রাহুল শর্মা, ঢাকা
নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে নতুন শিক্ষাক্রমের চলতি শিক্ষাবর্ষের দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বই দুটি হলো ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’। এ সিদ্ধান্তের ফলে এ বছর বই দুটি না পড়েই শিক্ষাবর্ষ শেষ করতে হবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের দুটি অংশ। একটি অনুশীলন বই, অন্যটি অনুসন্ধানী পাঠ। একটি অংশ বাদ দেওয়ায় এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে শিক্ষণ ঘাটতিতে পড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা।
এক অফিস আদেশে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে বলা হয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকসমূহের কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। ওই পাঠ্যপুস্তকসমূহের অন্য সব অধ্যায়ের পাঠদান অব্যাহত থাকবে। সংশোধনীসমূহ শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত করা হবে।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বই দুটি প্রত্যাহারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ের যেসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে, এর কোনো ভিত্তি নেই, এগুলো গুজব। তারপরও যেন কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সে জন্য বই দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সমালোচনার কারণেই কি বই দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, অনেকটা তাই। আগামী বছর বই দুটি আবারও যুক্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বই দুটি রিভাইস করব। এরপর ২০২৪ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বই দুটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনুসন্ধানী পাঠ বইটি পড়ার সুযোগ না থাকলেও অনুশীলনী পাঠ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে। এবারের বইগুলো একটিভিটি বেজড। ফলে বই দুটি প্রত্যাহার করলেও শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না।
তবে এনসিটিবির এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা বলছেন, বই দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ঘাটতি সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে তারা তাড়াহুড়ো করে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেরও সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, কেন বই দুটি প্রত্যাহার করা হলো, এনসিটিবির উচিত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যে যথাযথ পরিকল্পনা নেই, এ সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ। আর চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বই দুটি পাবে না। এতে ভবিষ্যতে শিক্ষণ ঘাটতি দেখা দেবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির। তিনি বলেন, চলতি বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বই দুটি না থাকাতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। এতে শিক্ষণ ঘাটতি দেখা দেবে। পরবর্তী শ্রেণিতে দুই শ্রেণির ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে না। তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত এরই প্রমাণ। এখন সরকারের উচিত যে শূন্যতা তৈরি হলো, শিক্ষকদের গাইডলাইন দিয়ে এর কিছুটা হলেও পূরণ করার ব্যবস্থা করা।
চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এ শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। পুরো মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় বসবে দশম শ্রেণিতে। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই পরীক্ষার ফল যোগ করে উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হবে।
নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে নতুন শিক্ষাক্রমের চলতি শিক্ষাবর্ষের দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বই দুটি হলো ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’। এ সিদ্ধান্তের ফলে এ বছর বই দুটি না পড়েই শিক্ষাবর্ষ শেষ করতে হবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের দুটি অংশ। একটি অনুশীলন বই, অন্যটি অনুসন্ধানী পাঠ। একটি অংশ বাদ দেওয়ায় এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে শিক্ষণ ঘাটতিতে পড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা।
এক অফিস আদেশে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে বলা হয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকসমূহের কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। ওই পাঠ্যপুস্তকসমূহের অন্য সব অধ্যায়ের পাঠদান অব্যাহত থাকবে। সংশোধনীসমূহ শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত করা হবে।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বই দুটি প্রত্যাহারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ের যেসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে, এর কোনো ভিত্তি নেই, এগুলো গুজব। তারপরও যেন কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সে জন্য বই দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সমালোচনার কারণেই কি বই দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, অনেকটা তাই। আগামী বছর বই দুটি আবারও যুক্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বই দুটি রিভাইস করব। এরপর ২০২৪ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বই দুটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনুসন্ধানী পাঠ বইটি পড়ার সুযোগ না থাকলেও অনুশীলনী পাঠ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে। এবারের বইগুলো একটিভিটি বেজড। ফলে বই দুটি প্রত্যাহার করলেও শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না।
তবে এনসিটিবির এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা বলছেন, বই দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ঘাটতি সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে তারা তাড়াহুড়ো করে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেরও সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, কেন বই দুটি প্রত্যাহার করা হলো, এনসিটিবির উচিত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যে যথাযথ পরিকল্পনা নেই, এ সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ। আর চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বই দুটি পাবে না। এতে ভবিষ্যতে শিক্ষণ ঘাটতি দেখা দেবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির। তিনি বলেন, চলতি বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বই দুটি না থাকাতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। এতে শিক্ষণ ঘাটতি দেখা দেবে। পরবর্তী শ্রেণিতে দুই শ্রেণির ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে না। তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত এরই প্রমাণ। এখন সরকারের উচিত যে শূন্যতা তৈরি হলো, শিক্ষকদের গাইডলাইন দিয়ে এর কিছুটা হলেও পূরণ করার ব্যবস্থা করা।
চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এ শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। পুরো মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় বসবে দশম শ্রেণিতে। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই পরীক্ষার ফল যোগ করে উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে