বরাদ্দ এসেছে আরও ৭০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে বরাদ্দের টাকায় সড়কের ৫০ শতাংশ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজের গতি কমে যায়।’
নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সংস্কারকাজ চলাকালীন কয়েক দফায় বৃষ্টি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য কাজটি শেষ করতে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বর্ধিত সময়ের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।’
এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সড়কটির মূল কাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে সড়কের পাশের কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৬ ঘণ্টা আগে