নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দীকে নির্যাতনের অভিযোগে জেল সুপার, জেলারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বিতীয় মহানগর হাকিমের আদালতে এই অভিযোগ করেন পারভিন আকতার নামের এক নারী। তিনি ভুক্তভোগী শামীমের স্ত্রী।
আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য পরবর্তী ৩০ নভেম্বর সময় নির্ধারণ করেছেন। মামলা অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলার দেওয়ান মো. তরিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন ও কারারক্ষী সবুজ দাস।
চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং গ্রামের বাসিন্দা পারভিন অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী মো. শামীম স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। একটি মামলায় ২০০৪ সালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। ২০০৬ সালে তাঁর সাজা হওয়ার পর তখন থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। গত ১২ জুলাই বন্দীদের নিয়মিত খাবার না দেওয়ার বিষয় নিয়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে জেলার এসে শামীমকে মারধর করেন। পরে ১৭ জুলাই তাঁকে কারাগারের বাইরে একটি আমগাছের নিচে নিয়ে গিয়ে ডেপুটি জেলার, সুবেদার ও কারারক্ষীরা মিলে মারধর করেন। পরে তাঁকে জেলারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় শামীম স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এমনকি কুমিল্লা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে খাবার-পানি কোনো কিছুই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন পারভিন। তিনি বলেন, পরদিন কুমিল্লা কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে স্বামী তাঁকে এ বিষয়ে জানান।
পারভিন আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগার একটা নিরাপদ জায়গা। সেখানে যদি এ ধরনের কোনো নির্যাতন হয়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে।’ স্বামীর ওপর ভবিষ্যতে যাতে কোনো নির্যাতন না হয় সে জন্য আগের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি গতকাল শুক্রবার বলেন, ওই বন্দীকে সাত মাস আগে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে আরও সাতটি মামলা রয়েছে।
জেলারের দাবি, চট্টগ্রাম কারাগারে থাকাকালে শামীম বিভিন্ন সময় অন্য বন্দীদের বিরক্ত করতেন। তাঁর আচরণ ভালো ছিল না। এই কারণে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকার জন্য শামীম নানাভাবে চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্ষোভে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে উপযুক্ত জবাব দেব।’
এ দিকে চট্টগ্রাম কারাগারে এর আগেও বিভিন্ন সময় বন্দী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১ মার্চ এখানে বৈদ্যুতিক শক এবং বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নির্যাতনের অভিযোগে জেল সুপারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রুপম নামের এক কারাবন্দীর স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দীকে নির্যাতনের অভিযোগে জেল সুপার, জেলারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বিতীয় মহানগর হাকিমের আদালতে এই অভিযোগ করেন পারভিন আকতার নামের এক নারী। তিনি ভুক্তভোগী শামীমের স্ত্রী।
আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য পরবর্তী ৩০ নভেম্বর সময় নির্ধারণ করেছেন। মামলা অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলার দেওয়ান মো. তরিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন ও কারারক্ষী সবুজ দাস।
চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং গ্রামের বাসিন্দা পারভিন অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী মো. শামীম স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। একটি মামলায় ২০০৪ সালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। ২০০৬ সালে তাঁর সাজা হওয়ার পর তখন থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। গত ১২ জুলাই বন্দীদের নিয়মিত খাবার না দেওয়ার বিষয় নিয়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে জেলার এসে শামীমকে মারধর করেন। পরে ১৭ জুলাই তাঁকে কারাগারের বাইরে একটি আমগাছের নিচে নিয়ে গিয়ে ডেপুটি জেলার, সুবেদার ও কারারক্ষীরা মিলে মারধর করেন। পরে তাঁকে জেলারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় শামীম স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এমনকি কুমিল্লা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে খাবার-পানি কোনো কিছুই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন পারভিন। তিনি বলেন, পরদিন কুমিল্লা কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে স্বামী তাঁকে এ বিষয়ে জানান।
পারভিন আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগার একটা নিরাপদ জায়গা। সেখানে যদি এ ধরনের কোনো নির্যাতন হয়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে।’ স্বামীর ওপর ভবিষ্যতে যাতে কোনো নির্যাতন না হয় সে জন্য আগের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি গতকাল শুক্রবার বলেন, ওই বন্দীকে সাত মাস আগে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে আরও সাতটি মামলা রয়েছে।
জেলারের দাবি, চট্টগ্রাম কারাগারে থাকাকালে শামীম বিভিন্ন সময় অন্য বন্দীদের বিরক্ত করতেন। তাঁর আচরণ ভালো ছিল না। এই কারণে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকার জন্য শামীম নানাভাবে চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্ষোভে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে উপযুক্ত জবাব দেব।’
এ দিকে চট্টগ্রাম কারাগারে এর আগেও বিভিন্ন সময় বন্দী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১ মার্চ এখানে বৈদ্যুতিক শক এবং বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নির্যাতনের অভিযোগে জেল সুপারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রুপম নামের এক কারাবন্দীর স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১০ ঘণ্টা আগে