মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের সভাপতিদের না জানিয়ে ৫১টি প্রকল্পের শেষ কিস্তির ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা তুলেছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন। গত মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপক শামছুদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় নিজ দপ্তরের নাজির শাহিন হোসেনকে দিয়ে এ টাকা তোলেন তিনি।
বিষয়টি স্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, বিল আনতে বলা হয়েছিল, ভুলে টাকা তুলে এনেছে নাজির।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, টিআর বা কাবিটার কোনো প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে প্রকল্পের সভাপতিদের অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়। এরপর কাজ শেষ হলে পিআইও অফিস কাজ দেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদন পেয়ে বাকি টাকা ছাড়ের জন্য ইউএনও এবং সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষর হয়ে বিল চলে যায় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরে। সেখান থেকে টাকা ছাড় হয়ে বিল পিআইও দপ্তরে আসে। এরপর প্রকল্পের সভাপতি পিআইও দপ্তরে গিয়ে বিলে ৫টি স্বাক্ষর করেন। শেষে পিআইও বিলের কাগজ সত্যায়িত করলে সভাপতি সেটি নিয়ে সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় গেলে ব্যাংক যাচাই করে টাকা দেয়।
পিআইও দপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের টিআর ও কাবিটার ৫১টি প্রকল্পের শেষ কিস্তির যে টাকা ইউএনও তাঁর নাজিরকে দিয়ে সোনালী ব্যাংকের মনিরামপুর শাখা থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে উত্তোলন করেছেন, সেখানে প্রকল্পের সভাপতি ও পিআইও কারও স্বাক্ষর নেই।
সূত্রটি বলছে, পিআইও দপ্তরের লোক মঙ্গলবার বিল অনুমোদনের জন্য হিসাবরক্ষক দপ্তরে গেলে তাঁদের কাছে বিলের কাগজ দেওয়া হয়নি। ইউএনও দপ্তরের নাজির শাহিনের কাছে বিলের কাগজ দেওয়া হয়েছে। এরপর টিআরের ২৯টি ও কাবিটার ২২টি বিল বুঝে পেলাম মর্মে সেখানে স্বাক্ষর করেন নাজির শাহিন হোসেন।
ইউএনওর টাকা উত্তোলন নিয়ে কথা হয়েছে খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, ভোজগাতী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মনিরামপুর সদর ইউপির চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, রোহিতা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তাঁরা ইউএনও অফিস টাকা তুলে নেওয়ার কথা শুনেছেন জানিয়ে বলেন, এই বিষয়ে সেখান থেকে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, ‘আমি দুই দিন ধরে ঢাকায় আছি। শুনেছি, প্রকল্পের সভাপতিদের স্বাক্ষর বাদে টিআর ও কাবিটার ৫১টি প্রকল্পের শেষ কিস্তির টাকা ওঠানো হয়েছে। এই ৫১টির বিলে আমার সত্যায়িত স্বাক্ষর নেই।’
উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘মঙ্গলবার বিল ছাড়ার শেষ দিন ছিল। সোমবার আমাকে জানানো হয়েছিল এবার বিল ইউএনও অফিসকে দিতে হবে। পিআইও দপ্তরের কেউ না আসায় ইউএনও দপ্তরের নাজির শাহিন এসে বিল বুঝে নিয়ে গেছেন।’
ইউএনও জাকির বলেন, ‘পিআইও ঢাকায় থাকায় আমি শাহিনকে বলেছিলাম বিল এনে আমাদের দপ্তরে রাখতে। সে বুঝতে না পেরে টাকা তুলে এনেছে। এটা প্রসিডিয়াল মিসটেক হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৭ টাকা তোলা হয়েছিল। আমরা ৮টি প্রকল্পের সভাপতিকে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৮ টাকা দিয়েছি। বাকি ৫৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৯ টাকা চালান রসিদের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।’
সোনালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপক শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হিসাবরক্ষক দপ্তরের স্বাক্ষর থাকলে আমরা টাকা দিয়ে দেব। প্রকল্পের সভাপতির স্বাক্ষর ব্যাংকে দরকার হয় না।’ পরে তিনি বলেন, ‘৫৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৯ টাকা ব্যাংকের কোষাগারে জমা হয়ে গেছে।’
সোনালী ব্যাংক যশোর করপোরেট শাখার (দক্ষিণ) ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মনিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের সভাপতিদের না জানিয়ে ৫১টি প্রকল্পের শেষ কিস্তির ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা তুলেছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন। গত মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপক শামছুদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় নিজ দপ্তরের নাজির শাহিন হোসেনকে দিয়ে এ টাকা তোলেন তিনি।
বিষয়টি স্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, বিল আনতে বলা হয়েছিল, ভুলে টাকা তুলে এনেছে নাজির।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, টিআর বা কাবিটার কোনো প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে প্রকল্পের সভাপতিদের অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়। এরপর কাজ শেষ হলে পিআইও অফিস কাজ দেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদন পেয়ে বাকি টাকা ছাড়ের জন্য ইউএনও এবং সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষর হয়ে বিল চলে যায় উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরে। সেখান থেকে টাকা ছাড় হয়ে বিল পিআইও দপ্তরে আসে। এরপর প্রকল্পের সভাপতি পিআইও দপ্তরে গিয়ে বিলে ৫টি স্বাক্ষর করেন। শেষে পিআইও বিলের কাগজ সত্যায়িত করলে সভাপতি সেটি নিয়ে সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় গেলে ব্যাংক যাচাই করে টাকা দেয়।
পিআইও দপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের টিআর ও কাবিটার ৫১টি প্রকল্পের শেষ কিস্তির যে টাকা ইউএনও তাঁর নাজিরকে দিয়ে সোনালী ব্যাংকের মনিরামপুর শাখা থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে উত্তোলন করেছেন, সেখানে প্রকল্পের সভাপতি ও পিআইও কারও স্বাক্ষর নেই।
সূত্রটি বলছে, পিআইও দপ্তরের লোক মঙ্গলবার বিল অনুমোদনের জন্য হিসাবরক্ষক দপ্তরে গেলে তাঁদের কাছে বিলের কাগজ দেওয়া হয়নি। ইউএনও দপ্তরের নাজির শাহিনের কাছে বিলের কাগজ দেওয়া হয়েছে। এরপর টিআরের ২৯টি ও কাবিটার ২২টি বিল বুঝে পেলাম মর্মে সেখানে স্বাক্ষর করেন নাজির শাহিন হোসেন।
ইউএনওর টাকা উত্তোলন নিয়ে কথা হয়েছে খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, ভোজগাতী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মনিরামপুর সদর ইউপির চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, রোহিতা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তাঁরা ইউএনও অফিস টাকা তুলে নেওয়ার কথা শুনেছেন জানিয়ে বলেন, এই বিষয়ে সেখান থেকে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, ‘আমি দুই দিন ধরে ঢাকায় আছি। শুনেছি, প্রকল্পের সভাপতিদের স্বাক্ষর বাদে টিআর ও কাবিটার ৫১টি প্রকল্পের শেষ কিস্তির টাকা ওঠানো হয়েছে। এই ৫১টির বিলে আমার সত্যায়িত স্বাক্ষর নেই।’
উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘মঙ্গলবার বিল ছাড়ার শেষ দিন ছিল। সোমবার আমাকে জানানো হয়েছিল এবার বিল ইউএনও অফিসকে দিতে হবে। পিআইও দপ্তরের কেউ না আসায় ইউএনও দপ্তরের নাজির শাহিন এসে বিল বুঝে নিয়ে গেছেন।’
ইউএনও জাকির বলেন, ‘পিআইও ঢাকায় থাকায় আমি শাহিনকে বলেছিলাম বিল এনে আমাদের দপ্তরে রাখতে। সে বুঝতে না পেরে টাকা তুলে এনেছে। এটা প্রসিডিয়াল মিসটেক হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৭ টাকা তোলা হয়েছিল। আমরা ৮টি প্রকল্পের সভাপতিকে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৮ টাকা দিয়েছি। বাকি ৫৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৯ টাকা চালান রসিদের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।’
সোনালী ব্যাংক মনিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপক শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হিসাবরক্ষক দপ্তরের স্বাক্ষর থাকলে আমরা টাকা দিয়ে দেব। প্রকল্পের সভাপতির স্বাক্ষর ব্যাংকে দরকার হয় না।’ পরে তিনি বলেন, ‘৫৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৯ টাকা ব্যাংকের কোষাগারে জমা হয়ে গেছে।’
সোনালী ব্যাংক যশোর করপোরেট শাখার (দক্ষিণ) ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মনিরামপুর শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে