ফারুক মেহেদী, দোহা (কাতার) থেকে
ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ অর্থনীতির নতুন রূপান্তর পর্বে আছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাসনির্ভর দেশ কাতার। গত কয়েক বছরে কাতারের আর্থসামাজিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে বিশ্বে বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হতে যাচ্ছে দেশটি। করোনার ধাক্কা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও কাতার ২০২১ ও ২০২২ সময়ে একটি ভারসাম্যমূলক জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। কাতার সরকার ২০৩০ সালের বহুমাত্রিক ও জ্ঞানভিত্তিক উন্নত কাতার বিনির্মাণের লক্ষ্যে তৈরি কৌশলপত্র মেনে এগিয়ে চলছে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে ২২৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, উৎপাদন খাত, পর্যটন, সেবা ও কর্মসংস্থান খাতে যে সম্ভাবনার আভাস তৈরি করেছে, তা কাতারকে টেকসই উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে বিশ্বখ্যাত অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। কাতারে বাংলাদেশের প্রবাসীরা মনে করেন, কাতার সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। বিশ্বকাপ ফুটবলকে উপলক্ষ করে কাতারের অর্থনীতিতে বড় সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। দেশটি বিশ্বের নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে জেগে উঠছে। বাংলাদেশও এ সুযোগ থেকে সুবিধা নিতে পারবে।
কাতার এখন সর্বত্র অবকাঠামো উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শত শত প্রশস্ত সড়ক নির্মিত হয়েছে। চারদিকে ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। শত শত উন্নত হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের অফিস খুলেছে। কাতারের সর্বত্র বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলোর আউটলেট আছে।
শহরের দক্ষিণে বরকাতুল আমির নামক স্থানে বিশাল শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা আনিসুর রহমান প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটের প্লট বরাদ্দ পেয়ে অবকাঠামো গড়ে তুলছেন। তিনি মূলত জেনারেটর সরবরাহকারী হিসেবে কাতারে বহুল পরিচিত। বিশ্বকাপ উপলক্ষে তৈরি বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও ফাইভ স্টার-থ্রি স্টার হোটেলে জেনারেটর সরবরাহ করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান।
আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে অবকাঠামো উন্নয়ন করলেও দেশটি মূলত দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়নের একটি ভিত্তি তৈরি করেছে। এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন। নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। কাতার সরকার নিজেদের উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বিশ্বকাপের পর আরও নানা কর্মকাণ্ড হবে। তখন পর্যটন খাতের প্রবৃদ্ধি আরও বেগবান হবে।
আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াংয়ের প্রতিবেদন বলছে, কাতারে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ফলে নির্মাণ খাতে ৩২ শতাংশ ও কর্মসংস্থানে ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কাতারের মেগা প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই নির্মাণ শেষ হয়েছে, সামনে কয়েক মাসে কিছু শেষ হবে। সামনে আসছে শার্ক ক্রসিং, বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ এবং লুসাইল সিটি সম্প্রসারণের জন্য আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প। এগুলো কাতারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং।
কাতারের একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখায় কাজ করেন বাংলাদেশি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বহুমাত্রিক কাজের মধ্য দিয়ে একটি নতুন কাতার গড়ে তোলার কাজ চলছে। এসব পদক্ষেপের ফলে বিশ্বে কাতার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন গন্তব্য হয়ে উঠবে। কাতার এখন বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ হয়েছে। তাদের ধর্মীয় রক্ষণশীলতার প্রভাব ভিনদেশিদের মধ্যে পড়ছে না। সবাই তাঁর নিজ নিজ সংস্কৃতি অনুযায়ী চলতে পারছে। এখানের শীর্ষ নেতৃত্ব আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বলে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব পড়ছে কাতারের সার্বিক অগ্রযাত্রায়। এর সুফল নিতে পারে বাংলাদেশও। এখন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে বাংলাদেশ অভিজ্ঞ, দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারে। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় অংশগ্রহণসহ নানা খাতের সুবিধা নিতে পারে।
কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ বলেন, কাতারকে এখন শুধু আরব দেশ বিবেচনা করলে ভুল হবে। শত সমালোচনা পেছনে ফেলে দেশটির সরকার দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করছে। একটি দেশ কীভাবে তার সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়নের পথে এগুতে পারে, কাতার তার বড় উদাহরণ।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, শুধু বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরেই পর্যটন খাতে কাতারের ৪০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হবে, যার ৮৫ শতাংশই পাবে সরাসরি কাতার সরকার। আর দীর্ঘ মেয়াদেও এর অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। কাতারের পর্যটন খাতে সেবা দিচ্ছেন মো. আশিক। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ঘিরে কাতার যেভাবে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করেছে, এটা অকল্পনীয়। একজন পর্যটক যে কাজেই কাতারে আসুক না কেন, সে অবশ্যই ডেজার্ট সাফারি করে। কারণ, আরব দেশে এলে সবাই মনে করে মরুভূমিতে বালির পাহাড়ে গাড়ি করে না ঘুরলে আসাটা পূর্ণ হয় না। এখন বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়। দিনরাত সেবা দিতে হচ্ছে ওদের। ব্যবসা খুবই জমজমাট। একজন পর্যটককে এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অন্তত ৪ গুণ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এটা কাতারের জন্য লাভজনক। সামনে অনেকগুলো বিশ্বমানের ইভেন্ট করবে কাতার। সেটি হলে কাতারে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকবে। এটা দেশটির অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখবে।
কাতার এখন শাকসবজি ও দুগ্ধ উৎপাদনেও বেশ মনোযোগ দিয়েছে। কাতার মরুভূমির দেশ হলেও এখন গ্রিনহাউসের সুবিধা নিয়ে শাকসবজি উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। অবরোধের সময় বিদেশ থেকে গাভি এনে দুগ্ধ উৎপাদন শুরু করে। দেশটি এখন দুধেও প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পোলট্রিশিল্পেও বেশ উন্নতি করেছে কাতার। নিজেদের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পোলট্রি কাতার নিজেই জোগান দিতে পারছে। চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ ডিম কাতারেই উৎপাদিত হয়। একসময় এসবের জন্য কাতারকে অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো।
সব মিলিয়ে কাতার অর্থনীতিতে নতুন উচ্চতায় যাচ্ছে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতি কাতারের একটি সহানুভূতি আছে। দেশটি চায়, এই বদলে পাশে থেকে যুক্ত থাকুক বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের জন্য সুযোগ-সম্ভাবনা সেখানেই।
ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ অর্থনীতির নতুন রূপান্তর পর্বে আছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাসনির্ভর দেশ কাতার। গত কয়েক বছরে কাতারের আর্থসামাজিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে বিশ্বে বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হতে যাচ্ছে দেশটি। করোনার ধাক্কা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও কাতার ২০২১ ও ২০২২ সময়ে একটি ভারসাম্যমূলক জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। কাতার সরকার ২০৩০ সালের বহুমাত্রিক ও জ্ঞানভিত্তিক উন্নত কাতার বিনির্মাণের লক্ষ্যে তৈরি কৌশলপত্র মেনে এগিয়ে চলছে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে ২২৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, উৎপাদন খাত, পর্যটন, সেবা ও কর্মসংস্থান খাতে যে সম্ভাবনার আভাস তৈরি করেছে, তা কাতারকে টেকসই উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে বিশ্বখ্যাত অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। কাতারে বাংলাদেশের প্রবাসীরা মনে করেন, কাতার সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। বিশ্বকাপ ফুটবলকে উপলক্ষ করে কাতারের অর্থনীতিতে বড় সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। দেশটি বিশ্বের নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে জেগে উঠছে। বাংলাদেশও এ সুযোগ থেকে সুবিধা নিতে পারবে।
কাতার এখন সর্বত্র অবকাঠামো উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শত শত প্রশস্ত সড়ক নির্মিত হয়েছে। চারদিকে ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। শত শত উন্নত হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের অফিস খুলেছে। কাতারের সর্বত্র বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলোর আউটলেট আছে।
শহরের দক্ষিণে বরকাতুল আমির নামক স্থানে বিশাল শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা আনিসুর রহমান প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটের প্লট বরাদ্দ পেয়ে অবকাঠামো গড়ে তুলছেন। তিনি মূলত জেনারেটর সরবরাহকারী হিসেবে কাতারে বহুল পরিচিত। বিশ্বকাপ উপলক্ষে তৈরি বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও ফাইভ স্টার-থ্রি স্টার হোটেলে জেনারেটর সরবরাহ করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান।
আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে অবকাঠামো উন্নয়ন করলেও দেশটি মূলত দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়নের একটি ভিত্তি তৈরি করেছে। এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন। নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। কাতার সরকার নিজেদের উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বিশ্বকাপের পর আরও নানা কর্মকাণ্ড হবে। তখন পর্যটন খাতের প্রবৃদ্ধি আরও বেগবান হবে।
আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াংয়ের প্রতিবেদন বলছে, কাতারে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ফলে নির্মাণ খাতে ৩২ শতাংশ ও কর্মসংস্থানে ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কাতারের মেগা প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই নির্মাণ শেষ হয়েছে, সামনে কয়েক মাসে কিছু শেষ হবে। সামনে আসছে শার্ক ক্রসিং, বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ এবং লুসাইল সিটি সম্প্রসারণের জন্য আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প। এগুলো কাতারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং।
কাতারের একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখায় কাজ করেন বাংলাদেশি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বহুমাত্রিক কাজের মধ্য দিয়ে একটি নতুন কাতার গড়ে তোলার কাজ চলছে। এসব পদক্ষেপের ফলে বিশ্বে কাতার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন গন্তব্য হয়ে উঠবে। কাতার এখন বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ হয়েছে। তাদের ধর্মীয় রক্ষণশীলতার প্রভাব ভিনদেশিদের মধ্যে পড়ছে না। সবাই তাঁর নিজ নিজ সংস্কৃতি অনুযায়ী চলতে পারছে। এখানের শীর্ষ নেতৃত্ব আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বলে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব পড়ছে কাতারের সার্বিক অগ্রযাত্রায়। এর সুফল নিতে পারে বাংলাদেশও। এখন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে বাংলাদেশ অভিজ্ঞ, দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারে। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় অংশগ্রহণসহ নানা খাতের সুবিধা নিতে পারে।
কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ বলেন, কাতারকে এখন শুধু আরব দেশ বিবেচনা করলে ভুল হবে। শত সমালোচনা পেছনে ফেলে দেশটির সরকার দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করছে। একটি দেশ কীভাবে তার সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়নের পথে এগুতে পারে, কাতার তার বড় উদাহরণ।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, শুধু বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরেই পর্যটন খাতে কাতারের ৪০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হবে, যার ৮৫ শতাংশই পাবে সরাসরি কাতার সরকার। আর দীর্ঘ মেয়াদেও এর অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। কাতারের পর্যটন খাতে সেবা দিচ্ছেন মো. আশিক। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ঘিরে কাতার যেভাবে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করেছে, এটা অকল্পনীয়। একজন পর্যটক যে কাজেই কাতারে আসুক না কেন, সে অবশ্যই ডেজার্ট সাফারি করে। কারণ, আরব দেশে এলে সবাই মনে করে মরুভূমিতে বালির পাহাড়ে গাড়ি করে না ঘুরলে আসাটা পূর্ণ হয় না। এখন বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়। দিনরাত সেবা দিতে হচ্ছে ওদের। ব্যবসা খুবই জমজমাট। একজন পর্যটককে এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অন্তত ৪ গুণ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এটা কাতারের জন্য লাভজনক। সামনে অনেকগুলো বিশ্বমানের ইভেন্ট করবে কাতার। সেটি হলে কাতারে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকবে। এটা দেশটির অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখবে।
কাতার এখন শাকসবজি ও দুগ্ধ উৎপাদনেও বেশ মনোযোগ দিয়েছে। কাতার মরুভূমির দেশ হলেও এখন গ্রিনহাউসের সুবিধা নিয়ে শাকসবজি উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। অবরোধের সময় বিদেশ থেকে গাভি এনে দুগ্ধ উৎপাদন শুরু করে। দেশটি এখন দুধেও প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পোলট্রিশিল্পেও বেশ উন্নতি করেছে কাতার। নিজেদের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পোলট্রি কাতার নিজেই জোগান দিতে পারছে। চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ ডিম কাতারেই উৎপাদিত হয়। একসময় এসবের জন্য কাতারকে অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো।
সব মিলিয়ে কাতার অর্থনীতিতে নতুন উচ্চতায় যাচ্ছে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতি কাতারের একটি সহানুভূতি আছে। দেশটি চায়, এই বদলে পাশে থেকে যুক্ত থাকুক বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের জন্য সুযোগ-সম্ভাবনা সেখানেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগে