ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেটবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর-৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নয়ন প্রকল্প’। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর সিলেট-তামাবিল প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। দুই প্রকল্পের মেয়াদই প্রায় শেষের দিকে থাকলেও এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি)।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৯৭ দশমিক ২৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। অন্যদিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে ৩৩৫ দশমিক ৭৭ একর ভূমির একটুও অধিগ্রহণ হয়নি। প্রকল্প দুটির জন্য ‘ভূমি অধিগ্রহণ ইউটিলিটি স্থানান্তর’ নামের আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সেটির মেয়াদ দুই বছর এবং ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কাজ না হওয়ার জন্য সিলেটের ডিসিরাই দায়ী। ওরা কাজ করে না। যেখানে অধিগ্রহণ করছে, ওই লোকগুলোরে টাকা দেয় না। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে ৭০০ কোটি টাকাও দিয়েছে ডিসি সাহেবকে। উনি বলেন, দলিলের বালাম বইয়ের পাতা চুরি হওয়ায় চেক করা যাচ্ছে না। বালাম বই চুরি হবে কেন? আমরা এমপিরা শুধু তদবির করতে পারি। ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, ডিসি সাহেবরা আমাদের জমি দেয় না, আমরা টেন্ডার দিতে পারি না। একটা না একটা তারা এক্সকিউজ দেয়। আমাদের জেলা প্রশাসকরা খুব অথর্ব। এ জন্য এত দেরি।’
মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘এখন যে সময় বাকি আছে, তাতে কাজ শেষ হওয়ার কথা নয়।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ যেভাবে এগিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অগ্রগতির সঙ্গে আমরা তাল মিলাতে পারছি না। এর পেছনে প্রথমত আমাদের জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতা আর বৈষম্যের একটা বিষয় আছে। আমরা বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও দেখি।’
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জন্য এডিবি ঋণ দেওয়ার কথা ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সিলেট-তামাবিলে ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে এআইআইবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অবশিষ্ট ৬১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। একনেক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার এলাকা চার লেনে উন্নীতকরণ এবং নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ সম্প্রসারণ প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেয়।
কাজ না হওয়ার জন্য সিলেটের ডিসিরাই দায়ী। ওরা কাজ করে না। যেখানে অধিগ্রহণ করছে, ওই লোকগুলোরে টাকা দেয় না। ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সংসদ সদস্য, সিলেট-১
ঢাকা-সিলেট-তামাবিল রোড এশিয়ান হাইওয়ে-১ এর একটি অংশ, যা বাংলাদেশের সঙ্গে এবং পাশাপাশি তামাবিল-সিলেট-কাঁচপুর-ঢাকা-যশোর-বেনাপোল হয়ে ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক সম্প্রসারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস স্থানান্তরের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। দুই দফা সংশোধনে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ‘সর্বসাকুল্যে কাজের অগ্রগতি ১০ ভাগ। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারছি না।’ সিলেট-তামাবিল প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘এখনো আমরা এক ছটাক ভূমিও পাইনি। আশা করছি, আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমি পাওয়া শুরু হবে।’
ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প পরিচালক এবং সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফজলে রব্বে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ জটিল ও স্পর্শকাতর প্রক্রিয়া। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে না, কোনো পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি নেই। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘দুইটা অংশে টোটাল ৪৩টি মামলা চলমান। জমির মালিকদের কিছু আপত্তি আছে। সিলেটে ১৩টি মামলার সমাধান হয়ে গেলে খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এগুলোও প্রায় শেষের দিকে। বাকি ৩০টি ধারাবাহিকভাবে যে পর্যায়ে যে থাকার কথা, সেভাবে চলতেছে। আমাদের ক্যাপাসিটি ও জনবল অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’
সিলেটবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর-৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নয়ন প্রকল্প’। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর সিলেট-তামাবিল প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। দুই প্রকল্পের মেয়াদই প্রায় শেষের দিকে থাকলেও এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি)।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৯৭ দশমিক ২৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। অন্যদিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে ৩৩৫ দশমিক ৭৭ একর ভূমির একটুও অধিগ্রহণ হয়নি। প্রকল্প দুটির জন্য ‘ভূমি অধিগ্রহণ ইউটিলিটি স্থানান্তর’ নামের আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সেটির মেয়াদ দুই বছর এবং ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কাজ না হওয়ার জন্য সিলেটের ডিসিরাই দায়ী। ওরা কাজ করে না। যেখানে অধিগ্রহণ করছে, ওই লোকগুলোরে টাকা দেয় না। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে ৭০০ কোটি টাকাও দিয়েছে ডিসি সাহেবকে। উনি বলেন, দলিলের বালাম বইয়ের পাতা চুরি হওয়ায় চেক করা যাচ্ছে না। বালাম বই চুরি হবে কেন? আমরা এমপিরা শুধু তদবির করতে পারি। ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, ডিসি সাহেবরা আমাদের জমি দেয় না, আমরা টেন্ডার দিতে পারি না। একটা না একটা তারা এক্সকিউজ দেয়। আমাদের জেলা প্রশাসকরা খুব অথর্ব। এ জন্য এত দেরি।’
মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘এখন যে সময় বাকি আছে, তাতে কাজ শেষ হওয়ার কথা নয়।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ যেভাবে এগিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অগ্রগতির সঙ্গে আমরা তাল মিলাতে পারছি না। এর পেছনে প্রথমত আমাদের জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতা আর বৈষম্যের একটা বিষয় আছে। আমরা বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও দেখি।’
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জন্য এডিবি ঋণ দেওয়ার কথা ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সিলেট-তামাবিলে ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে এআইআইবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অবশিষ্ট ৬১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। একনেক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার এলাকা চার লেনে উন্নীতকরণ এবং নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ সম্প্রসারণ প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেয়।
কাজ না হওয়ার জন্য সিলেটের ডিসিরাই দায়ী। ওরা কাজ করে না। যেখানে অধিগ্রহণ করছে, ওই লোকগুলোরে টাকা দেয় না। ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সংসদ সদস্য, সিলেট-১
ঢাকা-সিলেট-তামাবিল রোড এশিয়ান হাইওয়ে-১ এর একটি অংশ, যা বাংলাদেশের সঙ্গে এবং পাশাপাশি তামাবিল-সিলেট-কাঁচপুর-ঢাকা-যশোর-বেনাপোল হয়ে ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক সম্প্রসারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস স্থানান্তরের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। দুই দফা সংশোধনে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ‘সর্বসাকুল্যে কাজের অগ্রগতি ১০ ভাগ। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারছি না।’ সিলেট-তামাবিল প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘এখনো আমরা এক ছটাক ভূমিও পাইনি। আশা করছি, আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমি পাওয়া শুরু হবে।’
ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প পরিচালক এবং সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফজলে রব্বে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ জটিল ও স্পর্শকাতর প্রক্রিয়া। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে না, কোনো পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি নেই। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘দুইটা অংশে টোটাল ৪৩টি মামলা চলমান। জমির মালিকদের কিছু আপত্তি আছে। সিলেটে ১৩টি মামলার সমাধান হয়ে গেলে খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এগুলোও প্রায় শেষের দিকে। বাকি ৩০টি ধারাবাহিকভাবে যে পর্যায়ে যে থাকার কথা, সেভাবে চলতেছে। আমাদের ক্যাপাসিটি ও জনবল অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে