আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢলের পানিতে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নদ-নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অনেকে উঁচু স্থানে ছুটছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেড়েছে দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। ব্রহ্মপুত্র নদ নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে গতকাল লালমনিরহাট দিয়ে প্রবাহিত সব নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানের ঢলে তিস্তা বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছে পাউবো।
কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। প্লাবিত এলাকার বেশ কিছু গ্রামে দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ব্রহ্মপুত্রের আগ্রাসী ভাঙন। এই নদের তীব্র ভাঙনে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরের চর সরকারি আবাসন প্রকল্পের কিছু অংশ নদের গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন-আতঙ্কে বাসিন্দারা আবাসনের ঘরের টিন, ইটসহ নিজেদের গৃহস্থালি সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছেন।
ফকিরের চর আবাসনের রুস্তম আলী, হাকিমুদ্দিন, রাসেল ও আশরাফ জানান, আবাসন প্রকল্পে ৮০টি পরিবার বাস করে। আবাসনের উত্তর পাশে ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এ জন্য তারা ঘরের টিন, ইটসহ সংসারের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, গতকাল পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলায় প্রায় ২১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ২৯৫ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ১০ লাখ টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং গোখাদ্যের জন্য ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। হাঁটু থেকে কোমর পানিতে বন্দী লোকজন রান্না করতে পারছে না। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচলসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। বিদ্যালয় ডুবে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া পোষা প্রাণী গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়েও অসহায় লোকজন।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী ও সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৌলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, কাকিনার রুদ্রেশ্বর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, শনিবারের চেয়ে গতকাল তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদীভাঙন রোধে বিভিন্ন জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
চিলমারী: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ওঠায় উপজেলায় অন্তত ৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চিলমারীতে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। এর মধ্যে উপজেলার রমনা ইউনিয়ন, অষ্টমীর চর, নয়ারহাট, রাণীগঞ্জ ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
নাগেশ্বরী: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বন্য পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানি বেড়েছে দুধকুমার, গঙ্গাধর ও সংকোষ নদীর পানি। পানি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল ছাপিয়ে উঁচু স্থানে প্রবেশ করছে। বাড়িঘরে ঢুকছে পানি। কেউ কেউ বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
বেরুবাড়ী ইউনিয়নের স্লুইসগেট-সংলগ্ন ইসলামপুর, বামনডাঙ্গার মালিয়ানী ও নামাহাইল্যায় পাগলাকুড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তিন দিন ধরে হু হু করে পানি প্রবেশ করছে। প্রতি মুহূর্তে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে নুনখাওয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন পূর্ব কাপনায় শতাধিক ঘরবাড়ি। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় কলার ভেলা ও নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে বন্যার্তদের। বাড়িতে পানে ওঠায় রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
রৌমারী: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইজলামারী সড়ক উপচে নতুন করে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৯১টি গ্রামের প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ। পানি বাড়ায় হলহলী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১১টি বাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি। অনেকে পরিবার উঁচু স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। কেউ কেউ চৌকি উঁচু করে বাড়িতেই আছেন।
ঢলের পানিতে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নদ-নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অনেকে উঁচু স্থানে ছুটছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেড়েছে দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। ব্রহ্মপুত্র নদ নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে গতকাল লালমনিরহাট দিয়ে প্রবাহিত সব নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানের ঢলে তিস্তা বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছে পাউবো।
কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। প্লাবিত এলাকার বেশ কিছু গ্রামে দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ব্রহ্মপুত্রের আগ্রাসী ভাঙন। এই নদের তীব্র ভাঙনে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরের চর সরকারি আবাসন প্রকল্পের কিছু অংশ নদের গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন-আতঙ্কে বাসিন্দারা আবাসনের ঘরের টিন, ইটসহ নিজেদের গৃহস্থালি সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছেন।
ফকিরের চর আবাসনের রুস্তম আলী, হাকিমুদ্দিন, রাসেল ও আশরাফ জানান, আবাসন প্রকল্পে ৮০টি পরিবার বাস করে। আবাসনের উত্তর পাশে ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এ জন্য তারা ঘরের টিন, ইটসহ সংসারের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, গতকাল পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলায় প্রায় ২১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ২৯৫ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ১০ লাখ টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং গোখাদ্যের জন্য ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। হাঁটু থেকে কোমর পানিতে বন্দী লোকজন রান্না করতে পারছে না। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচলসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। বিদ্যালয় ডুবে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া পোষা প্রাণী গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়েও অসহায় লোকজন।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী ও সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৌলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, কাকিনার রুদ্রেশ্বর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, শনিবারের চেয়ে গতকাল তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদীভাঙন রোধে বিভিন্ন জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
চিলমারী: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ওঠায় উপজেলায় অন্তত ৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চিলমারীতে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। এর মধ্যে উপজেলার রমনা ইউনিয়ন, অষ্টমীর চর, নয়ারহাট, রাণীগঞ্জ ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
নাগেশ্বরী: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বন্য পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানি বেড়েছে দুধকুমার, গঙ্গাধর ও সংকোষ নদীর পানি। পানি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল ছাপিয়ে উঁচু স্থানে প্রবেশ করছে। বাড়িঘরে ঢুকছে পানি। কেউ কেউ বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
বেরুবাড়ী ইউনিয়নের স্লুইসগেট-সংলগ্ন ইসলামপুর, বামনডাঙ্গার মালিয়ানী ও নামাহাইল্যায় পাগলাকুড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তিন দিন ধরে হু হু করে পানি প্রবেশ করছে। প্রতি মুহূর্তে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে নুনখাওয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন পূর্ব কাপনায় শতাধিক ঘরবাড়ি। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় কলার ভেলা ও নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে বন্যার্তদের। বাড়িতে পানে ওঠায় রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
রৌমারী: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইজলামারী সড়ক উপচে নতুন করে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৯১টি গ্রামের প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ। পানি বাড়ায় হলহলী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১১টি বাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি। অনেকে পরিবার উঁচু স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। কেউ কেউ চৌকি উঁচু করে বাড়িতেই আছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে