মুনতাসীর মঈন
ব্রিটিশদের ‘কারি’প্রেম একটা গল্প করার মতো ব্যাপার! তাদের কারি নিয়ে প্রথম লেখা পাওয়া যায় সেই ১৭৪৭ সালে। তখন আমাদের এই উপমহাদেশে ব্রিটিশরা পোক্তভাবে তাঁবু গেড়ে বসেছে এবং ভারতবর্ষের খাবার খেতে চেষ্টা করছে। সেখান থেকে কিছু কিছু খাবার তাদের ভালো লেগে যায়। তারা পছন্দের সেসব খাবারের রেসিপি নিয়ে যায় ব্রিটেনে। তারপর ব্রিটেনে প্রথম ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট চালু করে, ১৮১০ সালে।
তখন ব্রিটিশরা ভারতীয় মসলা দিয়ে রাঁধা যেকোনো গ্রেভিকে কারি বলত। ভারতীয় মসলা বলতে ব্রিটিশরা আদা, হলুদ আর মরিচকে বোঝাত। এরপর আবিষ্কার হয় কারি পাউডার। উনিশ শতকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই কারি পাউডার। ব্রিটিশ কুকবুকের পাতা ভরে ওঠে কারি রেসিপি দিয়ে। রানি ভিক্টোরিয়াও প্রেমে পড়ে যান এই কারির! রাজপরিবারেও নিয়মিত পরিবেশন হতে থাকে কাঁড়ি কাঁড়ি ‘কারি’।
১৯২০ সালে ব্রিটেনের কিছু হাইপ্রোফাইল রেস্তোরাঁ তাদের মেন্যুতে বিশেষভাবে কারি যুক্ত করে নেয়। ১৯৪৬ সালে লন্ডনে ২০টি কারি রেস্টুরেন্ট ছিল বলে শোনা যায় বিভিন্ন সূত্র থেকে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কারির বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ অভিবাসী হয় ব্রিটেনে। তাদের অনেকেই রেস্তোরাঁ খুলে বসে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে। ১৯৭১ সালের পর অনেক বাংলাদেশি ব্রিটেনে গিয়ে রেস্তোরাঁ খোলে এবং নাম দেয় ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। সেগুলোও কারি রেস্টুরেন্ট। ২০০১ সালে ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি রবিন কুক চিকেন টিক্কা মাসালাকে তাঁদের ন্যাশনাল ডিশ বলে ঘোষণা করেন। শোনা যায়, এখন পুরো যুক্তরাজ্যে ১২ হাজার কারি হাউস আছে!
সম্প্রতি ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলমান ‘ব্রিটিশ কারি ফেস্টিভ্যাল’-এ সেই কারি রেঁধে খাওয়ালেন বিখ্যাত মিসেলিন স্টার শেফ ডমিনিক চ্যাপম্যান। তিনি ব্রিটেনের সেরা শেফদের মধ্যে অন্যতম। ডমিনিক আগে ব্রিটেনে দ্য ফ্যাট ডাক নামে এক থ্রি-স্টার মিশেলিন রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। এখন তিনি দ্য রয়েল ওকের শেফ। দ্য রয়েল ওক-ও একটি মিশেলিন স্টার রেস্তোরাঁ।
ডমিনিক চ্যাপম্যানের রান্না অপূর্ব! তাঁর সঙ্গে ব্রিটিশ কারি ফেস্টিভ্যালের এ আয়োজনে আছেন আরও পাঁচজন বাঙালি শেফ। ব্রিটিশ এবং বাংলা স্বাদের মেলা এই ফেস্টিভ্যাল। দারুণ সব খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্রিটিশ চিকেন টিক্কা মাসালা, প্রন মালাইকারি, সাতকড়া মাটন বালতি, আইর ফিশ ঝাল কারি, চিকেন আলু কারি, ফিশ টিক্কা মাসালা। সঙ্গে আছে স্টিম রাইস থেকে শুরু করে দুই রকম বিরিয়ানি, পাঁপড় ও নান। আরও আছে জাপানিজ সালাদ বার, পিৎজা আর গ্রিল। আয়োজন চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
ব্রিটিশদের ‘কারি’প্রেম একটা গল্প করার মতো ব্যাপার! তাদের কারি নিয়ে প্রথম লেখা পাওয়া যায় সেই ১৭৪৭ সালে। তখন আমাদের এই উপমহাদেশে ব্রিটিশরা পোক্তভাবে তাঁবু গেড়ে বসেছে এবং ভারতবর্ষের খাবার খেতে চেষ্টা করছে। সেখান থেকে কিছু কিছু খাবার তাদের ভালো লেগে যায়। তারা পছন্দের সেসব খাবারের রেসিপি নিয়ে যায় ব্রিটেনে। তারপর ব্রিটেনে প্রথম ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট চালু করে, ১৮১০ সালে।
তখন ব্রিটিশরা ভারতীয় মসলা দিয়ে রাঁধা যেকোনো গ্রেভিকে কারি বলত। ভারতীয় মসলা বলতে ব্রিটিশরা আদা, হলুদ আর মরিচকে বোঝাত। এরপর আবিষ্কার হয় কারি পাউডার। উনিশ শতকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই কারি পাউডার। ব্রিটিশ কুকবুকের পাতা ভরে ওঠে কারি রেসিপি দিয়ে। রানি ভিক্টোরিয়াও প্রেমে পড়ে যান এই কারির! রাজপরিবারেও নিয়মিত পরিবেশন হতে থাকে কাঁড়ি কাঁড়ি ‘কারি’।
১৯২০ সালে ব্রিটেনের কিছু হাইপ্রোফাইল রেস্তোরাঁ তাদের মেন্যুতে বিশেষভাবে কারি যুক্ত করে নেয়। ১৯৪৬ সালে লন্ডনে ২০টি কারি রেস্টুরেন্ট ছিল বলে শোনা যায় বিভিন্ন সূত্র থেকে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কারির বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ অভিবাসী হয় ব্রিটেনে। তাদের অনেকেই রেস্তোরাঁ খুলে বসে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে। ১৯৭১ সালের পর অনেক বাংলাদেশি ব্রিটেনে গিয়ে রেস্তোরাঁ খোলে এবং নাম দেয় ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। সেগুলোও কারি রেস্টুরেন্ট। ২০০১ সালে ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি রবিন কুক চিকেন টিক্কা মাসালাকে তাঁদের ন্যাশনাল ডিশ বলে ঘোষণা করেন। শোনা যায়, এখন পুরো যুক্তরাজ্যে ১২ হাজার কারি হাউস আছে!
সম্প্রতি ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলমান ‘ব্রিটিশ কারি ফেস্টিভ্যাল’-এ সেই কারি রেঁধে খাওয়ালেন বিখ্যাত মিসেলিন স্টার শেফ ডমিনিক চ্যাপম্যান। তিনি ব্রিটেনের সেরা শেফদের মধ্যে অন্যতম। ডমিনিক আগে ব্রিটেনে দ্য ফ্যাট ডাক নামে এক থ্রি-স্টার মিশেলিন রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। এখন তিনি দ্য রয়েল ওকের শেফ। দ্য রয়েল ওক-ও একটি মিশেলিন স্টার রেস্তোরাঁ।
ডমিনিক চ্যাপম্যানের রান্না অপূর্ব! তাঁর সঙ্গে ব্রিটিশ কারি ফেস্টিভ্যালের এ আয়োজনে আছেন আরও পাঁচজন বাঙালি শেফ। ব্রিটিশ এবং বাংলা স্বাদের মেলা এই ফেস্টিভ্যাল। দারুণ সব খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্রিটিশ চিকেন টিক্কা মাসালা, প্রন মালাইকারি, সাতকড়া মাটন বালতি, আইর ফিশ ঝাল কারি, চিকেন আলু কারি, ফিশ টিক্কা মাসালা। সঙ্গে আছে স্টিম রাইস থেকে শুরু করে দুই রকম বিরিয়ানি, পাঁপড় ও নান। আরও আছে জাপানিজ সালাদ বার, পিৎজা আর গ্রিল। আয়োজন চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে