তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। সংস্থাটির গত ১২ বছরে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেশ কিছু প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর অভিজাত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট বানিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর সাধারণ মানুষের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। ওই ফ্ল্যাটগুলো বানানোর ক্ষেত্রে গুণগত মানও রক্ষা করা হয়নি। কিন্তু দাম ধরা হয় বেশি।
এ ছাড়া সংস্থাটির সব প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাগৃকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা কোটা থাকে। এ ক্ষেত্রে জাগৃকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটা ৫ শতাংশ আর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটা ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর বাইরেও সব প্রকল্পে অন্যান্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আরও ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারিত। সব মিলিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ চলে যায় কোটায়। এসবই সরকারের গৃহায়ণ নীতিমালার পরিপন্থী কাজ বলে মনে করেন পরিকল্পনাবিদেরা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাগৃক বিশেষ মানুষের জন্য অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ফ্ল্যাট বানাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা আলাদা কেন? সব নাগরিকের জন্য প্রকল্প করা হলে তো তারাও সবাই পাবে।’
জাগৃকের সদস্য (পরিকল্পনা ও বিশেষ প্রকল্প) বিজয় কুমার মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘আমরা তো সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্যই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকি। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক ফ্ল্যাট প্রকল্প করা হয়। তবে তা খুব বেশি হবে না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার লালমাটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১০টি ভবনে মোট ১৫৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট থেকে শুরু করে ২ হাজার ৪০০ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাট ২০২০ সালে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। লালমাটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রকল্পও শেষ করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের মোট ১৮২টি ফ্ল্যাট আছে। মিরপুরে বছর দশেক আগে জাগৃক একটি ফ্ল্যাট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। মিরপুর ১ ও ২ নম্বর সেকশনের মাঝামাঝি স্থানে নান্দনিক পরিবেশে ওই প্রকল্পে ১ হাজার ৩৩৬ বর্গফুট আয়তনের মোট ৩৬০টি ফ্ল্যাট সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। লালমাটিয়া এলাকায় বছর চারেক আগে ‘৮৮ ফ্ল্যাট প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সম্প্রতি শেষ হওয়া এ প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটগুলোও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। একইভাবে লালমাটিয়া এলাকায় নতুন করে ‘৫৪ ফ্ল্যাট প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট আয়তনের ওই ফ্ল্যাটগুলো শুধু জাগৃকের কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাগৃক ঢাকা বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নুর বলেন, ‘এখন শুধু কর্মচারীদের ৫৪ ফ্ল্যাট প্রকল্পটির দখল হস্তান্তরের কাজ চলমান। এখানে এখন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট আর কোনো প্রকল্প নেই।’
জানা যায়, লালমাটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৮২ ফ্ল্যাট প্রকল্পে প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। একই সংস্থার সাধারণ মানুষের জন্য আরও কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মোহাম্মদপুরে দোলনচাঁপা-কনকচাঁপা ফ্ল্যাট প্রকল্পে প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা। একইভাবে মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের স্বপ্ননগর-২ আবাসিক প্রকল্পেও প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ফ্ল্যাটের দাম রেট শিডিউলের জন্য কমবেশি হয়ে থাকতে পারে। এখানে কোনো বিশেষ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার মতো কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না।’
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের জয়নগর এলাকায়ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৫২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটগুলো গত বছর বরাদ্দ দেওয়া শেষ হয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর হাউজিং এস্টেটের আওতায় জাগৃকের কর্মচারীদের জন্য আরও ৫৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পও পরিকল্পনায় আছে।
জাগৃকের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারিভাবে সারা দেশে প্লট ও ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জাগৃক। সাধারণ মানুষের চেয়ে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফ্ল্যাট বানানো হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে তাদের কাছে। আবার সংস্থাটির সব প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে আলাদাভাবে জাগৃক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কোটায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব প্রকল্পে মন্ত্রী বা সরকারের জন্য ২০ শতাংশ কোটা আছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ চলে যায় কোটায়। এরপরও বিশেষভাবে ফ্ল্যাট বানিয়ে তা বিক্রি করায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মূল কাজ হচ্ছে সব মানুষের জন্য আবাসন তৈরি করা। তাদের কোনো বিশেষ শ্রেণি-পেশা বা মানুষের জন্য প্রকল্প করার কথা নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শুধু আলাদা গুরুত্ব পেতে পারে। কিন্তু এখন যা করা হচ্ছে তা গৃহায়ণ নীতিমালার পরিপন্থী।
মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। সংস্থাটির গত ১২ বছরে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেশ কিছু প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর অভিজাত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট বানিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর সাধারণ মানুষের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। ওই ফ্ল্যাটগুলো বানানোর ক্ষেত্রে গুণগত মানও রক্ষা করা হয়নি। কিন্তু দাম ধরা হয় বেশি।
এ ছাড়া সংস্থাটির সব প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাগৃকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা কোটা থাকে। এ ক্ষেত্রে জাগৃকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটা ৫ শতাংশ আর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটা ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর বাইরেও সব প্রকল্পে অন্যান্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আরও ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারিত। সব মিলিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ চলে যায় কোটায়। এসবই সরকারের গৃহায়ণ নীতিমালার পরিপন্থী কাজ বলে মনে করেন পরিকল্পনাবিদেরা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাগৃক বিশেষ মানুষের জন্য অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ফ্ল্যাট বানাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা আলাদা কেন? সব নাগরিকের জন্য প্রকল্প করা হলে তো তারাও সবাই পাবে।’
জাগৃকের সদস্য (পরিকল্পনা ও বিশেষ প্রকল্প) বিজয় কুমার মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘আমরা তো সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্যই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকি। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক ফ্ল্যাট প্রকল্প করা হয়। তবে তা খুব বেশি হবে না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার লালমাটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১০টি ভবনে মোট ১৫৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট থেকে শুরু করে ২ হাজার ৪০০ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাট ২০২০ সালে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। লালমাটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রকল্পও শেষ করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের মোট ১৮২টি ফ্ল্যাট আছে। মিরপুরে বছর দশেক আগে জাগৃক একটি ফ্ল্যাট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। মিরপুর ১ ও ২ নম্বর সেকশনের মাঝামাঝি স্থানে নান্দনিক পরিবেশে ওই প্রকল্পে ১ হাজার ৩৩৬ বর্গফুট আয়তনের মোট ৩৬০টি ফ্ল্যাট সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। লালমাটিয়া এলাকায় বছর চারেক আগে ‘৮৮ ফ্ল্যাট প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সম্প্রতি শেষ হওয়া এ প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটগুলোও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। একইভাবে লালমাটিয়া এলাকায় নতুন করে ‘৫৪ ফ্ল্যাট প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট আয়তনের ওই ফ্ল্যাটগুলো শুধু জাগৃকের কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাগৃক ঢাকা বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নুর বলেন, ‘এখন শুধু কর্মচারীদের ৫৪ ফ্ল্যাট প্রকল্পটির দখল হস্তান্তরের কাজ চলমান। এখানে এখন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট আর কোনো প্রকল্প নেই।’
জানা যায়, লালমাটিয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৮২ ফ্ল্যাট প্রকল্পে প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। একই সংস্থার সাধারণ মানুষের জন্য আরও কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মোহাম্মদপুরে দোলনচাঁপা-কনকচাঁপা ফ্ল্যাট প্রকল্পে প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা। একইভাবে মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের স্বপ্ননগর-২ আবাসিক প্রকল্পেও প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ফ্ল্যাটের দাম রেট শিডিউলের জন্য কমবেশি হয়ে থাকতে পারে। এখানে কোনো বিশেষ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার মতো কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না।’
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের জয়নগর এলাকায়ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৫২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটগুলো গত বছর বরাদ্দ দেওয়া শেষ হয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর হাউজিং এস্টেটের আওতায় জাগৃকের কর্মচারীদের জন্য আরও ৫৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পও পরিকল্পনায় আছে।
জাগৃকের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারিভাবে সারা দেশে প্লট ও ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জাগৃক। সাধারণ মানুষের চেয়ে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফ্ল্যাট বানানো হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে তাদের কাছে। আবার সংস্থাটির সব প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে আলাদাভাবে জাগৃক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কোটায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব প্রকল্পে মন্ত্রী বা সরকারের জন্য ২০ শতাংশ কোটা আছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ চলে যায় কোটায়। এরপরও বিশেষভাবে ফ্ল্যাট বানিয়ে তা বিক্রি করায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মূল কাজ হচ্ছে সব মানুষের জন্য আবাসন তৈরি করা। তাদের কোনো বিশেষ শ্রেণি-পেশা বা মানুষের জন্য প্রকল্প করার কথা নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শুধু আলাদা গুরুত্ব পেতে পারে। কিন্তু এখন যা করা হচ্ছে তা গৃহায়ণ নীতিমালার পরিপন্থী।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে