শাহীন রহমান, পাবনা
ঋণ পরিশোধ করেও জেলে গিয়েছিলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়ইমারী গ্রামের সেই কৃষকদের এমন দাবি মিথ্যা। এতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়মের প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে ঋণের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মামলা চলবে।
দেশব্যাপী আলোচিত ঋণখেলাপি মামলায় ১২ কৃষককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান সমবায় ব্যাংকের ডিজিএম আহসানুল গনি। এর আগে বুধবার ঋণ গ্রহীতা কৃষকদের দায়ী করে এ তদন্ত প্রতিবেদন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের কাছে জমা দেওয়া হয়।
আহসানুল গনি বলেন, কৃষকেরা নির্দোষ হলে তো মামলাই হতো না। উনারা সময়মতো টাকা পরিশোধ না করাতেই মামলা হয়েছিল এবং তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধ করেও জেলে গেছেন, কৃষকদের এমন অভিযোগ সত্য নয়।
আহসানুল গনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর গাফিলতি আছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো দোষ পাইনি।’ কৃষকেরা সমিতির সভাপতির কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন, কিন্তু কোনো রসিদ দেখাতে পারেননি। কৃষকদের সমিতির সভাপতি বা সেক্রেটারির গাফিলতি থাকতে পারে।
মামলা-পরবর্তী পদক্ষেপ কেমন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আহসানুল গনি বলেন, কৃষকেরা অথবা অন্য কেউ যদি টাকা পরিশোধ করেন তাহলে মামলা প্রত্যাহার হবে, না হলে মামলা চলবে।
তদন্ত কমিটির এই প্রধান বলেন, ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজিচাষি সমবায় সমিতির ৪০ কৃষককে ২০১৬ সালে ১৬ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এক একজন কৃষক ঋণ পান ৪০ হাজার টাকা। নির্ধারিত সময়ে ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ না করায় সমিতির ৩৭ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অভিযুক্ত কৃষকেরা। সমিতির সভানেত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘আমরা ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১৩ লাখ শোধ করেছি।
কিন্তু উনাদের (ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) কাছে নাকি আমাদের আরও ১৩ লাখ টাকা ঋণ আছে। এত টাকা কীভাবে হয়। উনাদের কাছেই তো রসিদ থাকার কথা। কৃষকদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ সুদ কীভাবে তাঁরা দাবি করেন?’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়ইমারী গ্রামের ৪০ কৃষক ওই সমিতির নামে দলগত ঋণ হিসেবে ১৬ লাখ টাকা নেন। এর মধ্যে কেউ ২৫ হাজার, কেউ ৪০ হাজার টাকা করে ঋণ পান। দীর্ঘদিনেও সেই ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ না করায় ২০২১ সালে ৩৭ কৃষকের নামে মামলা করে ব্যাংকটি। সম্প্রতি আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত ২৫ নভেম্বর ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত ২৭ নভেম্বর পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনসহ ৩৭ কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন।
পরে কৃষকদের বিরুদ্ধে ঋণ-সংক্রান্ত মামলা ও ঋণের কিস্তি নিয়ে জটিলতার বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যে তদন্ত কমিটি করে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক।
ঋণ পরিশোধ করেও জেলে গিয়েছিলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়ইমারী গ্রামের সেই কৃষকদের এমন দাবি মিথ্যা। এতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়মের প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে ঋণের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মামলা চলবে।
দেশব্যাপী আলোচিত ঋণখেলাপি মামলায় ১২ কৃষককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান সমবায় ব্যাংকের ডিজিএম আহসানুল গনি। এর আগে বুধবার ঋণ গ্রহীতা কৃষকদের দায়ী করে এ তদন্ত প্রতিবেদন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের কাছে জমা দেওয়া হয়।
আহসানুল গনি বলেন, কৃষকেরা নির্দোষ হলে তো মামলাই হতো না। উনারা সময়মতো টাকা পরিশোধ না করাতেই মামলা হয়েছিল এবং তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধ করেও জেলে গেছেন, কৃষকদের এমন অভিযোগ সত্য নয়।
আহসানুল গনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর গাফিলতি আছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো দোষ পাইনি।’ কৃষকেরা সমিতির সভাপতির কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন, কিন্তু কোনো রসিদ দেখাতে পারেননি। কৃষকদের সমিতির সভাপতি বা সেক্রেটারির গাফিলতি থাকতে পারে।
মামলা-পরবর্তী পদক্ষেপ কেমন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আহসানুল গনি বলেন, কৃষকেরা অথবা অন্য কেউ যদি টাকা পরিশোধ করেন তাহলে মামলা প্রত্যাহার হবে, না হলে মামলা চলবে।
তদন্ত কমিটির এই প্রধান বলেন, ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজিচাষি সমবায় সমিতির ৪০ কৃষককে ২০১৬ সালে ১৬ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এক একজন কৃষক ঋণ পান ৪০ হাজার টাকা। নির্ধারিত সময়ে ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ না করায় সমিতির ৩৭ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অভিযুক্ত কৃষকেরা। সমিতির সভানেত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘আমরা ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১৩ লাখ শোধ করেছি।
কিন্তু উনাদের (ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) কাছে নাকি আমাদের আরও ১৩ লাখ টাকা ঋণ আছে। এত টাকা কীভাবে হয়। উনাদের কাছেই তো রসিদ থাকার কথা। কৃষকদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ সুদ কীভাবে তাঁরা দাবি করেন?’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ঈশ্বরদী উপজেলার ভাড়ইমারী গ্রামের ৪০ কৃষক ওই সমিতির নামে দলগত ঋণ হিসেবে ১৬ লাখ টাকা নেন। এর মধ্যে কেউ ২৫ হাজার, কেউ ৪০ হাজার টাকা করে ঋণ পান। দীর্ঘদিনেও সেই ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ না করায় ২০২১ সালে ৩৭ কৃষকের নামে মামলা করে ব্যাংকটি। সম্প্রতি আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত ২৫ নভেম্বর ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত ২৭ নভেম্বর পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনসহ ৩৭ কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন।
পরে কৃষকদের বিরুদ্ধে ঋণ-সংক্রান্ত মামলা ও ঋণের কিস্তি নিয়ে জটিলতার বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যে তদন্ত কমিটি করে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে