আরমান হোসেন, বগুড়া থেকে ফিরে
নবান্ন উৎসবের সঙ্গে আমাদের পরিচয় সেই আবহমানকাল ধরে। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ কি আর এমনিতেই বলা হয়? নবান্ন থেকে পয়লা বৈশাখ—বাংলার উৎসবের যেন শেষ নেই। গ্রামবাংলার সেই পুরোনো উৎসব দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি গ্রাম—শালগ্রাম। অগ্রহায়ণের প্রথম দিনকে ঘিরে এই গ্রামে এত সব আয়োজন হয়, যা দেখলে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যাবে যে কারও। ঘরে ঘরে আমন ধান ওঠার পর থেকেই শালগ্রামে শুরু হয় নবান্নের প্রস্তুতি। এখানকার এই উৎসব আজকালের নয়, রীতিমতো শতাব্দীপ্রাচীন।
প্রায় সাত হাজার মানুষের বাস গ্রামটিতে। মানুষে-মানুষে এখনো আত্মিক সম্পর্ক টিকে আছে। নবান্ন এলে যেন উৎসব শুরু হয় ঘরে ঘরে। আত্মীয়স্বজনের আগমনে উৎসব হয়ে ওঠে মিলনমেলায়। কোনো কোনো বাড়িতে তো আত্মীয়দের আসা শুরু হয় আরও দিন দুয়েক আগে থেকে। সব মিলিয়ে নবান্নের দিন এই গ্রামের পুরো ছবি বদলে যায়। বাড়ি বাড়ি উৎসবের আমেজ। পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে বসে বিভিন্ন খাবারের দোকান। দিনব্যাপী চলে নানা আয়োজন।
নবান্নের দিন নতুন চালের ভাত আর মহিষের মাংস খাওয়া শালগ্রামের পুরোনো রীতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবান্ন উপলক্ষে শালগ্রামে এবার শুধু মহিষই জবাই হয়েছে ৮টি। বিশালাকৃতির এই মহিষগুলোর দাম গড়ে ২ লাখ টাকারও বেশি। পাশাপাশি জবাই হয়েছে ১২টি গরু। গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় এবার গত সপ্তাহের সোমবার রাত থেকে নবান্নের আয়োজন শুরু হয়ে যায়। গত বুধবার পর্যন্ত চলে এ আয়োজন।
মহিষের মাংসের সঙ্গে নবান্নের দিনে এই গ্রামের আরেকটি বিশেষায়িত খাবার আটাগোলা শিরনি। কলা, গুড় আর আটার সমন্বয়ে তৈরি হয় এ খাবার। সঙ্গে পিঠা-পুলি, ক্ষীর পায়েস আর নাড়ুর আয়োজন তো আছেই। শুধুই কি খাবারের এলাহি আয়োজন? মোটেও নয়।
নবান্ন উপলক্ষে খুব সকাল থেকে গ্রামের প্রতিটি পাড়ায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে গ্রাম্য বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন হয়। আর রাতে কোথাও বাউল গান, কোথাও যাত্রাপালা, কোথাও-বা লোকজ সংস্কৃতির আসর বসে। কোনো প্রান্তে আবার আধুনিক বাংলা গানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে এসব অনুষ্ঠান চলে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত।
স্থানীয় তরুণ সাজিদ হাসান বলেন, ‘দুই ঈদ মিলিয়ে যে আয়োজন হয় না, এক নবান্নে সেই আয়োজন হয় শালগ্রামে।’
শালগ্রামে এ উৎসব দিন দিন যেন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে এর শুরুটা কীভাবে? গ্রামের প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরাও ঠিক নিশ্চিত নন, ঠিক কবে থেকে এখানে এমন উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, তাঁদের বাবা-দাদারাও এমন আয়োজন করেছেন।
৭০ বছর বয়সী একরামুল হক বলেন, ‘আমি সেই ছোট থেকে দেখে আসছি, এমন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই এ গ্রামে নবান্ন হয়। তবে আগে আয়োজনের ধরনটা এমন ছিল না। তখন বাড়ি বাড়ি আত্মীয়স্বজনের বেড়াতে আসা আর নতুন চালের ভাতের সঙ্গে মাংসের ভোজ দিয়েই নবান্ন পালন করা হতো। ধীরে ধীরে আয়োজনে বৈচিত্র্য বেড়েছে।’
নবান্ন উৎসবের সঙ্গে আমাদের পরিচয় সেই আবহমানকাল ধরে। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ কি আর এমনিতেই বলা হয়? নবান্ন থেকে পয়লা বৈশাখ—বাংলার উৎসবের যেন শেষ নেই। গ্রামবাংলার সেই পুরোনো উৎসব দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি গ্রাম—শালগ্রাম। অগ্রহায়ণের প্রথম দিনকে ঘিরে এই গ্রামে এত সব আয়োজন হয়, যা দেখলে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যাবে যে কারও। ঘরে ঘরে আমন ধান ওঠার পর থেকেই শালগ্রামে শুরু হয় নবান্নের প্রস্তুতি। এখানকার এই উৎসব আজকালের নয়, রীতিমতো শতাব্দীপ্রাচীন।
প্রায় সাত হাজার মানুষের বাস গ্রামটিতে। মানুষে-মানুষে এখনো আত্মিক সম্পর্ক টিকে আছে। নবান্ন এলে যেন উৎসব শুরু হয় ঘরে ঘরে। আত্মীয়স্বজনের আগমনে উৎসব হয়ে ওঠে মিলনমেলায়। কোনো কোনো বাড়িতে তো আত্মীয়দের আসা শুরু হয় আরও দিন দুয়েক আগে থেকে। সব মিলিয়ে নবান্নের দিন এই গ্রামের পুরো ছবি বদলে যায়। বাড়ি বাড়ি উৎসবের আমেজ। পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে বসে বিভিন্ন খাবারের দোকান। দিনব্যাপী চলে নানা আয়োজন।
নবান্নের দিন নতুন চালের ভাত আর মহিষের মাংস খাওয়া শালগ্রামের পুরোনো রীতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবান্ন উপলক্ষে শালগ্রামে এবার শুধু মহিষই জবাই হয়েছে ৮টি। বিশালাকৃতির এই মহিষগুলোর দাম গড়ে ২ লাখ টাকারও বেশি। পাশাপাশি জবাই হয়েছে ১২টি গরু। গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় এবার গত সপ্তাহের সোমবার রাত থেকে নবান্নের আয়োজন শুরু হয়ে যায়। গত বুধবার পর্যন্ত চলে এ আয়োজন।
মহিষের মাংসের সঙ্গে নবান্নের দিনে এই গ্রামের আরেকটি বিশেষায়িত খাবার আটাগোলা শিরনি। কলা, গুড় আর আটার সমন্বয়ে তৈরি হয় এ খাবার। সঙ্গে পিঠা-পুলি, ক্ষীর পায়েস আর নাড়ুর আয়োজন তো আছেই। শুধুই কি খাবারের এলাহি আয়োজন? মোটেও নয়।
নবান্ন উপলক্ষে খুব সকাল থেকে গ্রামের প্রতিটি পাড়ায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে গ্রাম্য বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন হয়। আর রাতে কোথাও বাউল গান, কোথাও যাত্রাপালা, কোথাও-বা লোকজ সংস্কৃতির আসর বসে। কোনো প্রান্তে আবার আধুনিক বাংলা গানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে এসব অনুষ্ঠান চলে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত।
স্থানীয় তরুণ সাজিদ হাসান বলেন, ‘দুই ঈদ মিলিয়ে যে আয়োজন হয় না, এক নবান্নে সেই আয়োজন হয় শালগ্রামে।’
শালগ্রামে এ উৎসব দিন দিন যেন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে এর শুরুটা কীভাবে? গ্রামের প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরাও ঠিক নিশ্চিত নন, ঠিক কবে থেকে এখানে এমন উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, তাঁদের বাবা-দাদারাও এমন আয়োজন করেছেন।
৭০ বছর বয়সী একরামুল হক বলেন, ‘আমি সেই ছোট থেকে দেখে আসছি, এমন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই এ গ্রামে নবান্ন হয়। তবে আগে আয়োজনের ধরনটা এমন ছিল না। তখন বাড়ি বাড়ি আত্মীয়স্বজনের বেড়াতে আসা আর নতুন চালের ভাতের সঙ্গে মাংসের ভোজ দিয়েই নবান্ন পালন করা হতো। ধীরে ধীরে আয়োজনে বৈচিত্র্য বেড়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১৯ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে