আয়নাল হোসেন, ঢাকা
কসমেটিক বা প্রসাধনসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণসহ এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। বিএসটিআই বলছে, আইন ও বিধি অনুযায়ী, কসমেটিক বা প্রসাধনীর মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়, বিতরণ এবং এ-সংক্রান্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধের ক্ষমতা বিএসটিআইয়ের ওপর ন্যস্ত।
কিন্তু ২০২২ সালে প্রণীত খসড়া ওষুধ আইনে কসমেটিকের নিবন্ধন, উৎপাদন, বিতরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, পরিদর্শন, তদারকি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিএসটিআইয়ের দাবি, বিজনেস অব অ্যালোকেশন অনুযায়ী এটি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আওতাবহির্ভূত। খসড়া আইনে কসমেটিক যুক্ত করা হলেও এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের মতামত নেওয়া হয়নি। খসড়া আইনটি সংসদের কার্যতালিকায় উঠেছে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বিএসটিআই কসমেটিকসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধানে কাজ করছে। নিরাপদ কসমেটিক পণ্য নিশ্চিত করতে বিএসটিআই পাঁচটি গাইডলাইন ও শতাধিক মান প্রণয়ন করেছে। ২৭টি কসমেটিক পণ্য সরকার বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ওষুধ ও কসমেটিক আইনে কসমেটিকের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। আইনটি অনুমোদিত হলে কসমেটিক পণ্য নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থার মধ্যে কাজে দ্বৈততার সৃষ্টি হবে এবং বিএসটিআইয়ের কাজকর্মে সমস্যা তৈরি হবে। এতে বিএসটিআইয়ে স্থাপিত ল্যাব ও জনবল অকার্যকর হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘সব দিক চিন্তাভাবনা করেই কসমেটিক ঔষধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে দিচ্ছে সরকার। যার যার জুরিসডিকশন অনুযায়ী কাজ করবে। সরকার সব দিক বিবেচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করেই অনুমোদন দিচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা তৈরি হলে সেটি সংশোধন করা হবে।’
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক আবদুর সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৭ সালে ওষুধ আইন তৈরির সময় কসমেটিক অন্তর্ভুক্ত করতে চেষ্টা করেছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তখন বিএসটিআইয়ের বাধার মুখে সেটি পারেনি। ২০২৩ সালে হঠাৎ করে ওষুধ আইনের মধ্যে কসমেটিক শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়, যার কপি শিল্প মন্ত্রণালয় বা বিএসটিআইকে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কসমেটিক উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মতামতও নেওয়া হয়নি। ফলে একই কাজ দুটি সংস্থা করলে নানা সমস্যা তৈরি হবে।
২০১৮ সালের বিএসটিআই আইনের ২১ ধারায় উল্লেখ আছে, কসমেটিকসামগ্রীর উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া করা যাবে না। আইনের ১৭ ধারার বিধানমতে, আমদানি করা কসমেটিক পণ্যের মান পরীক্ষাপূর্বক গুণগত মানের ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
অন্যদিকে খসড়া ওষুধ আইনের ৩১ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স ছাড়া কোনো কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ, আমদানি বা রপ্তানি করতে পারবে না। ৩২ ধারায় বলা আছে, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া যেকোনো ধরনের কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ, আমদানি বা রপ্তানি করতে পারবে না।
আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর ২৫(৪৮)ক-এর পরিশিষ্ট ৪-এর বিধান অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক পণ্য, যেমন শ্যাম্পু, স্কিন পাউডার, হেয়ার অয়েল, স্কিন ক্রিম, লিপস্টিক, বেবি অয়েল, বেবি টয়লেট সোপ, বেবি স্কিন পাউডার, বেবি স্কিন ক্রিম, বেবি শ্যাম্পু, আফটার শেভ লোশন বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র না নিয়ে খালাস করা যাবে না।
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক জানান, কসমেটিক পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে বিএসটিআই উন্নত মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। সেখানে দক্ষ জনবল আছে। এই কসমেটিক এখন ঔষধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে বিপুল অর্থে স্থাপিত এই ল্যাবরেটরি অকেজো হয়ে পড়বে। অন্যদিকে নতুন করে ল্যাব স্থাপন করতে গেলে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
কসমেটিক বা প্রসাধনসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণসহ এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। বিএসটিআই বলছে, আইন ও বিধি অনুযায়ী, কসমেটিক বা প্রসাধনীর মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়, বিতরণ এবং এ-সংক্রান্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধের ক্ষমতা বিএসটিআইয়ের ওপর ন্যস্ত।
কিন্তু ২০২২ সালে প্রণীত খসড়া ওষুধ আইনে কসমেটিকের নিবন্ধন, উৎপাদন, বিতরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, পরিদর্শন, তদারকি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিএসটিআইয়ের দাবি, বিজনেস অব অ্যালোকেশন অনুযায়ী এটি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আওতাবহির্ভূত। খসড়া আইনে কসমেটিক যুক্ত করা হলেও এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের মতামত নেওয়া হয়নি। খসড়া আইনটি সংসদের কার্যতালিকায় উঠেছে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বিএসটিআই কসমেটিকসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধানে কাজ করছে। নিরাপদ কসমেটিক পণ্য নিশ্চিত করতে বিএসটিআই পাঁচটি গাইডলাইন ও শতাধিক মান প্রণয়ন করেছে। ২৭টি কসমেটিক পণ্য সরকার বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ওষুধ ও কসমেটিক আইনে কসমেটিকের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। আইনটি অনুমোদিত হলে কসমেটিক পণ্য নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থার মধ্যে কাজে দ্বৈততার সৃষ্টি হবে এবং বিএসটিআইয়ের কাজকর্মে সমস্যা তৈরি হবে। এতে বিএসটিআইয়ে স্থাপিত ল্যাব ও জনবল অকার্যকর হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘সব দিক চিন্তাভাবনা করেই কসমেটিক ঔষধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে দিচ্ছে সরকার। যার যার জুরিসডিকশন অনুযায়ী কাজ করবে। সরকার সব দিক বিবেচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করেই অনুমোদন দিচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা তৈরি হলে সেটি সংশোধন করা হবে।’
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক আবদুর সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৭ সালে ওষুধ আইন তৈরির সময় কসমেটিক অন্তর্ভুক্ত করতে চেষ্টা করেছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তখন বিএসটিআইয়ের বাধার মুখে সেটি পারেনি। ২০২৩ সালে হঠাৎ করে ওষুধ আইনের মধ্যে কসমেটিক শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়, যার কপি শিল্প মন্ত্রণালয় বা বিএসটিআইকে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কসমেটিক উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মতামতও নেওয়া হয়নি। ফলে একই কাজ দুটি সংস্থা করলে নানা সমস্যা তৈরি হবে।
২০১৮ সালের বিএসটিআই আইনের ২১ ধারায় উল্লেখ আছে, কসমেটিকসামগ্রীর উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া করা যাবে না। আইনের ১৭ ধারার বিধানমতে, আমদানি করা কসমেটিক পণ্যের মান পরীক্ষাপূর্বক গুণগত মানের ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
অন্যদিকে খসড়া ওষুধ আইনের ৩১ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স ছাড়া কোনো কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ, আমদানি বা রপ্তানি করতে পারবে না। ৩২ ধারায় বলা আছে, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া যেকোনো ধরনের কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ, আমদানি বা রপ্তানি করতে পারবে না।
আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর ২৫(৪৮)ক-এর পরিশিষ্ট ৪-এর বিধান অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক পণ্য, যেমন শ্যাম্পু, স্কিন পাউডার, হেয়ার অয়েল, স্কিন ক্রিম, লিপস্টিক, বেবি অয়েল, বেবি টয়লেট সোপ, বেবি স্কিন পাউডার, বেবি স্কিন ক্রিম, বেবি শ্যাম্পু, আফটার শেভ লোশন বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র না নিয়ে খালাস করা যাবে না।
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক জানান, কসমেটিক পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে বিএসটিআই উন্নত মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। সেখানে দক্ষ জনবল আছে। এই কসমেটিক এখন ঔষধ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে বিপুল অর্থে স্থাপিত এই ল্যাবরেটরি অকেজো হয়ে পড়বে। অন্যদিকে নতুন করে ল্যাব স্থাপন করতে গেলে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে