টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
গোপালপুরের প্রান্তিক চাষিদের জন্য সুলভ সেচ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধায় শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে প্রকল্পটি। এ কারণে সুলভ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ মাঠে গড়াতে না পারায় সরকারের ভর্তুকি দেওয়া অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর পেছনে প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং না থাকা এবং সরকারের ভূগর্ভস্থ সেচ নীতিমালার বাস্তবায়ন না হওয়াকে দায়ী করছেন তাঁরা।
জানা যায়, চলতি সেচ মৌসুমে দেশের ২১ জেলায় সরকার দুই হাজার সৌরবিদ্যুচ্চালিত অগভীর সেচপাম্প চালুর উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মধুপুর, ধনবাড়ী ও ঘাটাইল উপজেলায় শতাধিক সৌর সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। গোপালপুর উপজেলায় সৌর বিদ্যুৎচালিত ১১টি সেচ প্রকল্প চালুর কাজ মাসখানেক আগে চূড়ান্ত হয়। কিন্তু প্রভাবশালীদের বিরোধিতায় এ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত একটি প্রকল্পও চালু করা যায়নি।
মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য এবং জোতআতাউল্লাহ গ্রামের নাসরীন কামাল জানান, উপজেলা সেচ কমিটির লাইসেন্স নিয়ে তিনি ১৫ শতাংশ জমি মর্টগেজ এবং ৫০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে ময়মনসিংহ পবিস-১ থেকে ৫ লাখ টাকার সৌর প্যাকেজ ক্রয় করেন। পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা তাঁকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেন। এক মাস আগে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা সৌরবিদ্যুতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে গিয়ে দেখেন, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নাসরীন কামালের সৌর প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ার ১০০ ফুটের মধ্যে ডিজেলচালিত আরেকটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। তিনি দলবল নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং নাসরীন কামালের সেচ প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ায় সৌরবিদ্যুৎ সরঞ্জাম স্থাপনে বাধা দেন। এ অবস্থায় যাবতীয় সরঞ্জাম মাঠে ফেলে রেখে বিদ্যুতের কর্মীরা ফিরে যান।
এদিকে প্রকল্পের কাজে বাধার বিষয়ে নাসরীন কামাল উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে তিন দিনের মধ্যে ডিজেলচালিত সেচপাম্প মাঠ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো সে স্থান থেকে ডিজেলচালিত ওই নলকূপ সরিয়ে নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের কর্মীদেরও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সাবেক এই ইউপি সদস্যের অভিযোগ, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের সুলভ সেচের সুবিধার্থে চালু করতে যাওয়া এ প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে কুচক্রী মহল। আর তাঁদের নেপথ্যে রয়েছেন উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত এক জনপ্রতিনিধি।
পল্লী বিদ্যুৎ গোপালপুর জোনের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এম তাহসীন ইলিয়াস জানান, সৌর সেচ প্রকল্পের জন্য গোপালপুর উপজেলায় ১২টি স্কিমের লাইসেন্স দিয়েছে উপজেলা সেচ কমিটি। ১১টি প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু প্রথমেই নাসরীন কামালের কাজ করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়েন তাঁরা। ইলিয়াস আরও জানান, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলা সেচ কমিটির নির্দেশ মানছেন না।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আখতার হোসেন জানান, সুলভে সেচ নিশ্চিতের জন্য সরকার এবং এডিবির অর্থায়নে বিপুল ভর্তুকি দিয়ে সৌর সেচ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কিস্তির মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের এ প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেচ মৌসুম শেষ হলে এসব প্রকল্পে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ বিশেষ ব্যবস্থায় জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু শুরুতেই নানা বাধাবিপত্তির শিকার হচ্ছে সরকারের এ লাভজনক প্রকল্প। আর এসব বাধা অপসারণের একমাত্র ক্ষমতা আর এসব বাধা অপসারণ করার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে উপজেলা সেচ কমিটির।
উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ মল্লিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌরবিদ্যুচ্চালিত সেচ প্রকল্পে যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে, এ জন্য প্রশাসন সজাগ রয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটি সবকিছু ঠিকমতো মনিটরিং করছে। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালপুরের প্রান্তিক চাষিদের জন্য সুলভ সেচ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধায় শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে প্রকল্পটি। এ কারণে সুলভ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ মাঠে গড়াতে না পারায় সরকারের ভর্তুকি দেওয়া অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর পেছনে প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং না থাকা এবং সরকারের ভূগর্ভস্থ সেচ নীতিমালার বাস্তবায়ন না হওয়াকে দায়ী করছেন তাঁরা।
জানা যায়, চলতি সেচ মৌসুমে দেশের ২১ জেলায় সরকার দুই হাজার সৌরবিদ্যুচ্চালিত অগভীর সেচপাম্প চালুর উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মধুপুর, ধনবাড়ী ও ঘাটাইল উপজেলায় শতাধিক সৌর সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। গোপালপুর উপজেলায় সৌর বিদ্যুৎচালিত ১১টি সেচ প্রকল্প চালুর কাজ মাসখানেক আগে চূড়ান্ত হয়। কিন্তু প্রভাবশালীদের বিরোধিতায় এ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত একটি প্রকল্পও চালু করা যায়নি।
মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য এবং জোতআতাউল্লাহ গ্রামের নাসরীন কামাল জানান, উপজেলা সেচ কমিটির লাইসেন্স নিয়ে তিনি ১৫ শতাংশ জমি মর্টগেজ এবং ৫০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে ময়মনসিংহ পবিস-১ থেকে ৫ লাখ টাকার সৌর প্যাকেজ ক্রয় করেন। পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা তাঁকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেন। এক মাস আগে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা সৌরবিদ্যুতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে গিয়ে দেখেন, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নাসরীন কামালের সৌর প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ার ১০০ ফুটের মধ্যে ডিজেলচালিত আরেকটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। তিনি দলবল নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং নাসরীন কামালের সেচ প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ায় সৌরবিদ্যুৎ সরঞ্জাম স্থাপনে বাধা দেন। এ অবস্থায় যাবতীয় সরঞ্জাম মাঠে ফেলে রেখে বিদ্যুতের কর্মীরা ফিরে যান।
এদিকে প্রকল্পের কাজে বাধার বিষয়ে নাসরীন কামাল উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে তিন দিনের মধ্যে ডিজেলচালিত সেচপাম্প মাঠ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো সে স্থান থেকে ডিজেলচালিত ওই নলকূপ সরিয়ে নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের কর্মীদেরও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সাবেক এই ইউপি সদস্যের অভিযোগ, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের সুলভ সেচের সুবিধার্থে চালু করতে যাওয়া এ প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে কুচক্রী মহল। আর তাঁদের নেপথ্যে রয়েছেন উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত এক জনপ্রতিনিধি।
পল্লী বিদ্যুৎ গোপালপুর জোনের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এম তাহসীন ইলিয়াস জানান, সৌর সেচ প্রকল্পের জন্য গোপালপুর উপজেলায় ১২টি স্কিমের লাইসেন্স দিয়েছে উপজেলা সেচ কমিটি। ১১টি প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু প্রথমেই নাসরীন কামালের কাজ করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়েন তাঁরা। ইলিয়াস আরও জানান, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি উপজেলা সেচ কমিটির নির্দেশ মানছেন না।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আখতার হোসেন জানান, সুলভে সেচ নিশ্চিতের জন্য সরকার এবং এডিবির অর্থায়নে বিপুল ভর্তুকি দিয়ে সৌর সেচ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কিস্তির মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের এ প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেচ মৌসুম শেষ হলে এসব প্রকল্পে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ বিশেষ ব্যবস্থায় জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু শুরুতেই নানা বাধাবিপত্তির শিকার হচ্ছে সরকারের এ লাভজনক প্রকল্প। আর এসব বাধা অপসারণের একমাত্র ক্ষমতা আর এসব বাধা অপসারণ করার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে উপজেলা সেচ কমিটির।
উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ মল্লিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌরবিদ্যুচ্চালিত সেচ প্রকল্পে যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে, এ জন্য প্রশাসন সজাগ রয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটি সবকিছু ঠিকমতো মনিটরিং করছে। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে